welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

আঞ্চলিকতা প্রসঙ্গ(The Context of Regionalism)

 আঞ্চলিকতা প্রসঙ্গ(The Context of Regionalism)

আঞ্চলিকতার বিভিন্ন ধারণা (Different ideas of regionalism)

অবশ্য, বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আঞ্চলিকতাকে একটু অন্যভাবে ব্যখ্যা করেছেন, যেমন-

• W P. Scott বলেছেন, "Regimalism is an approach to the study of behaviner that emptumise the geographical region as the unnt of analysis stressing the relationship between beings and their immediate pleysical environment. Ecmsomic, social, cultural and edited s are analyzed in terms of their relationships and Tunchens within the।

অর্থাৎ, আঞ্চলিকতা হলের মধ্যে আরেকটি তাতে আমাকে তৌদির একটি একক হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তাৎক্ষণিক বাহ্যিক পরিতাপের একটি প্রাশনের জোর দেয় এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক এবং কার্যাবলীর পরিপ্রেক্ষিতেও বিশ্লেষণ করা হয়।

• Marshall E Dimcock-এর মতে Regionalism as a clustering of environmental con Marshal governmental factors to such an extent planning man of sentity within the whole, a need for autonomous planning, a manifestation of culture entity thes and a desire for administratially pur

দিন অর্থাৎ, আঞ্চলিকতা পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সরকারি প্রভাবকগুলির এমন একটি গুচ্ছ পরিনাম যার মধ্যে সমগ্রের মধ্যে পৃথক পরিচয়ের একটি স্বতন্ত্র চেতনা, স্বায়ত্তশাসিত পরিকল্পনার প্রয়োজন সাংস্কৃতিক বিশেষত্বের প্রকাশ, প্রশাসনিক স্বাধীনতার স্বীকৃত আকাঙ্ক্ষা এবং বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করার প্রবণতা অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আঞ্চলিকতার বৈশিষ্টা (Characteristics of Regionalism):

আঞ্চলিকতার সাধারণ বৈশিষ্টগুলি হল নিম্নরূপ-

(1) আঞ্চলিকতা কোনও এক বা একাধিক জনগোষ্ঠীর মানসিক সচেতনতার অন্যতম একটি বহিঃপ্রকাশ।

(ii) এটি জাতীয়তাবোধের অভিব্যক্তির পাশাপাশি অনালের প্রতি জনগোষ্ঠীর আনুগত্যতাকেও প্রদর্শন করে।

(iii) আঞ্চলিকতা হল জাতীয় ঐক্য সংগঠন এবং সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান।

(iv) আঞ্চলিকতা সাধারণত আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘকালীন কোনো পুঞ্জীভূত বঞ্চনাকেও ইঙ্গিত করে থাকে।

(v) আঞ্চলিকতার সমস্ত ভাবধারাকেই এক একটি পৃথক উৎসস্থল থেকে চিহ্নিত করা যায়।

(vi) আঞ্চলিকতার স্বার্থ প্রায়শই নিজ অনন্তলের উন্নয়নের ধারণাকে সম্প্রসারিত করতে যথেষ্ট ক্রিয়াশীল।

(vii) আঞ্চলিকতার ভাবধারাগুলি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্যে একটি দেশকে ছোটো ছোটো কয়েকটি পৃথক ক্ষেত্রে বিভক্ত করার নীতিকে সমর্থন করে।

আঞ্চলিকতার প্রকারভেদ (Types of regionalism):

বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিকতাবাদী ভাবধারাকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়, যথা-

অধি-রাষ্ট্রিক আঞ্চলিকতা (Super state regionalism): যখন একটি রাজ্যের বিভিন্ন গোষ্ঠী পারস্পরিক স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে অন্য প্রদেশগুলির বিরুদ্ধে বৈরিতাপূর্ণ একাধিক কার্যাবলীতে লিপ্ত থাকে, তাকে অধিরাষ্ট্রিক আঞ্চলিকতা বলা হয়। এই ধরনের আঞ্চলিকতায় অন্তঃগোষ্ঠী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, উত্তেজনা এবং পারস্পরিক দ্বন্দ্বগুলিকে চরম পর্যায়ে উপনীত করে।

• যেমন- ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে এই ধরনের আঞ্চলিকতা লক্ষ্য করা যায়।

অন্তঃরাষ্ট্রীয় আন্তলিকতা (Inter state regionalism): সাধারণত দেশের দুটি প্রাদেশিক অঞ্চলের মধ্যে স্বার্থকেন্দ্রিক যে সংঘর্ষবাদী সংকীর্ণ ভাবধারা গড়ে ওঠে, তাকে অন্তঃরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিকতা বলা হয়।

⇒ যেমন-কাবেরী জলের বণ্টন নিয়ে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্যে বিরোধকে অন্তঃরাষ্ট্রীয় আঞ্চলিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে গণ্য যেতে পারে।

• আন্তসীয় আধালিকতা (Intra state regionalism) এটি আঞ্চলিকতার এমনই একটি ভাবধারা।যেখানে ইতিবাচকভাবে রাষ্ট্রের একটি অংশের মানুষ অপর একটি অংশের মানুষের আত্মবিকাশের পথকে হয়েন্ট প্রশস্ত করে তোলে। সাধারণত, সমভাবাপন্ন এই ধরনের মনোভাব দেশের অখণ্ডতা এবং ঐকা সুরক্ষিত রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।

