আগুলিকীকরণের বিভিন্ন দৃষ্টিভলি (Different approaches of Regionalization)
আন্তনিকীকরণের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ভৌগোলিক দৃষ্টিভ্যি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এগুলি হল-
• বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি (Descriptive approaches): আঞ্চলিকীকরণের প্রচেস্টায় বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে। এমন একটি সাধারণ নীতি মানা হয়, যার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চলগুলিকে তার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য বা কার্যকরী সম্পর্ককে শৃঙ্খল্যাবশ্যাভাবে প্রকাশ করা যায়। কোনও ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চলকে যখন সাধারণভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়, সেখানে পরিসরগর দিক থেকে প্রথমেই তার ভৌগোলিক অবস্থানের প্রেক্ষাপট (যেমন- সেটি পার্বত্য অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল, সমভূমি অঞ্চল কি না। তা বিবেচনা করা যায়। সংশ্লিন্ট অঞ্চলগুলিকে পুনরায় যখন বেশ কয়েকটি স্থানীয় উপ- একক ধরে বর্ণনা করা হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিন্ট ভূ-প্রকৃতির যথার্থ অবস্থানগত দিক, সম্মান কেন্দ্রিকতা, আঞ্চলিক সংযোগ প্রস্তুতি অনুযায়ী বর্ণিত হয়। যেমন-
• ভারতের উত্তরের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলকে-
• দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পশ্চিম হিমালয়, মধ্য হিমালয়, পূর্ব হিমালয় প্রভৃতি অঞ্চলে এবং
• প্রস্থ অনুযায়ী-টেথিস হিমালয়, হিমাদ্রি হিমালয়, হিমাচল হিমালয়, শিবালিক হিমালয় প্রভৃতি অঞ্চলে বিভন্ত করে বর্ণনা করা হলে আঞ্চলিক বিভাজনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
• ব্যাখ্যামূলক দৃষ্টিভঙ্গি (Explanation approaches): ব্যাখ্যামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে আঞ্চলিকীকরণের প্রচেস্টাটি দীর্ঘকাল যাবৎ পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই যথেষ্ট জনপ্রিয়। সাধারণত বাহ্যিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবস্তুত এই দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে অঞ্চলের সামগ্রিক অবস্থা, বিভিন্ন সময়কালীন পর্যায়, বণ্টন, বিস্তার সহ একাধিক বিষয়কে অতি সহজেই পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন করা যায়। যেমন ভ্লাদিমির কোপেন বিশ্ব জলবায়ু অঞ্চলের উপস্থাপনায় ব্যাখ্যামূলক দৃষ্টিভঙ্গিকে সর্বতোভাবে প্রয়োগ করেছিলেন।
• বিষয়মূলক দৃষ্টিভঙ্গি (Subjective approaches): বিষয়মূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে সমীক্ষাভিত্তিক আনালিকীকরণকে বিভিন্ন ভৌগোলিক মডেল আকারে উপস্থাপন করা হয়। বিশেষত, আঞ্চলিকীকরণের এই দৃষ্টিভঙ্গিতে যে সমস্ত স্থানিক ধ্রুবক গুরুত্ব পায়, সেগুলি অঞ্চলকে বিভিন্ন মাত্রায় প্রকাশ করে থাকে। যেমন-ক্রিস্টেলারের কেন্দ্রীয় স্থান তত্ত্ব বা ভন খুনেনের কৃষিজমি মডেলে বিষয়মূলক দৃষ্টিভঙ্গি আঞ্চলিকীকরণের বিধিবদ্ধ প্রচেষ্টায় সার্থক রূপায়ণ ঘটেছে।
• নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি (Impartial approaches): আঞ্চলিকীকরণের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিটি অনেক সময় ভৌগোলিক উদ্দেশ্যসাধনের বিপরীতে গিয়ে অথবা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রত্যেক অঞ্চলের আরোপিত বিশেষ গুণ বা সত্ত্বাকে যথার্থরূপে প্রতিষ্ঠিত করে। অবশ্য এখানেও আঞ্চলিক পৃথকীকরণে সমীক্ষার বিষয়টিকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হয়। যেমন-হার্টশেন, ডিকিনসন প্রমুখ ভৌগোলিক নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি। অনুসারে আঞ্চলিকীকরণের প্রচেষ্টা