ডেটাবেস তৈরীর নীতি সমূহ (Rules for Database Building)
কিছু কিছু সফটওয়্যার (AreInfo) নিজস্ব মডিউল দ্বারা স্থানিক তথ্য তৈরী করে থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত। বিন্দু, রেখা, বহুভুজ দ্বারা তৈরী কোন এলাকার প্রকৃত চিত্রে এই তথ্য মানচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এই মানচিত্রই ঐ এলাকার আবৃতকারী (Coverage) অবস্থা, যেখানে বিন্দু, রেখা ও বহুভুজকে আবৃতকারী এলাকার উপাদান বলে। এই উপাদানের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও উপাও ভিত্তি তৈরীর নিয়মগুলো এখানে উল্লেখ করা হল-
(i) ডেটাবেসের গঠন (Building of Database):
কোন কাজের সঠিক লক্ষ্য ঠিক করে সাবধানতার সাথে উপাত্ত ভিত্তি তৈরী করতে হয়। এজন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন। প্রকল্প কাজের ভিত্তি একবার তৈরী করা হলে পরবর্তী কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে ওঠে। উপাত্ত ভিত্তি, নকশা, সংখ্যাপাতন উপাত্ত ভিত্তি তৈরীর উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
(ii) ডেটাবেসের নকশা (Database Design):
প্রকল্পের চাহিদা অনুসারে প্রথমেই উপাত্ত ভিত্তির বিস্তারিত সূচি তৈরী করতে হয়। যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করে সূচ তৈরীর পর স্বল্প সংখ্যক উপাত্ত নিয়ে পরীক্ষা করে আকাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যায় কিনা তা যাচাই করে দেখতে হয়। এরপর কম্পিউটারে উপাত্ত ভিত্তির সূচি অর্ন্তভুক্ত করে উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজে হাত দিতে হয়। ভবিষ্যতে এই উপাত্ত ভিত্তি দ্বারা কাজ করা যাবে কিনা তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। এ জন্য উপাত্ত ভিত্তির নকশা তৈরীর পারদর্শিকতা থাকা প্রয়োজন। উপাত্ত ভিত্তি সহজবোধ্য ও আদর্শ মানের হলে পরস্পর তথ্য বিনিময় সহজ হয়।
(iii) ডেটাবেসের টেবিল (Table of Database):
মানচিত্রে প্রকল্প এলাকার সীমানা নির্ণয় করে এর অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ চিহ্নিত করতে হবে। এতে কতগুলো উপাত স্তর বা আবৃতকার অবয়ব ব্যবহার করা হবে, প্রত্যেকটির জন্য কতগুলো উপাত্ত সংযোজন করা হবে এবং উপাত্তগুলো কীভাবে করতে হবে প্রভৃতি কাজ করার জন্য একটি ছক তৈরী করে নিতে হবে। এই ছকে উপাত্ত ভিত্তি তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের বর্ণনা এবং তৈরীর সংক্ষিপ্ত কৌশল উল্লেখ করতে হবে