welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনার প্রকৃতি (The nature of india's Regional Planning)

ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনার প্রকৃতি (The nature of india's Regional Planning)


 প্রকৃতিগত দিক থেকে ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনা একটি নির্দিধ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিকল্পনা (perspective planning), যেখানে আর্থ-সামাজিক বহুমুখী লক্ষ্যমাত্রা সুস্পষ্ট প্রতিফলন ঘটেছে।

• পঞ্চাশের দশক থেকে একবিংশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত এদেশে গৃহীত পরিকল্পনাগুলির অধিকাংশই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার অনুকরণে পাঁচবছর মেয়াদি।

• এখানকার পরিকল্পনার ধারায় গণতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীর সমন্বয় ঘটেছে।

• ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনায় মিশ্র অর্থনীতিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়ার কারণে, প্রথম দিকের প্রায় সমস্ত পরিকল্পনাগুলিই ছিল পূর্ণাঙ্গ অর্থনীতিভিত্তিক।

• বিগত সত্তর বছর যাবৎ ভারতে কেন্দ্রীভূত এবং বিকেন্দ্রীভূত ভাবধারায় যে সমস্ত পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলি বিভিন্ন সময় একক অথবা বিচ্ছিন্নভাবে আঞ্চলিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রযোজ্য।

• ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিকল্পনায় যে সমস্ত নীতি বা রূপরেখাগুলিকে সামনে রাখা হয়েছিল, তার মূলে ছিল জাতীয় ও স্থানীয় স্তরের বেশকিছু সমস্যার স্থায়ী সমাধান।

• ভারতে আঞ্চলিক পরিকল্পনাগুলিকে উন্নয়মূলক বিভিন্ন স্তরে সার্বিকভাবে রূপায়ণ করতে গিয়ে কখনো কখনো সংবিধান সংশোধনের প্রচেষ্টাও সফল হয়েছে (যেমন- 73 ও 74-তম সংবিধান সংশোধনী প্রভৃতি ।

ভারতে সমষ্টিগত উন্নয়নের স্বার্থে অসংখ্য অঞ্চল চিহ্নিত করে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

মূলনীতি (Principles):

স্বাধীন ভারতে উন্নয়নের নিরিখে পরিকল্পনা কমিশন গড়ে তোলা ছিল সত্যিই একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। শুরুতে ভারতীয় পরিকল্পনার মূল নীতি ছিল ফেবিয়ান সমাজতন্ত্র (Fabian Socialism)-কেন্দ্রিক, যার মূল লক্ষ্য হল সরকার পরিকল্পনাকে জনমুখী খাত (Public sector)-এ সম্প্রসারিত করে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রটিকে উন্নত কাঠামোয় গড়ে তোলা। এই উদ্দেশ্যে, নেহরু বলেছিলেন, "দেশে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই হবে আমাদের পরিকল্পনার একমাত্র লক্ষ্য।” এই ধরনের সমাজতান্ত্রিক পরিকল্পনার ভিত্তিস্তস্তটিতে যে নীতিগুলি সবচেয়ে গুরুত্ব পায় সেগুলি হল-

(i) দেশে অর্থনীতির সাদিক ক্ষেত্রে মানুষের ন্যূনতম আমের শখ সিম্বরীকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্যের অবসান ও যাবতীয় প্রত্যাশাপূরণ।

(ii) আয় এবং অর্থ বণ্টানের ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে একটি ভারসামা অবশ্য গড়ে তোলা।।

(iii) সকল ভারতবাসীর জন্য সমান সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা।

(iv) শিল্পে ও কৃষিতে একচেটিয়া কর্তৃত্বের অবসান ঘটানো।

(v) সদিচ্ছা, সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভের পরিবর্তে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক তথা গোষ্ঠীগত লাভের নীতি গ্রহণ।

(vi) মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং তার জন্য উপযুক্ত বাজেট নির্ধারণ, প্রভৃতি।

তাছাড়া, উল্লিখিত নীতিগুলিকে দৃঢ়ভাবে যাতে প্রতিষ্ঠানিকভাবে বলবৎ করা যায়, সেজন্য পরবর্তীকালে ভারতীয় সংবিধানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশায়ক নীতি (Directive principle) সংযোজন করা হয়েছে। যেমন-

• বহুমুখী অর্থনৈতিক ও সামাজিক আদর্শকে বাস্তবে রূপায়িত করতে রাষ্ট্র কর্তৃত্বের পরিসরে নারী-পুরুষ সহ সকলের জীবিকাকেন্দ্রিক সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা।

• প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীকে যাতে দেশের সর্বত্র পরিসেবা আকারে প্রদান করা যায়, তার জন্য সম্পদের মালিকানাকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ।

• সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সম্পদের সুষম বণ্টন ও সদ্ব্যবহার, প্রভৃতি।

