উষ্ণ-আর্দ্র (শৃদ্ধ) পললপ্রাপ্ত মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Hot sub-humid (dry) eco-region with alluvium-derived soils)
অবস্থান ও আয়তন:
ভারতের পশ্চিম হিমালয় পাদদেশীয় অংশ এবং সিন্ধু-গঙ্গা সমভূমি সমভূমির উত্তরাংশের প্রায় 12-1 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 37.7%) এলাকা জুড়ে এই অঞ্চলটি অবস্থিত।
কৃষি সহায়ক জলবায়ু:
(1) অঞ্চলটিতে তীব্র গ্রীষ্ম এবং মৃদু তীব্র শীতল আবহাওয়ার প্রাধান্য রয়েছে। (ii) ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শুদ্ধ ঋতুতে এখানকার বার্ষিক তাপমাত্রা থাকে প্রায় >22 ডিগ্রি সেলসিয়াসের। (iii) এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 1000-1200 মিমি, যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঘটে থাকে। (iv) বার্ষিক PET এখানকার চাহিদার প্রায় 70 শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। (v) LGP এখানে বছরে প্রায় 150-180 দিন।
• মৃত্তিকা অঞ্চলটিতে নদীবাহিত পলি এবং পুরু-গভীর দোআঁশ মৃত্তিকার প্রাধান্য রয়েছে। এখানকার সমতল বা সামান্য ঢালু (শাজাদাপুর, গুরুদাসপুর, ইটওয়া প্রভৃতি) অংশে স্বল্প জৈব পদার্থ বিশিষ্ট প্রশমিত মৃত্তিকা লক্ষ্য করা যায়।
• ভূমি ব্যবহারগত দিক অঞ্চলটিতে বৃষ্টিনির্ভর এবং সেচনির্ভর উভয় প্রকৃতির ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ করা হয়ে থাকে। • এখানকার নীচু সমতল আর্দ্র অংশগুলিতে খারিফশস্যরূপে ধান, ভুট্টা, যব, পাট এবং সামান্য উঁচু এলাকায় রবিশস্যরূপে গম, সরিষা ও মসুর Shot on Y11 এলাকাগুলিতে আখ। অঞ্চলটির সেচযোগা চাষ করা হয়। 14 ও তুলা চাষের হয়।
উপবিভাগ। অঞ্চলটির প্রধান দুটি উপবিভাগ হল- (a) পাঞ্জাব এবং রোহিলখন্ড সমভূমির মিশ্র মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP 120-150 দিন), (b) রোহিলখন্ড, অবধ এবং দক্ষিণ বিহার সমভূমি অংশের মধ্যম থেকে অধিক গভীর দোআঁশ পলল মুত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP-150-180 দিন)।
(i) সেচ ব্যবস্থায় জলের ব্যাপক অপচয় ঘটে। (ii) উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে জলাবন্ধতা দেখা যায়। (iii) এখানকার বেশ কয়েকটি স্থানে লবণাস্ততার ঝুঁকি ভীষণভাবে রয়েছে
উষ্ণ উপ-আর্দ্র লাল এবং কালো মাটি সহ বাস্তুসংস্থানিক অঞ্চল (Hot sub-humid eco-region with red and black soils)
অবস্থান ও আয়তন:
মালওয়া মালভূমির কিছু আশ, বুন্দেলখন্ড উচ্চভূমি, নর্মদা উপত্যকা, বিস্থ্যের খাড়া ঢালের উত্তরাংশ এবং মহারাষ্ট্র মালভূমি ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের কিছু অংশ সমেত প্রায় 22-3 মিলিয়ন হেক্টর এলাকা (ভারতের 5.৪ শতাংশ) নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত।
• কৃষি সহায়ক জলবায়ু: (১) এখানে তীব্র শ্রীষ্ম এবং মৃদু শীত ঋতুর প্রাধান্য রয়েছে। (11) অঞ্চলটিতে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 1000-1500 মিমি। (iii) এখানকার গড় বার্ষিক PET মোট চাহিদার প্রায় ৪০%। (iv) বর্ষী পরবর্তী ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত অঞ্চলটিতে শুদ্ধ অবস্যা বিরাজ করে। (ঘ) এখানকার LGP প্রায় 150-180 দিন।
• মৃত্তিকা সমগ্র অঞ্চল জুড়ে গভীর কালো মৃত্তিকা লক্ষ্য করা যায়। তা ছাড়া ভিন্ন দুই ধরনের মৃত্তিকার (কমলা- খয়েরি) প্যাচও এখানে রয়েছে। অঞ্চলটির শৈলশিরা অংশে লোহিত মৃত্তিকা এবং পর্বত পাদদেশীয় অংশে আফ্রিক কর্দমময় মৃত্তিকার প্রাধান্য দেখা যায়।
