welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

নির্বাচিত উপাদানসমূহ (Selected elements)

নির্বাচিত উপাদানসমূহ (Selected elements)


ভারতের কৃষি বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচ্য প্রধান উপাদানগুলিকে নীচে আলোচনা করা হল।

 (১) জৈব জলবায়ু (Bio-climate): ভারতের কৃষি-বাস্তু সংম্মানিক আঞ্চলিকীকরণে অথবা স্থানীয় ফসলের ঋতু নিধারণে জৈব জলবায়ুকে একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সাধারণত প্রতিটি ফসলের। উপযোগী জলবায়ুগত অবস্থা বোঝাতেই 'জৈব জলবায়ু' শব্দটিকে প্রয়োগ করা হয়। জৈব জলবায়ুর ভারসাম্যযুদ্ধ পরিবেশটি ভারতের বিভিন্ন স্থানের জলবায়ু, সম্ভাব্য বাষ্পীয়-প্রস্বেদন এবং শস্যের বৃদ্ধিকাল (LGP) দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন জৈব জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে। স্বতন্ত্র উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, সূর্যালোক, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি। এমনরি আর্দ্রতা-শুদ্ধতার ক্রিয়াশীলতার ওপর ভিত্তি করেই ফসলের ধরন এবং তার বৃদ্ধির পর্যায়কে সহজেই অনুমান করা যায়। এখানে উচ্চতাভেদে এবং আঞ্চলিক পরিসরে ভারতের গাঙ্গেয় সমভূমির বিভিন্ন জৈব জলবায়ুর প্রকৃতিগত অবস্থাটিকে প্রদর্শন করা হল।কোনও এক বা একাধিক ফসলের উৎপাদনের জন্য উপলব্ধ আর্দ্র এবং শুষ্ক ঋতুর পর্যায়ক্রমিক দিনসংখ্যার ওপর ক্রমবর্ধমান সময়ের দৈর্ঘ্যটিকে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে, ভারতের কৃষি-বাস্তু সংস্থানিক পরিসর উপস্থাপনার ক্ষেত্রে এখানকার অঞ্চলভিত্তিক জলবায়ুগত চরিত্র পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে ক্রমবর্ধমান সময়ের দৈঘাটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রসঙ্গত, "LGP" যেমন কোনো অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ঋতুর দৈর্ঘ্যা ও উদ্ভিদ বৃদ্ধির দিন সংখ্যাকে প্রতিনিধিত্ব করে, তেমনই এটি স্বল্প, মাঝারি অথবা দীর্ঘ মাত্রার সময়কালভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট ফসলের চাষের প্রকৃতিকেও প্রদর্শন করে থাকে। যেমন, কোনও একটি অর্থাৎ 'বর্ষাকালের দৈর্ঘ্য' হল কৃষিগতভাবে ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের উৎপাদনের ক্রমবর্ধমান দৈর্ঘ্যকাল LGP। যেমন কোনো অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ঋতুর দৈর্ঘ্য ও উদ্ভিদ বৃদ্ধির দিন সংখ্যাকে প্রতিনিধিত্ব করে, তেমনই এটি স্বল্প, মাঝারি অথবা দীর্ঘ মাত্রার সময়কালভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট ফসলের চাষের প্রকৃতিকেও প্রদর্শন করে থাকে। যেমন, কোনও একটি অঞ্চলে বর্ষার শুরু হওয়ার সময়কালটিকে যদি বপনকাল ধরা হয়, তাহলে বৃষ্টিপাতের শুরু এবং শেষের মধ্যে সময়কালটিকে অর্থাৎ 'বর্ষাকালের দৈর্ঘ্য' হল কৃষিগতভাবে ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের উৎপাদনের ক্রমবর্ধমান দৈর্ঘ্যকাল LGP। তবে, সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে আরো নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করতে বর্ষাকালের শেষে মাটির আর্দ্রতা সঞ্চয়ের সময়কাল, বর্ষাকালের এবং শীতকালীন বৃষ্টিপাত, অথবা ফসলের জলের চাহিদা মেটাতে পারে এমন সমস্ত বিষয়কেও মান্যতা দেওয়া হয়। ভাই, LGP শুধুমাত্র বৃষ্টিপাতের বণ্টনকে বোঝায় না, বরং এটি মাটির ধরন, মাটির গভীরতা, জলধারণ ক্ষমতা, বাতাসের তাপমাত্রা এবং দিনের আলোর সময়সীমার (ঘণ্টার) উপরও নির্ভর করে বিবেচিত হয়ে থাকে।

National Bureau of Soil Survey and Land Use Planning (NBSS-LUP) ভারতের কৃষি-বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল উপস্থাপনায় সম্ভাব্য বাষ্পীয় প্রস্বেদন হার এবং বৃষ্টিপাতের ব্যবহারকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়ে যে ৪-টি ক্রমবর্ধমান সময় দৈর্ঘ্য্যকে চিহ্নিত করেছে, সেগুলিকে 2 নং সারণিতে প্রদর্শন করা হয়েছে।

• (b) মৃত্তিকার ধরন (Types of Soil): বিভিন্ন উদ্ভিদ গোষ্ঠীর বেঁচে থাকাকে সুনিশ্চিত করতে মৃত্তিকার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ভারতের বাস্তুসংস্থানীয় কৃষি অঞ্চল প্রবর্তনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত বিভিন্ন মৃত্তিকা গোষ্ঠীকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এখানে মৃত্তিকাকেন্দ্রিক যে-বিষয়গুলিকে বিবেচনা করা হয়, সেগুলি হল-

মৃত্তিকার ধরন বা প্রকৃতি (Nature of soil)

মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা (Available water capacity)

মৃত্তিকার প্রখন (Soil Texture)

মৃত্তিকার সচ্ছিদ্রতা (Porocity of soil) প্রভৃতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে প্রায় 500-টির কাছাকাছি ভিন্ন ভিন্ন মৃত্তিকাকে শনাক্ত করা হলেও এখানকার সাহায্য নেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01