 পরিকল্পনা কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী

(পরিকল্পনা কমিশনের কাঠামো ও কার্যাবলী):

ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের গঠন-কাঠামোর অন্যতম চেয়ারম্যান তথা উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী হলেও, সেখানে অন্যান্য কার্যনির্বাহী যে সমস্ত সহায়কদের রাখা হয়, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন পূর্ণ সময়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য উপদেষ্টারূপে রাখা হয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, বিজ্ঞান, সমাজসেবামূলক কাজে দক্ষ একাধিক ব্যক্তিবর্গকে।

সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা কমিশনের এক্তিয়ারে যেসমস্ত কার্যাবলী প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছিল, সেগুলি হল-

(i) কমিশন কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনাগুলিকে প্রাদেশিক স্তরের নিরিখে বিবেচনা ও তত্ত্বাবধান করা।

(ii) সঠিক লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক বিবেচনা দ্বারা পরিকল্পনাগুলিকে যথাসম্ভব সুপারিশ করা।

(ⅲ) বার্ষিক তথা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সার্বিকভাবে আঞ্চলিক স্তরে যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন ঘটে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা।

(iv) নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক পরিকল্পনার কাজগুলিকে বিশেষজ্ঞ তথা দক্ষ কর্মী দ্বারা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করা।

(v) দেশের সমস্ত আঞ্চলিক পরিকল্পনায় জনগণের সুনিশ্চিত এবং সার্বিক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা, প্রভৃতি।

 ভারতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব

(ভারতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার প্রয়োজন ও গুরুত্ব):

পরাধীন ভারতে ইংরেজদের শাসন ও শোষণের পটভূমিতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার যে সুপ্ত প্রয়োজনীয়তার বীজ লুকিয়েছিল তা স্বাধীনোত্তর ভারতে সেগুলির প্রকৃত বাস্তবতা অনুভূত হয়। ভারতে আঞ্চলিক পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল নিম্নরূপ-

•  ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষে মানুষের উন্নয়নের ভবিষ্যতকে যেভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছিল, সেই চরম পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে দেশকে পুনরুজ্জীবিত করতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি ঘটানোকেই ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশন পাখির চোখ করে নেয়। বিশেষ করে, স্বাধীন ভারতে মানুষের জন্য আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি, দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য যুগোপযোগী মৌলিক পরিসেবাগুলিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠিতভাবে পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা কমিশন বন্ধপরিকর হয়। এই ধরনের দায়বদ্ধতাই এদেশের আঞ্চলিক পরিকল্পনাকে ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে।

জাতীয় আয় বৃদ্ধি (Increase in national income): অর্থনৈতিক দিক থেকে যেকোনো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল জাতীয় আয় বৃদ্ধিকরণ। এক্ষেত্রে, ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যও ছিল ঠিক তাই। বিশেষত, পরিকল্পনা গ্রহণের আগে দেশের স্থির মূল্যস্তরের নিরিখে দুই শতাংশের নীচে থাকা মোট জাতীয় আয়কে যাতে অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে দ্রুত বাড়ানো যায়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছিল। তাতে অবশ্য দেখা যায়, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যেখানে বাৎসরিক জাতীয় আয় ছিল 3.7 শতাংশ সেখানে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় 4.2 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

দেশজ সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন (Fair distribution in indigenous resources): ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও, এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পাদের ভান্ডার (যেমন-খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ, বনজ সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ প্রভৃতি) রয়েছে। এই সমস্ত দেশজ সম্পদগুলির অধিকাংশ ভাণ্ডারই দেশের কয়েকটি বিশেষ স্থানে কেন্দ্রীভূত হওয়ায়, সেগুলির বিক্ষিপ্ত ব্যবহারে আঞ্চলিক স্তরে ভারতের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো কখনোই সম্ভব নয়। সেই কারণে, দেশজ সম্পদের সুষম বণ্টনকে সুনিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার সহায়তা নেওয়া হয়।

কর্মসংস্থানের সম্প্রসারণ (Expansion of employment): ভারতের মতো উন্নয়নশীল এবং জনবহুল দেশে কর্মসংস্থান ঘটানো সবচেয়ে বড়ো একটি চ্যালেঞ্জ। ব্রিটিশ আমল থেকেই এদেশের কর্ম সংস্থানে যথেষ্ট ভাটা পড়েছিল। আর সেইসময় যতটুকু কর্মসংস্থান হয়েছিল, তাতে ইংরেজদের স্বার্থই সর্বাধিক সুরক্ষিত থেকেছে। কারণ, পরাধীন দেশের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ক্ষেত্র থেকে লুট করা অর্থের প্রায় সমন্তটাই চলে যেত ব্রিটেনে। সেই কারণে, স্বাধীন ভারতে কর্মসংস্থানের পথ সম্প্রসারিত করতে আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

