ভারতে আঞ্চলিকীকরণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গি(Recent Approches for Regionalization in India)
সাম্প্রতিককালে ভারতের আঞ্চলিকীকরণে কোনও উৎপাদন ক্ষেত্রের অবস্থান, আয়তনগত পরিসর, উৎপাদন্যের বিশেষীকরণ, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, এলাকাভিত্তিক উন্নয়নের হার, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক উৎপাদনশীলতা প্রকৃতি বিষয়গুলিকেও জাতীয় স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর ফলে উন্নয়নের মিেিপ অঞ্চলের বা রাজ্যের বিশেষ নামগুলিও খুব স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। যেমন-ভারতে দরিদ্রতম অঞ্চলরূপে বিহার, আর্থিকভাবে স্থিতিশীল অঞ্চলরূপে মহারাষ্ট্রের নাম প্রভৃতি। আঞ্চলিক অধ্যয়নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসররূপে আবার কখনো কখনো বিভিন্ন প্রাদেশিক অঞ্চলগুলির জেলা বা ব্লকস্তরীয় কিছু উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রকেও প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। যদিও এই ধরনের নির্দিষ্ট মাত্রার প্রাদেশিক অঞ্চলগুলিকে সম্পূর্ণ কাঠামো বিশিষ্ট একটি অঞ্চলরূপে কখনোই গণ্য করা যায় না।
পরিশেষে বলা যায়, ভারতের মতো একটি বৃহদায়তন বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে আঞ্চলিকীকরণের প্রয়োগমূলক দিক থেকেও তা প্রকাশ করা যথেষ্ট কষ্টকর। কারণ, একাধিক বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে এদেশের আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করতে গেলে অনেকক্ষেত্রে দুটি পৃথক অঞ্চলের সীমানাগুলিকেও খুব স্বাভাবিকভাবে মিশে যেতে দেখা যায়। বিশেষ করে, এক্ষেত্রে, অধিকাংশ অঞ্চলের প্রান্তসীমানাগুলি খুবই অস্পষ্ট হয়ে যায়। সেইকারণে, আঞ্চলিকীকরণ প্রচেষ্টায় কোনও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা কখনোই সম্ভব হয়ে ওঠে না। বর্তমানে অবশ্য ভারতের আঞ্চলিকীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্রিমাত্রিক বিভিন্ন উপাদানে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। (পাশের ধারণাচিত্রে 2.33)