welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন (Implementation Regional Plans in India)

ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন
(Implementation Regional Plans in India)


পরিকল্পনার পটভূমি(Background of the Plan)

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নকে হাতিয়ার কার আঞ্চলিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রচেষ্টা দীর্ঘ প্রায় সবর বছর অতিক্রান্ত হলেও, স্বাধীনতার পূর্বে পরিকল্পিতভাবে এদেশে আঞ্চলিক উন্নয়নের সার্বিক উদ্যোগ সেভারে। কিন্তু দেখা যায়নি। বিশেষ করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুগের ভয়াবহ কোণঠাসা পরিস্থিতিতে আনঞ্চলিক উন্নয়নের ধারণাটি ভারতের মতো অধিকাংশ দেশেই যথেষ্ট অস্পর থেকে যায়। যদিও, সমসাময়িক আঞ্চলিক পরিকল্পনা? ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড যথেস্ট উন্নতি করেছিল, কিন্তু ব্রিটিশদে পুঁজিভিত্তিক অর্থ আগ্রাসন নীতি এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতবাসীর অনাস্থার পরিণতিস্বরূপ সোভিয়েত অর্থনীতির সমাজতান্ত্রিক উন্নয়নমুখী ভাবধারা রুমন এদেশেও সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তদানীন্তন কাসে মুষ্টিমেয় যে কয়েকজন ভারতীয় চিন্তাবিদের কাছে উন্নয়নের বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, তাঁদে মধ্যে অন্যতম ছিলেন-এম, বিশ্বেশ্বরায়া, দাদাভাই নওরজী, গোবিন্দ রানাডে, আর জি. দাও, মহয় গান্ধী, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, রমেশ চন্দ্র মজুমলং জওহরলাল নেহেরু প্রমুখ। অবশ্য, স্বাধীনতালাভের বেল কিছুকাল আগেও এদেশে জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে সামনে রেখে উন্নয়নমূলক লক্ষ্যে একাধিক আঞ্চলিক পরিকল্পনার কর্মসূচি গৃহীত হয়েছিল। যেমন- (1) 1920 খ্রিস্টাব্দে এম. বিশ্বেশ্বরায়া তাঁর 'Reconstructin India গ্রন্থে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কৌশলগত অভিমত ব্যা করেন। (ii) প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক মেঘনাদ সাহা তিরিশের দশক জুড়ে ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হতে থাকা 'Sma and Culture পত্রিকায় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সপক্ষে একাধিক জোরালো মন্তব্য তুলে ধরেন। (iii) 1925 খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস তাদের একটি নির্দিষ্ট রেজুলেশন মোতাবেক এদেশের জনগণের অর্থনৈতির ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি বিষয়ে জোরালো মতামত প্রকাশ করে। (iv) ভারত সরকার আইন-1935 টেম Government of India Act-1935) অনুসারে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তন করতে দেশের আটটি অঞ্চলের কংগ্রেস সরকার গঠনের উপর সিদ্ধান্ত নেয় (v) 1938খ্রিস্টাব্দের তৎকালীন ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপ্লবে আদর্শের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিতে নজর দিয়ে, দারিদ্র্য বা অসমতাহীন সুস্থ কংগ্রেস ভারতীয় পরিকল্পনা কমিটি গঠনের একটি দৃঢ় প্রস্তাব গ্রহণ করে। সেই প্রস্তাব মোতাবেক একটি স্মারকলিপিতে পনেরো সদস্যের সমন্বয়ে জাতীয় পরিকল্পনা কমিটি গোপনভাবে গড়ে তোলা হয়, যেখানে আজাদ হিন্দ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং পরে জওহরলাল নেহরুকে সংশ্লিস্ট কমিটির প্রধান নির্বাচিত করা হয়। যদিও তৎকালীন সেই পরিকল্পনা কমিটির মূল লক্ষ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতালাভ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেশের আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রাথমিক কর্মপদ্ধাগুলি কার্যক্ষেত্রে আর্থনীতিক পরিকল্পনারূপেই স্যান করে নেয়। পরিকল্পনায় গৃহীত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি দেশবাসীর অবগতকরণের উদ্দেশ্যে যাতে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেইজন্য একাধিক উপ-কমিটিও ওই সময় গড়ে তোলা হয়েছিল। (vi) 1939 খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে, সমগ্র দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার কারণে, জাতীয় উন্নয়ন কমিটির সকলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এই ঘটনায় আটটি রাজ্যের প্রাদেশিক সরকার ভেঙ্গো যায়। সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে একাধিক জাতীয় নেতার জেল হয়ে যাওয়ার জন্য 1940-45-এর মধ্যে জাতীয় পরিকল্পনামূলক সমস্ত প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে যায়। ফলত, ওই সময় জাতীয় পরিকল্পনা কমিটির অস্তিত্ব ছিল শুধু নামমাত্র। 

