অনুন্নয়ন বণ্টনের ক্ষেত্রে আরজিত্তিক শনাক্তকরণ প্রথা(Income-based indentification system in distribution of underdevelopment)
অনুন্নয়নের বণ্টনগত ক্ষেত্রে বর্তমানে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে রাষ্ট্রভিত্তিক মানুষের গড় আয় সংক্রান্ত বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারনত, আর্থিক তথ্যগুলির সঠিক বিচার-বিশ্লেষণ সংক্রান্ত এই প্রথায় এক-একটি দেশের উন্নয়নের চিত্রকে যেমন সহজেই তুলে ধরা যায়, অন্যদিকে দুই বা ততোধিক অন্যকোনও পিছিয়ে পড়া বা এগিয়ে থাকা দেশের উন্নয়নমূলক পরিস্থিতিকেও স্পষ্টত তুলনা করা যায়।
2019-20 খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetery Fund) এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের (Gross Net Income) পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিকে একাধিক শ্রেণিতে বিভক্ত করেছে। যেমন-
(i) নিম্ন আয়ের দেশ: মাথাপিছু আয় 1,026 ডলার বা তার কম।
(ii) মধ্যম আয়ের দেশ। মাথাপিছু আয় 1,026 ডলারের বেশি কিন্তু 12,375 ডলারের কম।
(iii) উচ্চ আয়ের দেশ: মাথাপিছু আয় 12,375 ডলার বা তার বেশি।
আবার, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিকে আরও দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন-(1) নিম্ন মধ্যম আয়ের অখমিয়ার এবং (2) মধ্যম আয়ের অর্থনীতি। (3) উচ্চ মান, নিম্ন আয়ের দেশগুলিকেই সাধারণত অনুয়ত অর্থনীতির পাশ রিসারে গণ্য করা হয় আবার 2011 খ্রিস্টাব্দে নিম্ন আয়ের দেশগুলির মাথাপিছু আয় ছিল ১৫০ মার্কিন। রয়ে গিয়েরে কম প্রাঙলানে, সেটি 100% 2011 পৌঁছালেও, এদের মাধ্যে বেশকিছু দেশে এখনো অনুন্নত তকমা রয়ে গিয়েছে। নিম্নোন্ত তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন আয়ভিত্তি দেশগুলিকে দৃষ্টান্ত স্বরূপ উল্লেখ করা হলো
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোনও একটি দেশের সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমরা 'উন্নত', 'উন্নয়নশীল' অথবা 'অনুন্নত'- যেশব্দগুলির ব্যবহার করে থাকি, তা বোঝানোর উদ্দেশ্য এই নয় যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মানুষজন বা সেখানকার অর্থনীতি চিরাচরিত প্রায় একই রকম পর্যায়ে রয়েছে। একইভাবে, কিছু দেশকে আবার 'উন্নত' বলার অর্থ এই নয় যে তারা সমৃদি র পছন্দের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রকৃতপক্ষে, এখানে বিকাশের ধারাটি ক্রমবর্ধমান পথে এগিয়ে চলার সুবাদে মাথাপিছু আয়ের আকার অনুসারে দেশগুলিতে স্থায়ী শ্রেণিবন্ধকরণের পদ্মা গৃহীত হয়ে থাকে। যেহেতু, একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন কাঠামোগুলির সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনার প্রবল, তাই উন্নয়ন অবস্থার মাপকাঠিতে যে কোনও সময়ে, যে কোনও দেশ তাদের নিম্ন আয়ের অবস্থা থেকে মধ্যম বা মধ্যম আয়ের অবস্থা থেকে উচ্চ আয়ের স্তরে স্থানান্তরিত হতে পারে।
অনুন্নত দেশ (Underdeveloped countries)
অনুন্নয়নের আঞ্চলিক বণ্টন্টন প্রসঙ্গে খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুন্নত দেশের ধারণাটিও এসে যায়। আক্ষরিক অর্থে অনুন্নত দেশ হল সেই সমস্ত দেশ, যেখানে কৌশলগত অদক্ষতা বা সম্পদের অভাবজনিত কারণে উৎপাদন অত্যন্ত স্বল্প এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানও যথেষ্ট নিম্নমুখী। অবশ্য, বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ তাঁদের বহুমুখী দৃষ্টিকোণ থেকে অনুন্নত দেশগুলির পরিচয় তুলে ধরেছেন। যেমন-
• অধ্যাপক, Rangr Nurkse-এর মতে, 'সেই সব দেশকেই অনুন্নত বলে গণ্য করা যায়, যেসব দেশে উন্নত দেশসমূহের তুলনায় জনসংখ্যা ও সম্পদের দিক থেকে প্রাপ্ত মূলধনের পরিমাণ খুবই অল্প।'
• অধ্যাপক [acoh Viner অনুন্নত দেশ প্রসঙ্গে বলেছেন-" country which has good potentia prospects for sarg more capital or more labour or more available natural reseuries all of those to support its present population on higher level of leng or if its per capita income level is already fairly high, to support a large population on a not lower level of living"
• অধ্যাপক Bauer and Yamey-র মতে, 'অনুন্নত দেশ বলে অতি সাধারণভাবে সেই সব দেশকেই বোঝায়, যেগুলোর মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে বর্তমান সময়কার কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন এবং পশ্চিম ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশসমূহের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে কম।'