ভূমি ব্যবহারণগত দিক:
অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বৃষ্টিনির্ভর ধান, জোয়ার, সয়াবিন এবং সেচনির্ভর ছোলা, গম ও নানা ধরনের শাকসবজি চাষ করা হয়। এখানকার প্রয়ান কৃষি অঞ্চল বাদ দিলে বাকি অংশে উষ্ণ-আর্দ্র পর্ণমোচী বনভূমি লক্ষ্য করা যায়।
উপবিভাগ: অঞ্চলটির প্রধান চারটি উপবিভাগ হল-
(a) মালওয়া মালভূমি, বিন্ধ্যের খাড়া ঢাল এবং নর্মদা উপত্যকার অগভীর কালো মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP 150-180 দিন)। (b) উষ্ণ, শুদ্ধ উপ-আর্দ্র সাতপুরা এবং পূর্ব মহারাষ্ট্রের মালভূমির অগভীর মাঝারি দোআঁশ-এঁটেল কালো মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অন্যল (LGP 150-180 দিন), (c) উফ, শুদ্ধ উপ-আর্দ্র বিন্ধ্যের খাড়া ঢালু এবং বুন্দেলখন্ড মালভূমির গভীর দোআঁশ-এঁটেল মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল এবং (d) উফ, আর্দ্র উপ-আর্দ্র সাতপুরা শ্রেণির এবং ওয়াইনগঙ্গা উপত্যকার অগভীর থেকে গভীর প্রকৃতির দোআঁশ-এঁটেল মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP 180-210 দিন)।
সমস্যা:
(১) এখানকার কর্কর এঁটেল মৃত্তিকায় আর্দ্রতা সংরক্ষণের স্বল্পতাজনিত কারণে উৎপাদনশীলতাও যথেষ্ট কম। (ii) বর্ষাকালে এখানকার জমিতে যেমন প্লাবন এবং দীর্ঘ শুষ্কতার কারণে খরার ঝুঁকিকে যথেষ্ট বাড়িয়ে দেয়। (iii) আর্দ্র ঋতুতে প্রবল পৃষ্ঠ প্রবাহের কারণে স্থানীয় মৃত্তিকা অপসারণ প্রক্রিয়ায় ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্ভিদের পুষ্টির হয়।
লাল এবং পার্শ্বীয় মৃত্তিকা সহ উষ্ণ উপ-আর্দ্র ইকো-অঞ্চলHot sub-humid eco-region with red and lateritic soils)
• অবস্থান ও আয়তন: ছোটনাগপুর মালভূমির বিস্তীর্ণ আশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ, ওড়িশার পূর্ণঘাটের দন্ডকারণ্য, গড়জট পাহাড় এবং ছত্তিশগড়ের বস্তার সমেত এই অঞ্চলটি প্রায় ২৮-৪ মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের ৪-2শতাংশ) জুড়ে অবস্থান করছে।
• কৃষি সহায়ক জলবায়ু: (১) অঞ্চলটিতে তীর গ্রীষ্ম এবং তীব্র শীতল ঋতুর প্রাধান্য রয়েছে। (ii) এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 1000-1600 মিমি। (৫) PET এখানকার বার্ষিক চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণে সক্ষম। (iv) LGP এখানে বছরে প্রায় 150-210 দিন।
• মৃত্তিকা অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশে পুসারো, চৌগেল সিরিজের লোহিত মৃত্তিকা এবং মধ্যম আঙ্গিক সুক্ষ্ম দোআঁশ-এঁটেল মৃত্তিকার স্তর রয়েছে।
• ভূমি কবহারগত দিক: অঞ্চলটির অন্যতম বৃষ্টিনির্ভর ফসল।হল ধান, ডাল এবং চীনাবাদাম প্রভৃতি। সেচযোগ্য জমিগুলিতে রবিশস্য হিসাবে ধান এবং গম চাষও লক্ষ করা যায়। এখানকার। অগভীর শৈলশিরা এবং মালভূমি অঞ্চলগুলিও কৃষিকাজের অধীন।
• উপবিভাগ অঞ্চলটির তিনটি উপবিভাগ হল- (a) উষ্ণ, আর্দ্র উপ-আর্দ্র গড়জাত পাহাড়, দণ্ডকারণ্য এবং পূর্বঘাট সংলগ্ন গভীর দোআঁশ লোহিত মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP 180-210 দিন), (b) উষ্ণ-আর্দ্র উপ-অর্থ পূর্বঘাটের মাঝারি-গভীর দোআঁশ লোহিত এবং পার্শ্বীয় মৃত্তিকা উপ-অঞ্চল (LGP 180-210)
ছোটনাগপুর মালভূমি এবং গড়জট পাহাড় জলাবন্ধ মধ্যম গভীর থেকে গভীর লোহিত দোআঁশ-এঁটেল মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP 150-180 দিন) প্রভৃতি।