কোম্পানি শাসনব্যবস্থা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আঞ্চলিক উন্নয়নে প্রবক্তে আঞ্চলিকের বৈষম্য বারংবার অতিস্পষ্ট রূপে ফুটে উঠেছে। কারণ ব্রিটিশরা এদেশে প্রাথমিকভাবে যে কল্পনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল তার সমস্তটাই ছিল কোম্পানির স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি শিল্প শহর ও খনি অঞ্চল কেন্দ্রীয়। তৎকালীন ভারতের অধিকাংশ পরিকল্পিত শহর গুলি ছিল ব্রিটিশ বাণিজ্য অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। তাই কৃষি ও খনিজ বৃত্তি একাধিক সম্পর্কে কাজের লাগিয়ে সেই গুলিকে বিদেশে পাঠানোর পদ্ধতিকে সম্প্রসারিত করতে তৎকালীন ভারতে যতটুকু উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল সেই সেটিকেই ব্রিটিশ কোম্পানি অধিক গুরুত্ব দিয়েছিল। এভাবে প্রায় ২০০ বছর ও বেশি সময় জুড়ে ভারতের আঞ্চলিক উন্নয়নে প্রেক্ষাপটে ইংরেজদের অর্থনীতির সাথে সর্বাধিক সুরক্ষিত থেকেছে। 

স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা(Some notable plans of India on the eve of Independence)

ও ভারতের স্বাধীনতার বছর চারেক আগে জাতীয় কংগ্রেসের প্রচেষ্টায় জাতীয় পরিকল্পনা কমিটির অধিকার খর্ব করে, বিশেষত ভোগ্যপণ্যভিত্তিক বিভিন্ন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি বিশেষ পরিকল্পনা কমিটি গড়ে তোলা হয়, যার দায়িত্বভার ছিল Sir Ardeshir Dalal-এর হাতে।

* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে সমগ্র ভারতবাসীর চিন্তাধারাকে যাতে উজ্জীবিত করা যায় সেই উদ্দেশ্যে Sir Ramaswami Mudaliar-এর সভাপতিত্বে "The Bombay Plan (1944 খ্রিঃ)" প্রণয়ন করা হয়। যদিও এই পরিকল্পনাটি ছিল প্রাদেশিক পর্যায়ের, কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে মোট প্রায় 10,000 কোটি টাকা ব্যয় সুপারিশ করে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক জাতীয় স্বার্থকে সামনে নিয়ে আসা হয়, যেমন-

(i) আগামী 15 বছরে দেশের মাথাপিছু আয়কে দ্বিগুণ করা।

(ii) কৃষি এবং শিল্পক্ষেত্রে যথাক্রমে প্রায় 130 শতাংশ এবং 500 শতাংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা।

iii) সুষম উন্নয়ন অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে পরিকল্পনা-মননশীল করে গড়ে তোলা, প্রভৃতি।

( iv) প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বোম্বে পরিকল্পনায় সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলেও এটির সার্বিক রূপায়ণে সহায়তা করেছিলেন তৎকালীন কয়েকজন খ্যাতনামা শিল্পপতি এবং অর্থনীতিবিদ, ১ সারণি। বোম্বে পরিকল্পনাখাতে ব্যয়ের। যেমন-পুরুষোত্তম দাস ঠাকুরদাস, জে. আর. ডি. টাটা প্রমুখ।

 ওই একই বছরে গান্ধীবাদী দর্শনের উপর ভিত্তি করে ওয়ার্ধার শ্রী এস. এন. আগরওয়াল "GANDHIAN PLAN (1944খ্রিঃ)" গ্রহণ করেছিলেন। মূলত ক্ষুদ্র শিল্প এবং কৃষির উপর জোর দিয়ে এই পরিকল্পনায় প্রায় 3500 কোটি টাকা ব্যয় ধার্য করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, অসঙ্গাত ও অপর্যাপ্ত এই পরিকল্পনাটি অবশ্য যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়ে।

* 1944-1946 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের জাতীয় পরিকল্পনা বোর্ড কেসি নেওগির অধীনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যার প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছিল জহরলাল নেহরুকে

