পৃথিবীর ভৌগোলিক কো-অর্ডিনেট পদ্ধতি (Geographic Co-ordinate System of the Earth)
পৃথিবীর কোন স্থানকে চিহ্নিত করার জন্য পৃথিবীর আকৃতিকে মাথায় রেখে ত্রি-মাত্রিক Co-ordinate System গঠন করা হয়েছে।
দুই প্রাথমিক বিন্দু পৃথিবীর দুই মেবু (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেনুতে) তে স্থাপন করা হয়েছে, যা পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের খারা ছেদিত হয়েছে। দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বের মানখানে একটি কাল্পনিক রেখা অঙ্কন করা হয়েছে। যা নিরক্ষরেখা নামে পরিচিত।
মেরু বৃত্ত ও নিরক্ষরেখা ধারণকারী বৃত্ত পরস্পরকে সমকোণে পৃথিবীর কেন্দ্রে ছেদ করে। যাকে Geographic Co-Ordinate System-এর উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।
পৃথিবীর কোন স্থানের অবস্থান দুটি কৌণিক পরিমাপ দ্বারা নির্ণয় করা হয়-
(i) এদের মধ্যে প্রথম তলটি হল নিরক্ষীয় তল যা একটি নির্দেশিত তল (Reference Plane) হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং যেখান থেকে উলম্ব কৌণিক পরিমাপ পাওয়া যায় যা অক্ষরেখা নামে পরিচিত।
(ii) এবং দ্বিতীয় পরিমাপটি নিরক্ষরেখা বরাবর মূলমধ্যরেখা তল থেকে ঐ স্থানটির তলের কৌণিক মানের সমান হয়। এই কৌণিক পরিমাপকে দ্রাঘিমারেখা বলে।