ডি. নাথ-এর দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতের পরিকল্পিত অঞ্চলসমূহ [The Planning region of India from V. Nath's perspective]
ভারতকে পরিকল্পিতভাবে আঞ্চলিকীকরণের ক্ষেত্রে V. Nath-এর অবদান বিশেষভাবে উল্লখযোগ্য। সামগ্রিক ভাবে ক্ষেত্রীয় পরিকল্পনার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে 1965 খ্রিস্টাব্দে V. Nath মূলত যে-দুটি বিশেষ ধ্রুবক(Constants) নির্বাচন করেছিলেন, সেগুলি ছিল- [a] ভারতের আঞ্চলিক প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যাবলি এবং
[b] দেশে প্রাপ্ত সম্পদ ও সম্পদকেন্দ্রিক ভূমি ব্যবহার প্রণালী।
অবশ্য তার এই শ্রেণিবিভাজনের প্রচেষ্টায় Planning Commission (1964 খ্রিস্টাব্দ) বেশ কিছু পূর্ব নির্ধারিত বিষয় (যেমন-রাজ্য সীমানা, সম্পদ প্রভৃতি) -কে মান্যতা দিয়েছে। মূলত কমিশনের নির্দেশে অঞ্চল চিহ্নিতকরণের প্রচেষ্টায় V. Nath রাজ্যগুলির সীমানাসংক্রান্ত বিষয়টিকে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি রাজ্যকে বিভিন্ন জেলাতে এবং জেলাগুলিকে নির্দিষ্ট ব্লকে বিভক্ত করে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন সম্পদ অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছিলেন। এই কাজে তিনি অবশ্য অন্যান্য প্রাকৃতিক বিষয় (যেমন-ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, ভূ-তাত্ত্বিক গঠন, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি) -গুলিকেও বিশেষভাবে মান্যতা দিয়েছেন। এর পরবর্তী ধাপে তিনি আবার দেশের প্রতিটি জেলাভিত্তিক চাষ-আবাদের পদ্ধতি, জলসেচের ব্যবস্থা, ফসলের ধরন প্রভৃতি সম্পর্কেও দৃষ্টান্তমূলক অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লিখিত সমস্ত দিক বিবেচনা করে এবং 1951 খ্রিস্টাব্দের ভারতীয় আদমসুমারির তথ্য কেন্দ্রিক (India Statistical Institute প্রদত্ত) V. Nath ভারতকে মোট 15-টি সম্পদ অঞ্চলে বিভক্ত করেন। এগুলি হল।
মধ্য গাঙ্গেয় অঞ্চলের 3-টি উপবিভাগ রয়েছে, যথা- উত্তর বিহার, দক্ষিণ বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ।
উচ্চ গাঙ্গোয় সমভূমি অঞ্চলকেও ১-টি উপবিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা-কেন্দ্রীয় উত্তর প্রদেশীয় সমভূমি সমভূমি, উত্তর প্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সমভূমি।
ট্রান্স-গাঙ্গেয় সমতল অঞ্চলটির উপবিভাগের মধ্য পড়ে দিল্লি, পাঞ্জাব এবং রাজস্থান সমভূমি।
মধ্য মালভূমি এবং পার্বত্য অঞ্চলের ২-টি উপবিভাগ- বাঘেলখণ্ড এবং বুন্দেলখণ্ড উচ্চভূমি।।
পূর্ব উপকূল এবং পার্বত্য অঞ্চলের উপবিভাগগুলি- ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর উপকূলীয় অংশজুড়ে বিস্তারি
পশ্চিম উপকূল এবা পার্বত্য অঞ্চলটি মোট ছয়টি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত।
গুজরাট সমভূমি এবং পার্বত্য অংশটির ২-টি উপবিভাগ- গুজরাট সমতলভূমি এবং সংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চল।
পশ্চিমের শুদ্ধ অঞ্চলটি রাজস্থানের মোট ৭-টি জেলা নিয়ে গঠিত।
দক্ষিণ মালভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলটির 4-টি উপবিভাগ- তেলঙ্গানা মালভূমি, মাদ্রাজ মালভূমি, মহিশুর মালভূমি এবং মহিশূর-কর্ণাটক মালভূমি।
পশ্চিম মালভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলটি ১-টি আংশে বিভত্ত্ব। যেমন- মহারাষ্ট্র মালভূমি, মধ্যপ্রদেশের মালভূমি এবং রাজস্থান মালভূমি।
ভারতের দ্বীপ অঞ্চলটি ২-টি ভাগে বিভত্ত্ব। যথা- বঙ্গোপসাগরীয় দ্বীপসমূহ এবং আরব সাগরীয় কেন্দ্রীয়