নদীর তীরে বালকদের খেলার দৃশ্যটি বিস্তারিত বর্ণনা করো?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "ছুটি" গল্পে নদীর ধারে বালকদের খেলার দুটি দৃশ্য তৈরি হয়েছে। ফটিক ছিল সেই দলের নেতা এবং দুটি ক্ষেত্রের পরিকল্পনা ছিল তারই ।দলের অন্য সদস্যরা সেই পরিকল্পনায় অনুমোদন এবং কার্যকরী করেছিল মাত্র।
দৃশ্য -১: নদীর ধারে একটা প্রকাণ্ড শাল কাঠের গুড়ি কেউ রেখে দিয়েছিল তৈরি করার জন্য। ফটিক পরিকল্পনা করে যে, সেটিকে সকলে মিলে গুড়িয়ে নিয়ে যাবে। যার কাঠ প্রয়োজন মুহূর্তের সে অত্যন্ত বিস্মৃত, বিরক্ত ও অসুবিধা করবেন, এই উপলব্ধি থেকে বালকেরা সেই প্রস্তাব সম্পূর্ণ অনুমোদন করেন এবং সকলে মিলে মনোযোগ সঙ্গে সেই কাজে প্রবৃত্ত হন। কিন্তু ফটিকের ছোট ভাই মাখন লাল গম্ভীর ভাবে সেই বুড়ির ওপরে গিয়ে বসার ছেলেদের সেই প্রাথমিক উদ্যম আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কয়েকজন এসে তাকে একটু খেলার চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে সে বিচলিত হয় না। ফটিকের সে ভাইর মাখনলাল নিজের অবস্থাযনে অনড় থাকে, বারং আসনটি স্থায়ী ভাবে দখল করে নেয়।
দৃশ্য-২ : মাখনের অনড় মনোভাব দেখে ফটিকের মনে নতুন একটা পরিকল্পনা আসে। তার মনে হয় যে, সেটি আগের থেকে আরও একটি "ভালো খেলা" হতে পারে, এবং তাতে আর একটু বেশি মজা আছে। সেই প্রস্তাব করে যে মাখনকে শুদ্ধ কাঠের গুরিতে গড়িয়ে দিতে হবে। এখন মনে করে যে, তাতে তার গৌরব আছে। এবং অন্যান্য প্রথিব গৌরবের মতো তাতেও যে কিছু বিপদের সম্ভাবনা আছে তা সে ভাবতে পারিনি। মাখন তার সমস্ত 'গাম্ভীর্য গৌরব এবং তত্ত্বজ্ঞান সমেত 'মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। খেলার শুরুতে এই অশাতিক ফল লাভ করে অনন্য বালকেরা অত্যন্ত আনন্দিত হলেও ফটিক এই বিপযর্য়ের শশব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদিকে মাখন মাটি থেকে উঠে দাদার প্রতি তীব্র রাগ প্রকাশ করে এবং তারা নাকে মুখে আচর কেটে দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে চলে যাই। বালকদেরও খেলও ভেঙে যায়।