• সমস্যা (১) এখানে ব্যাপক মৃত্তিকাক্ষয়ের ঝুঁকি রয়েছে। (ii) মরসুমি খরা এখানকার কৃষিজ ফলনকে ব্যাহত করে। (iii) মাটি প্রথনে নুড়িকশার প্রাধান্যের কারণে জলের সহজলভ্যতা যথেষ্ট কম। (iv) নাইট্রোজেনের অভাবে এই অঞ্চলের মাটিতে পুষ্টিগত ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।
উষ্ণ উপ-আর্দ্র (আর্দ্র) পললপ্রাপ্ত মৃত্তিকা অঞ্চল(Hot sub-humid (moist) eco-region with alluvium-derived soils)
• অবস্থান ও আয়াতন: অঞ্চলটি মধ্য হিমালয়ের পাদদেশ বরাবর উত্তর-পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর বিহারের প্রায় 11.1 মিলিয়ন হেক্টর এলাকা (ভারতের 3-4 শতাংশ) নিয়ে গঠিত।
• কৃষি সহায়ক জলবায়ু (1) এখানকার গ্রীষ্মকাল উষ্ণ-আর্দ্র এবং শীতকাল শীতল শুদ্ধ প্রকৃতির। (1) অঞ্চলটির বেশিরভাগ আশে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মে পর্যন্ত শুদ্ধতা বজায় থাকে (বাতিক্রম-উত্তরভাগ)। (iii) বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 1400- 1800 মিমি যা বার্ষিক PET চাহিদার তুলনায় সর্বাধিক। (iv) এখানে বার্ষিক LGP 180-210 দিন।
• মৃত্তিকা এখানকার বেশিরভাগ অঞ্চলের মাটি চুনযুক্ত এবং মধ্যম ক্ষারীয় কেসারগঞ্জ ও সবুর সিরিজের অন্তর্গত হলেও মধ্য হিমালয়ের পাদদেশে হালদি সিরিজের জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ গভীর দোআঁশ মৃত্তিকা এবং হিমালয় পাদদেশীয় সমতল অংশে তরাই মৃত্তিকার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
• ভূমি বাহারণগত দিক। ও অঞ্চলটিতে বৃত্তিনির্ভর ধান, ভুট্টা, মুখ এবং সেচের মাধ্যমে গম, মসুর, তিল, চীনাবাদাম চাষ করা হয়। এখানকার বেশ কিছু অঞ্চলে সেচের মাধ্যমে আখ, তামাক, মরিচের মতো অর্থকরী ফসল চাষের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।
• উপবিভাগ: এখানকার দুটি উল্লেখযোগ্য উপবিভাগ হল-(৫) উফ-শুদ্ধ আর্দ্র থেকে উপ-আর্দ্র প্রকৃতির উত্তর বিহার এবং অবধ সমভূমির পরিবর্তনশীল গভীর দোআঁশ-পলি মৃত্তিকা উপ-অঞ্চল এবং (চ) উষ্ণ-আর্দ্র বা উপ-আর্দ্র মধ্য হিমালয়ের পাদদেশীয় অংশের গভীর তরাই মৃত্তিকা সমন্বিত উপ-অঞ্চল।
• সমস্যা: (১) বছরের আর্দ্র ঋতুতে কন্যা এবা জলাবদ্ধতার কারণে এখানকার মৃত্তিকায় বায়ুচলাচল অত্যন্ত সীমিত। (ঘ) স্থানীয় মৃত্তিকায় লবণতার প্রভাব এখানকার ফসল উৎপাদনকে ব্যাহত করে। (iii) ভূমিভাগে অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি মৌলের যথেস্ট ঘাটতি রয়েছে।
উষ্ণ উপ-আর্দ্র থেকে আর্দ্র বা প্রায় আর্ড বন্য বাদামি এবং পডজল মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Warm sub-humid to humid with inclusion of perhumid eco-region with brown forest and podzolic soils)
• আম্মান ও আয়তন: অঞ্চলটি জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তর-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ সমেত প্রায় 21-2 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 6-3 শতাংশ) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
• কৃবিতায়ক জলবায়ু (1) অতুগত দিক থেকে অঞ্চলটিতে মৃদু গ্রীষ্ম এবং তীব্র শীতের প্রাধান্য রয়েছে। (ii) এখানে বর্তিত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 1000-2000 মিমি, যার মাত্রা অঞ্চলটির পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ক্রমশ বাড়তে হয়।
এখানে বার্ষিক প্রায় 90-120 দিন শুভষ্ণত্ব বিরাজ করে। (iv) বছরের বেশ কিছু মাসে বৃষ্টিপাত স্থিায়-কে ছারিয়া যায় বলে PET-র চাহিদাও এখানে যথেন্ট কম।
