welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

জ্যামিতিক ত্রুটির সংশোধন (Geometric Correction)


 জিওমেট্রিক সংশোধন বলতে সংবেদক ও পৃথিবীর জ্যামিতিক (Geometry) পাতিলের জন্য যে ক্ষেত্র গাণিতিক বিচ্যুতি ঘটে তার সংশোধন ও সংবেদক দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যকে বক্তব পৃথিবীর কো-অর্ডিনেটে (অর্থাৎ অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশে) পরিবর্তন করা। পৃথিবীর গতির সঙ্গে সংবেদকের গতির এমরুস করে এবং পৃথিবীর সঙ্গে সংবেদকের জ্যামিতিগত সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যমে গাণিতিক মডেল তৈরী করে এই ভাগের ত্রুটি দূর করা হয়।

এইভাবে কোন স্থানের জ্ঞাত কো-অর্ডিনেট পদ্ধতির দ্বারা জিওমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এইসব পতিগত বা এলোমেলো (random) ত্রুটি দূর করা হয়।

এই ধরনের ত্রুটিগুলির উৎস হল-

i) পৃথিবীর বক্রতাজনিত কারণে

ii) উচ্চতাজনিত তারতম্যের কারণে

iii) সংবেদক প্লাটফর্মের উচ্চতা ও গতির তারতম্যে

iv) চিত্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ঘূর্ণনজনিত কারণে

v) বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণ

vi) ভূ-পৃষ্ঠের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে

vii) ভূ-ভাগীয় বিচ্যুতি (relief displacement)

viii) সংবেদক IFOV-এর অরৈখিক বাঁকের কারণে এবং

ix) সংবেদক IFOV-এর চিত্রগ্রণের সময় সামগ্রিক দৃশ্যাবলী গ্রহণে অসমর্থ হওয়ার কারণে ইত্যাদি।

জিওমেট্রিক সংশোধন প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে হয়। যথা-

(1) ত্রুটিযুক্ত উপযুক্ত চিত্রের কো-অর্ডিনেটে (অর্থাৎ সারি ও স্তম্ভ) পরিস্কারভাবে পরিলক্ষিত ও চিহ্নিত কিছু বিন্দুকে (যাকে Ground Control Points বা GCP বলা হয়) ভূমিভাগের কো-অর্ডিনেটে (অর্থাৎ অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ) অবস্থিত, তাদের সঠিক অবস্থানে সাজানো ও বসানো হয়। এক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় স্তরের (1st, 2nd order) ট্রান্সফরমেশন পদ্ধতি দ্বারা গলিনোমিন্যাল সমীকরণ ব্যবহার করে উৎস কো-অর্ডিনেটকে সঠিক কো-অর্ডিনেটে পরিবর্তন করা হয়। "Least square mgression" পদ্ধতি ব্যবহার করে পলিনোমিন্যাল কো-অফিয়েন্ট নির্ণয় করা হয়। যা মানচিত্রের প্রত্যেকটি বিন্দুকে উপগ্রহ উত্রের নির্দিষ্ট বিন্দুতে সংযোগ স্থাপনে সাহায্য করে.

(2) দ্বিতীয় ভাগে, Resampling পদ্ধতির দ্বারা উৎপন্ন সঠিক চিত্রে নতুন pixel গুলির ডিজিট্যাল মান নির্ণয়করণ ও গঠন করা হয়।

সাধারণত এই ধরণের ত্রুটি দুই প্রকার হয়-

(i) Systematic Correction

(ii) Non-systematic Correction

পদ্ধতিগত ত্রুটির সংশোধন (Systematic Correction): পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলি নিয়ন্ত্রিত প্রকৃতির ও যা চিত্রগ্রহণের পূর্বেই গণনা করা যায়। ইহা তিন প্রকারের হয়।  

স্ক্যান স্কিউ (Scan Skew): সংবেদকের চিত্রগ্রহণ আয়নাগুলি বাঁকের (sweep) সময় বিমানের অগ্রগতির কারণে এই ত্রুটির সৃষ্টি হয়।

 আয়নার জ্ঞাত গতির তারতম্য (Known Mirror Velocity Variation): সংবেদকের আয়নাগুলি শুধু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক Scan রেখা বরাবর গতির তারতম্যজনিত কারণে এই ধরণের ত্রুটি ঘটে।

 ক্রস-ট্রাক বিচ্যুতি (Cross Track Distortion): এই ধরণের ত্রুটিগুলি "Cross-track-scanner" যরা গৃহীত সকল অপ্রতিস্থাপনযোগ্য চিত্রে দেখা যায়.

অপদ্ধতিগত সংশোধন (Non-Systematic Correction): ইহা সাধারণত স্পেসক্রাফটের পরিবর্তনীয় কিছু তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। যেমন-

আহরিত তথ্যের উচ্চতাজনিত তারতম্যে ত্রুটি (Distortion Evaluated from Tracking Data) চিত্রগ্রহণের প্রয়োজনীয় সময়টিতে (সাধারণত 26 সে.) পৃথিবীর ঘূর্ণনজনিত কারণে যে ত্রুটি হয়।

ভূ-নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রাপ্ত ত্রুটি (Distortion Evaluated from Ground Control): ইহা স্পেসক্রাফটর চিত্রগ্রহণের সময় ঘটে থাকে।

উচ্চতাজনিত তারতম্য (Altitude Variation): যেমন উড়ন্ত বিমানের উচ্চতার তারতম্যে Roll, Pitch, Yaw প্রভৃতি ত্রুটি ঘটে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01