আন্দুলিকীকরণের নীতি (Principles of Regionalization)
আঞ্চলিকীকরণ প্রক্রিয়ায় যে-সমস্ত চিরন্তন বা প্রথাগত নীতিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল-
(i) পার্থিব প্রতিটি অঞ্চলের উপাদানকে প্রাধান্য দিয়ে সেগুলির পরিমাপযোগ্য এবং সর্বসম্মত একটি স্কেল নির্ধারণ করা।
(ii) আনঞ্চলিক পৃথকীকরণের স্বার্থে বর্ণনামূলক (Descriptive), ব্যাখ্যামূলক (Explanation), বিষয়মূলক (Subjective) এবং বস্তুগত (Objective) সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্য নেওয়া
(iii) বস্তুগত তথা অবস্তুগত প্রতিটি আঞ্চলিক আধারকে স্বতন্ত্র কাঠমোয় প্রতিষ্ঠিত করতে আঞ্চলিকীকরণের। ধারণায় বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিগুলিকে মান্যতা দেওয়া।
(iv) একটি অনঞ্চলের থেকে অপর একটি অঞ্চলকে যাতে সহজে পৃথক করা যায়, সেজন্য আঞ্চলিকীকরণের প্রচেস্টায় আঞ্চলিক সীমাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করা।
(v) পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের স্বার্থে আঞ্চলিকীকরণের প্রচেষ্টাকে নৈতিক এবং প্রয়োগমূলক দিক থেকে সর্বতোভাবে কার্যকরী কাঠামোয় উপস্থাপিত করা।
(vi) আঞ্চলিকীকরণের সার্বিক কৌশল গ্রহণ করার ক্ষেত্রে উন্নয়নের নীতিকে অনুসরণ করে চলা।
(vii) প্রতিটি দৈশিক পরিসরেরই নিজস্ব কিছু গুণাবলী বা চরিত্র থাকে, যেটিকে আঞ্চলিকীকরণের দৃষ্টিভঙ্গিতে স্থান করে দেওয়া।
(viii) আঞ্চলিকীকরণ অনুক্রমিক ধারায় প্রকাশ পাওয়া আবশ্যক। এই নীতি মেনে চললে, উচ্চ অথবা নিম্নস্তরের কোনও অঞ্চল, সাধারণ কিংবা বিশেষ যে কোনো অঞ্চলকেই অতি সহজেই একটি নির্দিষ্ট কাঠামোয় বিন্যস্ত করা যায়।
(ix) আঞ্চলিকীকরণ প্রচেষ্টায় নির্ধারিত উপাদানগুলি বিবেচনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা এবং কৌশলের সার্থক সমন্বয় ঘটানো একান্ত অবশ্যক।