সামাজিক সমতা গড়ে তোলা (Building Social Equality): ভারত একটি বহু জাতিভিত্তিক দেশ হওয়ায়, এখানকার আঞ্চলিক স্তরে সমাজে বৈচিত্র্য যেমন বেশি, তেমনই সামাজিক অসামাও যথেষ্ট সুস্পষ্ট। বিশেষ করে, অতি প্রাচীনকাল থেকেই সম্পদ, আয়, ভোগ, শ্রম এমনকি বিভিন্ন সম্প্রদায়গত মর্যাদাভিত্তিক একাধিক বিরূপ পরিস্থিতি এদেশের সামাজিক অসাম্যকে আরও প্রকট করে তুলেছে। অনেকক্ষেত্রে, এই ধরনের সামাজিক অসাম্য দেশের বিভিন্ন স্থানে যে চরম ও বিচ্ছিন্ন আঞ্চলিকতাবাদের জন্ম দেয়, তা দেশের সার্বিক স্বার্থরক্ষার পক্ষে কখনোই কাম্য নয়। এই পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক সাম্য গড়ে তুলতে ভারতে বিভিন্ন আঞ্চলিক পরিকল্পনার প্রণয়ন ছিল অনিবার্য একটি পদক্ষেপ।

উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো (Reaching the desired goal of production): স্বাধীনতার পূর্বে এদেশের অধিকাংশ শিল্পের নিয়ন্ত্রণ ও লভ্যাংশ ইংরেজদের হাতে থাকায়, শুধুমাত্র বৃহদায়তন কয়েকটি শিল্পই উৎপাদনের নিরিখে গুরুত্ব পেয়েছিল। বিশেষ করে, ওই সময় প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী তাঁত-বস্তু শিল্প, রেশম শিল্প এবং অন্যান্য একাধিক ক্ষুদ্র কৃষিভিত্তিক শিল্পের মেরুদণ্ড পুরোপুরি ভেঙ্গে যায়। সেই কারণে স্বাধীনোত্তর ভারতের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সার্বিক ভারসাম্য সৃষ্টি করে, উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত হতে আঞ্চলিক পরিকল্পনাকেই একমাত্র হাতিয়ার মেনে নেওয়া হয়।

 ব্রিটিশরা এদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করায় ভারতে মূলধনের জোগানে যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যেত। স্বাধীনতার বেশ কিছুকাল আগেও, এদেশ থেকে বাৎসরিক প্রায় 4 মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থমূল্য ব্রিটিশরা নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দিত (তথ্যসূত্র: "Poverty an Un-British role in India")। স্বাধীনোত্তর ভারতে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল এই ধরনের অপচয় রোধ করে দেশে মূলধন সৃষ্টির হার বাড়িয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

জনগণের মৌলিক চাহিলা (Meeting the basic nedds of the people): ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের বেশকিছু মৌলিক চাহিদার লক্ষ্য পূরণকেও পাথেয় করা হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল-

(a) সকলের জন্য সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের বিকাশ (Development of proper nutrition and health for the allj.

(b) উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার (Expansion of appropriate education system),

(c) পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ (Adequate drinking water supply),

(৫) পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সম্প্রসারণ (Improvement and expansion of transport and communication system),

(৫) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গৃহনির্মাণ (Building houses in a scientific way),

ভারতের কেন্দ্রীভূত এবং বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনা

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের সরকার তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক তথা সার্বিক উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় বিভিন্ন সময় একাধিক আঞ্চলিক পরিকল্পনা পদ্ধতি অবলম্বন করে এসেছে। কিন্তু পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ বা পরিকল্পনার প্রয়োগমূলক অভিমুখটি কিভাবে পরিচালিত, সেটি নির্ধারণে কেন্দ্রীভূত এবং বিকেন্দ্রীভূত পরিকল্পনার ধারণা দুটি সর্বাগ্রে প্রাধান্য পায়। অধিকাংশ দেশের পরিকল্পনা নীতিতে এই দুটি পদ্ধতির যেকোনও একটি বিশেষভাবে কার্যকরী হলেও, ভারত এমন একটি দেশ যেখানে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীভূত এবং বিকেন্দ্রীভূত উভয় দৃষ্টিভঙ্গিই সুস্পষ্টভাবে রূপায়িত হয়েছে।

ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনা অনুশীলনের দীর্ঘ যাত্রাপথে কিভাবে সময়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীভূত থেকে বিকেন্দ্রীভূত পর্যায়ে উপনীত হল, তার একটি বিশ্লেষণমূলক রূপরেখা এখানে উপস্থাপন করা হল।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01