• মৃত্তিকা অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অগভীর থেকে গভীর, মাঝারি জৈর ধন্য বাদামি এবং পডজল মুক্তিবদ্ধ। প্রাধান্য থাকলেও নৈনিতাল ও গাড়ওয়াল জেলায় গান্ধীর দোআঁশ নিরপেক্ষ মৃদু ক্ষারীয় তরাই মৃত্তিকা এবং এখানকয় কুলগাম, শোপিয়ান, কাজিগুন্ড, তানমার্গ, গুলমার্গ, বারামুল্লা, লাইনপোরা, চাঁদহারা, পাম্পোর, বিজবেহারা প্রভৃতি দামে হিমবাহ সন্ততি কারেওয়া মৃত্তিকার প্রাধান্য দেখা যায়।
• তুমি বাবহারগত দিক এখানকার বিস্তীর্ণ উপত্যকা বরাবর বৃষ্যিনির্ভর গম, বাজরা, ভুট্টা, ধান প্রভৃতি ফসর চাষ করা হয়। অঞ্চলটির বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে উদ্যানকৃষিরূপে ফল। বিশেষত আপেল), ফুল ও সবজির চাষে অতন্ত উপযোগী। এখানকার উপক্রান্তীয় অঞ্চলগুলিতে গাইন এরা আরও ওপরে উপ-আত্মাইন উদ্ভিদের প্রাধান্য রয়েছে।
উপবিভাগসমগ্র অঞ্চলটির পাঁচটি উল্লেখযোগ্য উপবিভয় হল-(১) শীতল, উফ শুদ্ধ বা অর্ধ-উপ-শুদ্ধ দক্ষিণ কাশ্মীর এব পাঞ্জাব হিমালয়ের অগভীর থেকে মাঝারি গভীর বন্য বাদামি দোআঁশ এবং গতজল মুক্তিকা উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 90-120 দিন), (চং উষ্ণ-আর্দ্র থেকে শুম উদ-আর্দ্র দক্ষিণ কাশ্মীর এবং কুমায়ূন হিমালয় মধাম-গম্ভীর পরিবর্তনশীল মিশ্র মৃত্তিকা উপ-গুৰুল (LGP বাচ 150-210 দিন), (c) উচ্চক-আর্দ্র পাঞ্জাব হিমালয়ের অগাভীর-মাঝারি বা গভীর বন্য বাদামি দোআঁশ এবং পাড়জল মুক্তিকা উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 270-300 দিন), (d) উচ্চ-আর্দ্র বা প্রায় আর্দ্র কুমায়ুন পার্বত্য সংলগ্ন অগভীর থেকে মাঝারি গভীর লোহিত এবং হরিদ্রাভ দোআঁশ মৃত্তিকা অংশ (LGP বছরে 270-300+ দিন) এবং (৫) উত্ত-আর্দ্র কুমায়ূন হিমালয়ের পাদদেশীয়। জলাবন্ধ মাঝারি থেকে গভীর দোআঁশ মৃত্তিকা উপ-অঞ্চল (LCP বছরে 270-300 দিন)।
• সমস্যা (১) এই অঞ্চলের সুউচ্চ উত্তর প্রান্ত বরাবর প্রচণ্ড শীতলতা বা তুষারপাতের কারণে কৃষিকাজ প্রায়শং ব্যাহত হয়। (১০) এখানকার জলনিকাশি ব্যবস্থা যথেস্ট অনুন্নত। (ঘ) ব্যাপক কাতুমি বিনাশ, ভূমিক্ষয় ও ভূমিধসের। (বিশেষত কাংড়া এবং মানালি, হিমাচল প্রদেশে) ঘটনা এই অঞ্চলে বেশীর ভাগ সময়েই অত্যন্ত ঝুঁকির সৃষ্টি হয়।
উষ্ণ উপ-আর্দ্র (আর্দ্র) থেকে (প্রায় আর্দ্র অন্তর্ভুক্ত) পলল মৃত্তিকা থেকে গঠিত বাস্তু সম্মোনিক অঞ্চল। 15. (Hot sub-humid [moist] to humid [inclusion of perhumid) eco-region with alluvium-derived soils)
• অবস্থান ও আয়তন। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী অববাহিকার অসম এবং পশ্চিমবঙ্গোর বেশ কিছু অংশ সমেত গ্রায়। 12-1 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 3-7 শতাংশ) জুড়ে এই অঞ্চলটি বিস্তৃত।
• কৃষিসহায়ক জলবায়ু (1) অঞ্চলটির গ্রীষ্মকাল উষ্ণ এবং শীতকাল মৃদু থেকে মধ্যম শীতল প্রকৃতির। (ii) এখানকার প্রধান আর্দ্র ঋতুতে (জুন-সেপ্টেম্বর) গাঙ্গোয় সমতল অঞ্চলে বার্ষিক 1400-1600 মিমি এবং ত্রিপুরা সমভূমির বরাক অববাহিকা ও তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে বার্ষিক 1800-2000 মিমি বৃষ্টিপাত ঘটে থাকে। (iii) এই অঞ্চলের উত্তর এব্য পূর্ব আংশেই সর্বাধিক বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়। (iv) এখানে বার্ষিক LGP প্রায় 210 দিনের বেশি।
• মৃত্তিকা। সমগ্র অঞ্চল জুড়ে মৃদু থেকে তীব্র আম্লিক এবং সাধারণত নিম্ন থেকে মাঝারি আর্দ্র পালল মৃত্তিকার প্রাধান্য রয়েছে।