যেমন-উড়িষ্যার উপকূলীয় অঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের অনুভূতিমূলক আঞ্চলিকতা।

আধুনিকতার আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট (The International Context of Regionalism) :

বিশ্বের বিভিন্ন দৈশিক পরিমণ্ডল অনুযায়ী আঞ্চলিকতার এক একটি পৃথক পটভূমি পরিলক্ষিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমী বিশ্বের একাধিক দেশে সুসংগতভাবে আঞ্চলিকতা ভাবধারাগুলি উনবিংশ শতকের বহুকাল আগেই প্রসার লাভ করেছিল। 1999 খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত 'The American Historical Review' নামক প্রতিবেদনে Bringing Regionalism Back to History" নামক শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশগুলির থেকেই আঞ্চলিকতার প্রথম উত্থান ঘটে। প্রাথমিকভাবে, ইউরোপে আঞ্চলিকতা বিকাশের ক্ষেত্রে সেখানকার রাজনৈতিক তথা সাংস্কৃতিক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল। 1759 থেকে 1860 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত, রাশিয়ান আঞ্চলিকতার মূল ভিতটি সম্পূর্ণভাবেই ছিল সাংস্কৃতিক ভাবধারা সংক্রান্ত। 1861 খ্রিস্টাব্দের পর, রাশিয়ার আঞ্চলিকতায় সেখানকার রাজনৈতিক চাহিদার সাথে সাংস্কৃতিক চাহিদাগুলি পুরোপুরি মিশে যায়। সোভিয়েতদের অধীনে, আঞ্চলিকতা তৎকালীন সাংস্কৃতিক দিক থেকে কিছুটা পিছু হটলেও, পরবর্তীকালে সেটিই আবার প্রধান একটি রাজনৈতিক শক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। আধুনিক ইউরোপের দেশগুলিতে অর্থনৈতিক একত্রীকরণ এবং বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা, গোষ্ঠী সুরক্ষার বিষয়গুলি ধীরে ধীরে আর্থসামাজিক এবং জাতীয় স্বার্থের সাথে মিশে গিয়ে নতুন এক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিশেষ করে, বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিকাশ, শক্তিশালী জাতীয়তাবোধ, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলির প্রতি চরম অনাস্থা, বিশ্বায়নের চরম প্রভাব শুধু পশ্চিমী আধুনিক রাষ্ট্রগুলিতেই নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলিকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে, আঞ্চলিকতা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক চালিকাশক্তির প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়ায়। স্নায়ুযুদ্ধের সময়, পৃথিবীর বেশিরভাগ অঞ্চলই তাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলির রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক অধিকারগুলিকে খর্ব করতে সেখানকার নিরাপত্তা এবং জাতীয় সিদ্ধান্তের উপর ভীষণ চাপ সৃষ্টি করেছিল। এই সময়, দ্বিমেরু বিভাজন নীতির ফলে আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিশ্বের বেশ কিছু আঞ্চলিক শক্তি তাদের নিজস্ব ভৌগোলিক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখে। এই ধরনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কাঠামোর পরিবর্তন এবং নতুনভাবে নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আঞ্চলিকতার ভীতকে অনিবার্যভাবেই আরও প্রগাঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে।

অবশ্য, বিগত শতকের পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশকের মধ্যে আঞ্চলিকতা ভাবধারাগুলি কিছুটা পরিমার্জিত হয়েছে। এই সময়কালে "পুরাতন আঞ্চলিকতা"র জ্বলে বেশ কিছু আদর্শবাদী ভাবধারা সংযুক্ত হয়ে যায়। 1980-এর দশকের শেষের দিকে, আঞ্চলিক একত্রীকরণের একটি নতুন লড়াই শুরু হয়, যা নৈতিক দিক থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্যোগগুলিকে স্বাগত জানিয়ে স্বতন্ত্র কয়েকটি "সংস্কৃতি ক্ষেত্র” প্রতিষ্ঠা করে, যেগুলিকে "নতুন আঞ্চলিকতা"-রূপেও আখ্যায়িত করা হয়।

বর্তমানে, একবিংশ শতাব্দীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষার একটি প্যারত্বপূর্ণ উপাদান মেশ মাঞ্জলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা। তাই এগুলিকেও প্রায়শই আঞ্চলিকতারই অন্যতম ফসল রূপে সর্বাধিক বিবেচিত হয়ে থাকে।

প্রসলত উল্লেখ্য, নতুন আঞ্চলিকতা বর্তমানে ক্রমশ বিশ্ব মনস্তাত্ত্বিকতার চেহারা নিচ্ছে। তাছাড়া, এটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অও প্রসনার ভায় সমস্ত ধরনের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলিকে মোকাবিলা করতে রাষ্ট্রগুলিকে যথেষ্ঠ উদবুদ্ধ করে থাকে। এইভাবে নতুন আঞ্চলিকতায় মানুষ ভাবাদর্শের একাধিক রূপান্তরের সাথে সামিল হয়ে বহুমেরুত্বের নীতিগুলিকে যদেখ প্রশস্ত করেছে। সেই কারণে, নতুন আঞ্চলিকতা এবং বহু-মেরুত্ব আসলে একই মুদ্রার দুটি ভিন্ন দিক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01