গ্রাফ তত্ত্ব (Graph Theory)
আঞ্চলিকীকরণ পদ্ধতিতে প্রবাহ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় আরেকটি কৌশলের সাহায্য নেওয়া হয়, যেটি হল গ্রাফ তত্ত্ব। মূলত টেলিফোন কলের ওপর ভিত্তি করে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করার এই গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিটির উদ্ভাবনা করেছিলেন Boudevilli এবং Decay নামক দুইজন বিখ্যাত পরিকল্পনাবিদ।
এখানে প্রথমেই কোনও একটি বিশেষ বা নির্দিষ্ট আঞ্চলিক পরিসর বা কেন্দ্রে টেলিফোন কলের সংখ্যাকে প্রবাহের অন্যতম নিয়ন্ত্রক বা ম্যাট্রিক্সরূপে গণ্য করে, তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি গ্রাফে তালিকাবন্ধ করা হয়। এরপর, প্রত্যেকটি কেন্দ্রের বাইরে এবং অভ্যন্তরীণ পরিসরে নির্গত সমস্ত ধরনের মুখ্য ও গৌণ টেলিফোনকল প্রবাহের পরিমাণকে মাত্রাগত দিক থেকে পৃথক করা হয়। এখানে চিহ্নিত আঞ্চলিক কেন্দ্রের আকার এবং গুরুত্ব অনুসারে স্থিরীকৃত প্রধানকেন্দ্র, উপকেন্দ্র এবং অন্যান্য ক্ষুদ্রকেন্দ্রগুলিকে নোডগুলির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সরলরৈখিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চিত্রানুগ উপস্থাপন করা হয়। সবশেষে সামগ্রিক নেটওয়ার্কটির আকার এবং বিস্তার সংক্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে প্রদর্শিত ক্রিয়ামূলক অঞ্চলটিকে উপস্থাপন বা বিশ্লেষণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট চিত্রটিতে হল প্রধান কেন্দ্র, যেখানে, B, E, G নামক কয়েকটি উপকেন্দ্রীয় এবং A,C,F,I প্রকৃতি একাধিক ক্ষুদ্র কেন্দ্র গুলির সাথে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।