* স্বাধীনতার প্রাক্কালে অর্থাৎ, 1946 সালের 24 আগস্ট প্রতিষ্ঠিত "ADVISORY PLANNING BOARD 1947 খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে দেশের স্বার্থে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনার সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হল-

(i) উৎপাদন বৃদ্ধিকে অপরিহার্য করে তোলার উপযোগী নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ।

(ii) শক্তির উৎসের ব্যবহার বা বণ্টনকে দেশের সর্বত্র সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।।

(iii) বাংলা এবং বিহারের খনিজ সম্পদের উৎস অঞ্চলগুলিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অধিকারের মধ্যে রাখা।

(iv) ভবিষ্যতে পরিকল্পনার জন্য একটি নির্দিস্ট বোর্ড গঠন করা, যেখানে একজন সিনিয়র মন্ত্রীকে দায়ির দেওয়ার প্রস্তাবও রাখা।

(v) পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য 25 থেকে 341 জন ধার্য করা।।

(vi)পাঁচ সদস্যের সমন্বয়ে একটি অরাজনৈতিক কমিশন পরিকল্পনার পরামর্শদায়ক নিযুক্ত করা।

(vii) বার্ষিক বা ত্রৈমাসিক সমস্যা সম্পর্কে পরামর্শ নিতে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রস্তাব রাখা, প্রভৃতি।

স্বাধীনোত্তর ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনা
(Regional Planning in Post-independent India):

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়ে ভারত যখন 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগাস্টের পর একটি স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে, ঠিক তখন থেকেই এদেশের আঞ্চলিক পরিকল্পনার ধারণাটি ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে। বিশেষ করে, রাষ্ট্র কাঠামোর কেন্দ্রীকরণ, রাজ্যভিত্তিক প্রশাসনিক ক্ষমতার পুনর্বণ্টন এবং বিভিন্ন জন-প্রতিনিধিদের পূর্ণাঙ্গ্য সদিচ্ছায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আদর্শ ক্রমেই আঞ্চলিক পরিকল্পনার ভিতকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এই সময়, ভারতে দ্রুত নগরায়ণ, শিল্পায়ন-এর প্রচেষ্টা, বিভিন্ন পরিসেবা সরবরাহ ভীষণভাবে সম্প্রসারিত হওয়ায় গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগত প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক বৈষম্য যথেষ্ট বৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে, 1947-1950 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তৈরি হওয়া পাকিস্তান থেকে আগত বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসন দেওয়া বা নতুন বসতি স্বাগনেরও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে, সদ্য উঠে আসা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের শীর্ষ নেতাদের প্রধান কর্তব্য ছিল এদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির যথাযথ অনুধাবন করে, সেগুলির জন্য বাস্তবসম্মত বিভিন্ন পরিকল্পনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এই সময়কালে, আঞ্চলিক পরিকল্পনাকে দেশের জাতীয় কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তিকরণে বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যকে সামনে রাখা হয়, যেগুলি হল-

* দেশের বস্তুগত এবং মানবসম্পদের যথার্থ গুণমান নিরূপণ করে সেগুলির সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা করা।

* দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করে তোলা।

দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিগুলিকে সার্বিকভাবে অনুধাবনের উপযুক্ত পথ নির্বাচন করা।

* দেশের উন্নয়ন ও বিকাশের পথে থাকা সমস্ত বাধাগুলিকে দ্রুত অপসারিত করা, প্রভৃতি।

অবশ্য, পরবর্তীকালে ভারতের আঞ্চলিক পরিকল্পনা গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গিতে আরও কিছু লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সংযোজিত করা হয়।

আঞ্চলিক পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্তি (Inclusion in the Regional plan)

স্বাধীন ভারতে 1950 খ্রিস্টাব্দের 15 মার্চ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহরুর সভাপতিত্বে পূর্বতন সোভিয়েত রাশিয়ার অনুকরণে সরকারিভাবে জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন বা যোজনা কমিশন (PlanningCommission) গঠিত হয়। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান রূপকার হিসাবে জহরলাল নেহরু 35 কোটি ভারতবাসীর কল্যাণের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন- "আমাদের পরিকল্পনা হল উৎপাদন তথা ভোগকৃত অর্থের বিলগ্নীকরণ ঘটিয়ে দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের সঙ্গে সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন এবং এই সমন্বয়সাধনের প্রক্রিয়া 5 বছরের জন্য ধার্য করবে পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, যাদের কর্মকুশলতা ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।"




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01