মোর্স কোড (Morse Code)
উত্তর:- মোর্স কোড (Morse Code) হল একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে অক্ষর, সংখ্যা এবং অন্যান্য চিহ্নগুলি বিশেষ সাউন্ড (ডট এবং ড্যাশ), লাইট, বা সিগন্যাল দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। এটি ১৮৩৬ সালে স্যামুয়েল মোর্স এবং আলফ্রেড ভেইল দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। মোর্স কোড মূলত টেলিগ্রাফ ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হত, কিন্তু এটি এখনো বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত সংকটকালীন যোগাযোগে, ব্যবহৃত হয়।
মোর্স কোডের মৌলিক উপাদান:-
মোর্স কোডে দুটি প্রধান উপাদান রয়েছে:-
1. ডট (.): এটি একটি সংক্ষিপ্ত সিগন্যাল বা সাউন্ড।
2. ড্যাশ (-): এটি একটি দীর্ঘ সিগন্যাল বা সাউন্ড।
উদাহরণস্বরূপ:
অক্ষর A: ".-" (ডট এবং ড্যাশ)
অক্ষর B: "-..." (ড্যাশ এবং তিনটি ডট)
অক্ষর C: "-.-." (ড্যাশ, ডট, ড্যাশ, ডট)
মোর্স কোডের সিম্বলস:-
মোর্স কোডে শুধুমাত্র ২৬টি ইংরেজি বর্ণ, ০-৯ পর্যন্ত সংখ্যা এবং কিছু বিশেষ চিহ্ন (যেমন ? ! , . : / & @) চিহ্নিত করা হয়। মোর্স কোডের চিহ্নগুলি একে অপরের থেকে এক বা দুই ইউনিট সময়ের ব্যবধানে আলাদা করা হয়।
মোর্স কোডের ব্যবহার:-
1. টেলিগ্রাফ:- প্রথমে মোর্স কোড টেলিগ্রাফে ব্যবহৃত হত, যার মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত তথ্য প্রেরণ করা সম্ভব হত।
2. এমারজেন্সি যোগাযোগ:- মোর্স কোড তখনও জরুরি পরিস্থিতিতে যেমন দুর্ঘটনা, ভূমিকম্প বা যুদ্ধের সময় উদ্ধারকর্মীদের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার হয়।
3. আন্তর্জাতিক সিগন্যালিং:- সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকেরা মোর্স কোড ব্যবহার করে যোগাযোগ করতে পারে, কারণ এটি ভাষা বা উচ্চারণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে না।
4. ন্যাভিগেশন এবং এয়ারলাইন যোগাযোগ:- বিমান ও নৌযান যোগাযোগে মোর্স কোড ব্যবহৃত হয়।
মোর্স কোডের আন্তর্জাতিক মান:-
বিশ্বে মোর্স কোডের সর্বোত্তম পরিচিত মান হল ইন্টারন্যাশনাল মোর্স কোড। এটি আইটিইউ (International Telecommunication Union) দ্বারা ১৯৬০ সালে নির্ধারিত হয়েছিল।
কিছু সাধারণ মোর্স কোড চিহ্ন:
A: .-
B: -...
C: -.-.
D: -..
E: .
F: ..-.
G: --.
H: ....
I: ..
J: .---
K: -.-
L: .-..
M: --
N: -.
O: ---
P: .--.
Q: --.-
R: .-.
S: ...
T: -
U: ..-
V: ...-
W: .--
X: -..-
Y: -.--
Z: --..
0: -----
1: .----
2: ..---
3: ...--
4: ....-
5: .....
6: -....
7: --...
8: ---..
9: ----.
মোর্স কোডের গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা তার সহজ ব্যবহারযোগ্যতা এবং সংকেত সিস্টেমের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য এখনও অনেক ক্ষেত্রেই অপরিহার্য।