থিয়েসেন বহুভুজ পদ্ধতি (Theissen Polygon Method)
1949 খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত পরিকল্পনাবিদ বোগ কর্তৃক থিয়েসেন বহুভুজ পদ্ধতিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট 67-টি মহানগর অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। মূলত চারটি ধাপে এই বহুভুজ নির্মাণ করা হয়, যথা-
(i) প্রথমে কোনও ক্রিয়াশীল অঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট এলাকা বেছে নেওয়া হয় (এখানে নিম্নোক্ত A অঞ্চলটিতে বেছে নেওয়া হয়েছে।)
(ii) এর পর নির্বাচিত অঞ্চলের আন্তঃসম্পর্কমূলক কার্যকারীতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট এলাকাগুলিকে সীমায়িত করা হয়।
(iii) এখানে স্থানভিত্তিক আন্তঃসংযোগী রেখাগুলিকে কোনো একটি সংলগ্ন কেন্দ্র থেকে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি A নিকটতম কেন্দ্রের দিকে টানা হয়। এক্ষেত্রে, দুটি কেন্দ্রের মধ্যে সংযোগকারী দ্বিখন্ডিত রেখাগুলিকে তাদের মধ্যবিন্দু ধরে আঁকা হয়।
(iv) মধ্যবিন্দু থেকে একটি উল্লম্ব রেখা টানা হয় যার ওপর বহুভুজের স্থলটিকে কল্পনা করা হয়। একইভাবে, অন্যান্য মধ্যবিন্দুগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে। সংলগ্ন স্থানভিত্তিক একাধিক আন্তঃসংযোগী রেখা টানা হয়।
(v) এখানে, বহুভুজের সীমানার মধ্যে থাক সামগ্রিক পরিসরটি সেই বিশেষ কেন্দ্রের অর্ন্তভূক্ত যেখানে সংশ্লিষ্ট দৈশিক এককের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা অবস্থিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে পরিকল্পন অঞ্চলগুলির সীমানা নির্ধারণে দুটি অনুমানকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়- (a) বহুভুজের ছেদকারী সীমানারেখার মধ্যে থাকা একটি এলাকার কেন্দ্র, যেটি অন্য কোনো বহুভুজে আবদ্ধ কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকবে এবং (b) সংলগ্ন কোনও বিন্দু থেকে যেখানে একই ব্যাসার্ধের বৃত্তের পরিসর অঙ্কন করা হয়, তার ছেদকারী বিন্দুর মধ্যে নতুন। আরেকটি রেখা উপস্থাপন সম্ভব হবে।
এ ছাড়াও, 1963 খ্রিস্টাব্দে প্রভাবশালী মেট্রোপলিস এলাকার ওপর ভিত্তি করে কোপেক বহুভুজ তৈরির আরেকটি পদ্ধতি বর্ণনা করেছিলেন, সেটি হল উপস্থাপিত কয়েকটি রেখার মাধ্যমে গড়ে তোলা বহুভুজের কেন্দ্রীয় বিন্দুটির সীমানা অঞ্চল।