• ভূমি ব্যবহারগত দিক: ও অঞ্চলটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে স্থানীয় ঋতুভিত্তিক বৃষ্টিপাতকে কাজে লাগিয়ে ধান।
পাট এবং শীতে ডাল, তৈলবীজ, আখ প্রভৃতি ফসলের চাষ করা হয়। এই অঞ্চলের উপক্রান্তীয় ঢালু অংশে অর্থকরী ফসল চা এবং পর্বত পাদদেশীয় অংশে উদ্যানকৃষির ফসলরূপে আনারস, সাইট্রাস, কলা প্রভৃতির চাষ করা হয়। এখানকার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ক্রান্তীয় আর্দ্র এবং শুদ্ধ পর্ণমোর্চা উদ্ভিদের প্রাধান্য রয়েছে।
• উপবিভাগ অঞ্চলটির চারটি প্রধান উপবিভাগ হল-(a) উপ-আর্দ্র বা উষ্ণ-আর্দ্র উত্তর বিহার এবং বঙ্গীয় অববাহিকার সমতল উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 210-240 দিন), (চ) উচ্চ- আর্দ্র মধ্য ব্রহ্মপুত্র সমভূমির উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 240-270 দিন)। (c) উষ্ণ-আর্দ্র থেকে প্রায় আর্দ্র তিস্তা, নিম্ন ব্রহ্মপুত্র সমভূমি এবং বরাক উপত্যকার অংশ (LGP বছরে 270-300 দিন) এবং (d) উষ্ণ থেকে প্রায় উষ্ণ-আর্দ্র উচ্চ ব্রহ্মপুত্রের সমতল উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 300 দিন)।
• সমস্যা: (1) আর্দ্র ঋতুগুলিতে বন্যা ও জলাবদ্ধতাজনিত পরিস্থিতি অঞ্চলটির প্রতি বছরেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। (ii) এখানকার ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে বরাবর অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে (লিচিং প্রক্রিয়ায়) পৃষ্ঠ স্তরের মাটির উর্বরতা দ্রুত নষ্ট হয়
উষ্ণ-আর্দ্র পাহাড়ি বাদামি এবং লোহিত মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Warm sub-humid eco-region with brown and red hill soils)
• অবস্যান ও আয়তন: অঞ্চলটি পশ্চিমবঙ্গা, অসমের উত্তরাংশ, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিম সহ বিস্তীর্ণ পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় 96 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 2-9 শতাংশ) অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
• কৃষিসহায়ক জলবায়ু: অঞ্চলটিতে উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং শীতল শীত ঋতুর প্রাধান্য দেখা যায়। এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 2000 মিমি। এখানকার LGP বছরে 270 দিনের বেশি।
• বৃত্তিকা এখানকার বেশিরভাগ অঞ্চলের মৃত্তিকাই অগভীর থেকে মাঝারি গভীর দোআঁশ কিংবা জৈব পদার্থ সমৃৎ গভীর কন্য বাদামি প্রকৃতির।
• ভূমি ব্যবহারগত দিক: ও অঞ্চলটির বিভিন্ন উপত্যকা জুড়ে মিশ্র ফসল (সাধারণ আলু, মিষ্টি আলু, ভুট্টা, বাজরা,তিল, ধান, ডাল, বিভিন্ন শাকসবজি প্রভৃতি) চাষ করা হয়। খাড়া ঢালগুলিতে স্থানান্তর কৃষির প্রাধান্য রয়েছে। নিম্ন উপত্যকা জুড়ে বুলা, মেস্তা, আখ প্রভৃতি ফসল ফলানো হয়। এখানকার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি জমিগুলিতে ধাপ কেটে কেটে আনারস, কমলালেবু, আপেল, নাশপাতি, পীচ, কলা (উদ্যানকৃষিরূপে) প্রভৃতির চাষ করা হয়। *এ ছাড়াও, এখানকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে উপক্রান্তীয় পাইন এবং নাতিশীতোষ্ণ আর্দ্র চিরহরিৎ প্রকৃতির স্বাভাবিক উদ্ভিদ লক্ষ্য করা যায়।
• উপবিভাগ: অঞ্চলটির তিনটি উপবিভাগ হল-(৯) পূর্ব অবুণাচল প্রদেশে পাম অয়েলে ররিনালয়ের (ভুটান) পাদদেশীয় কঙ্কালসার দোআঁশ থেকে দোআঁশ তরাই মৃত্তিকা উপ-অঞ্চল, (b) দাজিলিং এবং সিকিম হয়।
মাটির উর্বরতা দ্রুত হ্রাস পায়। (iii) স্থানান্তরিত (রুম) কৃষির প্রভাবে প্রতিবছর এখানকার পার্বত্য এলাকাগুলি যেস ব্যাপক পরিমাণে বনভূমি উজাড় হয়ে যায়।
