ইলিপসয়েড সম্পর্কে ধারণা (Concept of the Ellipsoid)
পৃথিবীর মেরুদেশীয় অঞ্চলকে আমরা একটু চ্যাপ্টাকৃতির দেখি এবং পৃথিবীর ভৌত আকৃতি (Physical Shape) 3 একটি গাণিতিক পৃষ্ঠতলের (Mathematical surface) সঙ্গে তুলনা করা যায় যা Elipsoid-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থং কোন বস্তু তার Minor axis-এর উপর ঘূর্ণায়মান অবস্থায় যেরকম আকৃতি ধারণ করে তাকে Ellipsoid বলে। (Seether 1993).
Ellipsoid অনুভূমিক Co-ordinate (Latitude Longitude)-এর Referance Surface হিসেবে Geodatc Network-এ বহুল ব্যবহৃত হয়। যেহেতু Ellipsoid-এর মেরুদেশীয় অঞ্চল চ্যাপ্টাকৃতির হয় তাই ইহাকে 'Oblate Spherod লাইক যুক্তি সঙ্গত।
মেরু দেশীয় অঞ্চলে চ্যাপ্টাকৃতির পরিমাণ নির্মলিখিত সূত্রের মাধ্যমে পরিমাপ করা যেতে পারে।
f = (a-b)/a
যেখানে a ও b হল উপবৃত্তের Semi-major ও Semi-minor axis-এর দৈর্ঘ্য, যা যথাক্রমে পৃথিবীর নিরক্ষীয় ও মেবুদেশীয় অঞ্চলের ব্যাসার্ধের সমান এবং f' হল flattening বা বক্রতার পরিমাপ।
আবার, ecentricity (e) কে নিম্নলিখিতভাবে প্রকাশ করা যায়-
e²= (a²-b²)/a²
এই চ্যাপ্টাকৃতির (f) পরিমাণ 1/300 ভাগের কাছাকাছি। মেরুদেশীয় ও নিরক্ষীয় ব্যাসার্ধের মধ্যে পার্থক্য 11.5 km অর্থাৎ মেরুদেশীয় ব্যাস নিরক্ষীয় ব্যাসের তুলনায় 23 km কম।