World wars and media coverage post 1919
উত্তর- বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে মিডিয়া কভারেজ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়। ১৯১৯ সালের পর, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিণতি এবং তার সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভাবকে পরিবেশন করতে মিডিয়া আরও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করতে শুরু করে।
১. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়:-
ক) মিডিয়ার ভুমিকা:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সংবাদপত্র এবং রেডিওের মাধ্যমে যুদ্ধের খবর প্রচার করা হত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ যুদ্ধের পরবর্তী পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খবরের জন্য মানুষ মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল।
খ) সরকারের প্রভাব:- যুদ্ধের সময়ে সংবাদ সেন্সরশিপ ছিল, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, সাংবাদিকতা এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করতে শুরু করে। তবে, কিছু দেশে সরকারের প্রভাব এখনও ছিল, যেমন যুদ্ধের পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক শান্তি চুক্তির আলোচনা।
২. সাংবাদিকতা এবং খবরের পরিবর্তন:-
ক) বিশ্বস্ততা ও অস্থিরতা:- মিডিয়া যুদ্ধের সময় অনেক পরিমাণে চিত্তাকর্ষক বা প্রোপাগান্ডামূলক খবর পরিবেশন করেছিল। যুদ্ধে জয়-পরাজয়ের খবর, সমরাস্ত্রের শক্তি, এবং সামরিক কৌশলগুলো সংবাদপত্রে গুরুত্ব পেত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, সাংবাদিকদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল – বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা, জাতিসংঘের সৃষ্টি, এবং যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন ইত্যাদি।
খ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা:- একাধিক সংবাদমাধ্যম আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শান্তি চুক্তি এবং জাতীয় রাজনীতি নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দিতে শুরু করে। বিভিন্ন সংস্থা এবং সাংবাদিকদের কাজ ছিল যুদ্ধের পরবর্তী রাজনৈতিক দৃশ্যপট সঠিকভাবে তুলে ধরা।
৩. রেডিও এবং টেলিভিশনের বিকাশ:-
১৯১৯ এর পরে রেডিও দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, এবং এটি পরবর্তীকালে বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার দ্রুত প্রচার করতে সাহায্য করেছে। রেডিওতে সংবাদ সম্প্রচার, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংবাদ এবং যুদ্ধের পরবর্তী ফলাফলগুলো শুনতে শোনা যেত।
ক) টেলিভিশন:- ১৯১৯ এর পরে টেলিভিশন শিল্পও উন্নতি লাভ করে, তবে এটি ১৯৩০-এর দশকে এসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
৪. গণমাধ্যমে পরিণত রাজনৈতিক পরিবর্তন:-
ক) অর্থনীতি ও সমাজ:- যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সামাজিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে সংবাদগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মিডিয়া এই সংকটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও আন্দোলনগুলোকে স্থান দেয়।
খ) জাতীয়তাবাদ এবং প্রোপাগান্ডা:- যদিও যুদ্ধের পর সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ছিল, কিছু দেশে সরকার এই স্বাধীনতা সীমিত করেছিল, যাতে তারা রাজনৈতিক আদর্শ এবং দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।
মোটের উপর, ১৯১৯ পরবর্তী সময়ে বিশ্বযুদ্ধের কভারেজ এবং এর মিডিয়া রিপোর্টিং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটায় এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বের নতুন দিক উন্মোচিত হয়।