উষ্ণ-আর্দ্র লোহিত এবং পার্শ্বীয় মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল। (Warm Perhumid eco-region with red and lateritic soils)
• অবধান ও আয়তন। অঞ্চলটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ রাজ্য (পূর্বাচল), যেমন নাগাল্যান্ড মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা সমেত প্রায় 106 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 3.3 শতাংশ। জুড়ে বিস্তৃত।
• কৃষিসহায়ক জলবায়ু (১) এখানে উপ-আর্দ্র পাহাড়ি অঞ্চলটির মতোই উষ্ণ গ্রীষ্ম এবং শীতল শীত ঋতুর প্রাবানা দেখা যায়। (ii) বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এখানে প্রায় 2000 থেকে 3000 মিমি, যা PET-র থেকেও বেশি। (01) এখানকার আর্দ্রতা সূচক (X) শতাংশের উপরে। (iv) বার্ষিক LGP এখানে প্রায় 270 দিনের বেশি।
• মৃত্তিকা। এখানকার মুক্তিকা পাতলা থেকে খুব গভীর লোহিত বা প্রায় লোহিত দোআঁশ প্রকৃতির। তবে, বেশকিছু সানে 'ডায়ালং সিরিজের আগ্রিক মৃত্তিকাও পরিলক্ষিত হয়।
• ভূমি বাবহারগত দিক:০৬ অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ধান চাষ করা হলেও অন্যান্য ফসল যেমন-বাজরা ভুট্টা, আলু, পাট চাষেরও প্রাধান্য দেখা যায়। এখানকার গার্বত্য উপত্যকায় বাপ কেটে কেটে বাগিচাফসলরূপে চা, কফি, আনারস, কমলালেবু এমনকি রাবার চাষও করা হয়ে থাকে। বর্ষার শেষের দিকে এখানে তৈলবীজ (সরিষা), ডাল, কালোগ্রাম, সবুজ ছোলা এবা মসুর ডাল প্রভৃতির চাষ করা হয়। অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি পার্বত্য এলাকা জুড়ে স্থানান্তর কৃষিকাজ অনুসৃত হয়।
• উপবিভাগ: অঞ্চলটির প্রধান দুটি অংশ হল-(এ) মেঘালয় মালভূমি এবং নাগাল্যান্ড-এর পার্বত্য মাঝারি থেকে গভীর দোআঁশ এবং মধ্যম পাতলা এঁটেল লোহিত মৃত্তিকা উপঅঞ্চল (LGP 270-300+ দিন) এবং (৮) পূর্বাচলের গভীর বা নিম্ন থেকে মাঝারি গভীর লোহিত ও হরিদ্রাভ দোআঁশ মৃত্তিকা উপ-অ (LGP 300 দিন)। 15: 120 নিজেয়াম বাপ চায়।
• অসুবিধা (1) স্থানান্তর কৃষিতে বনভূমি বিনাশের ফলে এই অঞ্চলে ভূমিক্ষয়ের মাত্রা সর্বাধিক। (ii) বর্ষার শেষের দিকে অঞ্চলটির মাটির আদ্রতা ভীষণভাবে কমে যায়। (ii) অত্যধিক বৃষ্টিপাতজনিত লিচিং প্রক্রিয়ায় এখানকার মাটির গুণমান যথেষ্টভাবে হ্রাস পায়।
উয় উপ-আর্দ্র থেকে প্রায়-শুদ্ধ উপকূলীয় পললসংঘটিত মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Hot sub-humid to semi-arid eco-region with coastal alluvium-derived Soils)
• অবস্থান ও আয়তন। ভারতের বিস্তীর্ণ দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় সমভূমিকেন্দ্রিক বিশেষত কন্যাকুমারী থেকে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় ৪-5 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 26 শতাংশ) জুড়ে এই অঞ্চলটি বিস্তৃত।
• কৃষি সহায়ক জলবায়ু (1) অঞ্চলটি উপকূলীয় আর্দ্র বা অর্ধ-শুদ্ধ জলবায়ুর অধীন। (১) এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় 900-1100 মিমি। (iii) LGP বছরে এখানে প্রায় 90-150 দিনের মধ্যে সীমাবশ। (iv) এখানকার উপকূলীয় অংশগুলিতে (অন্তপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ) বৃষ্টিপাতের বার্ষিক মাত্রা আয় হয়।
এখানকার মৃত্তিকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা গ্রীষ্মে 22 ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি এবং শীতে 5 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয়ে থাকে।
