সমতা থেকে বৈষম্যের দিকে অভিমুখিতা (A Shift from inequality to disparity)
R
আমরা আগেই জেনেছি, প্রয়োগমূলক বা ব্যবহারিক দিক থেকে অসমতা এবং বৈষম্যের মধ্যে বেশ কয়েকটি পার্থক্য থাকলেও, কার্যক্ষেত্রে বিষয় দুটির মধ্যে বেশ কিছুটা স্বতন্ত্রতা পরিলক্ষিত হয়। আঞ্চলিক অসাম্যের বিষয়টিতে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের চিরাচরিত সাধারণ আর্থসামাজিক পরিস্থিতি অনুসারে বিবেচনা করা হয় বলে, তা থেকে আর্থসামাজিক ভারসাম্যহীনতার মাত্রা ঠিক কতটা প্রকট তা বোঝা যায় না। সেই কারণে, আঞ্চলিক উন্নয়নের নিরিখে বর্তমানে প্রায় সমস্ত দেশ আঞ্চলিক বৈষম্য কথাটিকেই ব্যবহারে সর্বাধিক আগ্রহী। বস্তুত, আর্থসামাজিক পরিস্থিতির নিরিখে বৈষম্যের ধারণাটি অসাম্যের তুলনায় আরও বেশি প্রকট, স্বতঃপ্রণোদিত এবং যথেষ্ট উদ্বেগজনক, তাই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য সমস্ত দেশ এই ধরনের সীমাবদ্ধতাগুলি হ্রাস করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেআমরা আগেই জেনেছি, প্রয়োগমূলক বা ব্যবহারিক পার্থক্য থাকলেও, কার্যক্ষেত্রে বিষয় দুটির মা বেশ করেী স্বতন্ত্রতা পরিলক্ষিত হয়। আঞ্চলিক অসাম্যের বিষয়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের চিরাচরিত সাধারণ আর্থসামারির পরিমিতি অনুসারে বিভোর করা হয় বলে, তা থেকে আর্থসামাজিক ভারসাম্যহীনতার মাত্রা ঠিক কতটা প্রশ্নটা বোঝা যায় না। সেই কারণে, আঞ্চলিক উন্নয়নের নিবিয়ে বর্তমানে প্রায় সমস্ত দেশ আঞ্চলিক বৈষম্য কথাটির ব্যবহারে সর্বাধিক আগ্রহী। বস্তুত, আর্থসামাজিক পরিস্থিতির নিরিখে বৈষম্যের ধারণাটি অসাম্যের তুলনায় আরও বেশিহয়।
তবে এখানে একটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক নির্ধারকগুলিকে বৈষম্য (Disparity)-এর আকারে উপস্থাপন করা হলেও, সামাজিক নির্ধারকগুলির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই অসামা (Inequality) কথাটিকে অধিক ব্যবহার করে থাকেন।