• ভূমি ব্যবহারগার দিক (1) অঞ্চলটির উপকূলবর্তী অধিকাংশ
জেলা জুড়ে খরিফ ও রবি শস্যৰূপে প্রধানত ধান, মুসুর ডাল, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম প্রভৃতির চাষ করা হয়। (ii) নারকেল হল এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রণী ফসল। (iii) এ ছাড়াও, বিস্তীর্ণ এই অনন্মলের নিম্ন জলাশয়গুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে মাছচাষও করা হয়ে থাকে।
(a) উষ্ণ-শুদ্ধ বা প্রায়-শুদ্ধ দক্ষিণ তামিলনাড়ু উপকূলীয় মধ্যম গভীর মৃত্তিকা যুক্ত অঞ্চল (LGP বছরে 90-120 দিন), (b) উফ-আর্দ্র বা শুদ্ধপ্রায় উত্তর উপকূলীয় উত্তর তামিলনাড়ু সমভূমি উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 120-150 দিন), (৫) উষ্ণ-শুদ্ধ উপ-আর্দ্র পাতলা থেকে মাঝারি গভীর মৃত্তিকার অস্ত্র সমভূমির উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 150-180 দিন), (১) উফ-শুদ্ধ উপ-আর্দ্র ওড়িশার উৎকল সমভূমি এবং পূর্ব গোদাবরী বদ্বীপ অঞ্চল (LGP বছরে 180-210 দিন), এবং (৫) উষ্ণ-আর্দ্র উপ-আর্দ্র থেকে মাঝারি গভীর মৃত্তিকাসম্পন্ন আর্দ্র গাঙ্গোয় ব-দ্বীপ উপ অঞ্চল (LGP বছরে 240 270দিন)।
• সমস্যা: (1) অঞ্চলটির নিষ্কাশনের অব্যবস্থা ও সেই সাথে মৃত্তিকায় স্বল্প অক্সিজেনের মাত্রা উৎপন্ন ফসলের সীমিত বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে। (ii) অঞ্চলটিতে প্রায়শই ব্যাপকভাবে ঘটতে থাকা প্লাবন, ঘূর্ণিঝড়গুলি বিধ্বংসী চেহারা নিয়ে ভীষণ ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়।
উষ্ণ-আর্দ্র বা আর্দ্রপ্রায় ল্যাটেরাইট এবং পললসংঘটিত মৃত্তিকাবিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Hot humid perhumid eco-region with red, lateritic and alluvium-derived Sails)
• অবস্থান ও আয়তন: অঞ্চলটি ভারতের পশ্চিমঘাট (সহ্যাদ্রি), মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি, কর্ণাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুর নীলগিরি পর্বত সমেত প্রায় 11-1 মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের 3-6 শতাংশ) স্থান জুড়ে বিস্তৃত।
• কৃষিসহায়ক জলবায়ু (1) অঞ্চলটিতে উষ্ণ-আর্দ্র গ্রীষ্ম এবং উষ্ণ শীত ঋতুর প্রাধান্য রয়েছে। (11) এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা 25°C-28°C-এর মধ্যে থাকে। (ii) অঞ্চলটির প্রায় সমস্ত অংশ জুড়ে গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 2000 মিমি-এর বেশি। (iv) ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিলে এখানে আর্দ্রতা বেশি থাকলেও বৃষ্টিপাত খুবই স্বপ্ন হয়ে থাকে। (1) অঞ্চলটিতে LGP বছরে 150 থেকে 210 দিনের মধ্যে সীমাবন্ধ।
• মৃত্তিকা এখানকার বেশিরভাগ অঞ্চল জুড়ে লোহিত বা ল্যাটেরাইট এবং আম্লিক গভীর এঁটেল মৃত্তিকার প্রাধান্য থাকলেও উপকুলীয় সমভূমিতে পলি মুক্তিকাও লক্ষ্য করা যায়। তা ছাড়া, সমগ্র অঞ্চলটির মৃত্তিকায় গ্রীষ্ম ও শীতকালে তাপমাত্রার পার্থক্য মাত্র 5 ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম থাকে।
• ভূমি ব্যবহারগত দিক: এখানকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ধান চাষের সর্বাধিক প্রাধান্য রয়েছে। অন্যান্য চাষযোগ্য অংশে ট্যাপিওকা, নারকেল এবং বিভিন্ন ধরনের মশলা প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। এখানকার অন্যান্য অপ্রধান অঞ্চল জুড়ে আর্দ্র পর্ণমোচী বনভূমি লক্ষ্য করা যায়।
• উপবিভাগ: অঞ্চলটির প্রধান তিনটি উপঅংশ হল- (১) উষ্ণ-আর্দ্র উত্তর উচ্চ পশ্চিমঘাট এবং কোষন উপকূলীয়।
মাঝারি থেকে গভীর দোআঁশ-এঁটেল মিশ্রিত মধ্যম উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 210-240 দিন), (৮) উষ্ণ-আর্থ উপ-অ মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিমঘাট পর্বতের নিম্ন থেকে মাঝারি গভীর দোআঁশ-এঁটেল মৃত্তিকা বিশিষ্ট উপ-অঞ্চল (LGP বছে 210-270 দিন), এবং (c) উক-আর্দ্র থেকে প্রায়-আর্দ্র কোঙ্কন, কর্ণাটক এবং কেরল উপকূলীয় নিম্ন সমতল আশের আম্লিক কদম-দোআঁশ বা পলি মৃত্তিকা অঞ্চল (LGP বছরে 240-270 দিন)।
• সমস্যা: (i) অতুভিত্তিক জলাবন্ধতার কারণে অঞ্চলটির ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায়শই ব্যাহত হয়। (ii) অত্যধিক লিচিং প্রক্রিয়ায় এখানকার মাটির ওপরের অংশ দ্রুত পুষ্টিগুণ হারায়। (iii) এখানকার স্থানীয় লবণান্ত জলাভূমিগুলিও ফসল উৎপাদনের অন্তরায়।
উষ্ণ-আর্দ্র বা প্রায়আর্দ্র দ্বীপ অঞ্চলের লোহিত-দোআঁশ এবং বালুকাময় মৃত্তিকা বিশিষ্ট বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চল (Hot humid per-humid Island eco-region with red loamy and sandy soils)
• অবস্থান ও আয়তন: অঞ্চলটি ভারতের পূর্ব দিকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিম দিকে লাক্ষাদ্বয়ীগ সমেত মাত্র ০-৪ মিলিয়ন হেক্টর (ভারতের মোট ভূখন্ডের প্রায় 0.3 শতাংশ) জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করছে।
• কৃষিসহায়ক জলবায়ু (1) অঞ্চলটিতে ক্রান্তীয় জলবায়ুর প্রাধান্য রয়েছে, যেখানে গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন গড় তাপমাত্রার সামান্য পার্থক্যই পরিলক্ষিত হয়। (ii) এখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 1600 মিমি (লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে) থেকে 3000 মিমি (আন্দামান ও নিকোবরে) পর্যন্ত। (iii) এখানকার LGP বছরে 210-এর বেশি।
• মৃত্তিকা: অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশের মৃত্তিকা সর্বদা আর্দ্র অবস্থায় থাকে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মাঝারি থেকে খুব গভীর দোআঁশ এবং সামুদ্রিক পলল মৃত্তিকা এবং লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জে অত্যন্ত চুনযুক্ত ও বালুকাময় মৃত্তিকার প্রাধান্য দেখা যায়।
• ভূমি ব্যবহারগত দিক অঞ্চলটির প্রধান উৎপন্ন ফসল হল ধান। উপকূলবর্তী বেশির ভাগ অংশ জুড়ে নারকেল, পাম, ট্যাপিওকা এবং মরিচ জাতীয় ফসলের চাষ যথেষ্ট পরিমাণে লক্ষ্যণীয়। * এখানকার (আন্দামানের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ক্লান্তীয় চিরসবুজ এবং উপকূলীয় জলাভূমির লবণাম্বু উদ্ভিদের প্রাধান্য রয়েছে।
• উপবিভাগ: অঞ্চলটির প্রধান দুটি উপ-অংশ হল- (a) উষ্ণ-প্রায় আর্দ্র আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অগভীর থেকে মাঝারি গভীর লাল এবং হলুদ দোআঁশ-কাদামাটি উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 300 দিন), (b) অতি উষ্ণ-আর্দ্র লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জের (উপকূলীয়) অগভীর থেকে মাঝারি গভীর দোআঁশ-বেলে এবং বালুকাময় কালো মৃত্তিকা উপ-অঞ্চল (LGP বছরে 240-270 দিন)।
• সমস্যা: (1) অঞ্চলটিতে ভীষণভাবে মৃত্তিকার ক্ষয় ঘটে থাকে। (ii) এখানকার বেশিরভাগ কৃষি অঞ্চলগুলি প্রায়শই সামুদ্রিক লবণাক্ত জলে প্লাবিত হয়ে থাকায় সংলগ্ন মৃত্তিকাকে আরও অনুর্বর করে তোলে থাকে