কো-অর্ডিনেট পদ্ধতি এবং রেফারেন্স (Co-Ordinate System and Reference)

দৈশিক (Spatial) বিষয়ে সমাক ধারণার জন্য "সম্মান" বা "Location"-এর সম্পর্কে জ্ঞানকে প্রাথমিক ধাপ হিসেবে। চিহ্নিত করা যায়। কোন বস্তুর অবস্থানকে চিহ্নিত করার জন্য একটি সম্পূর্ণ সুগঠিত পদ্ধতির প্রয়োজন যা কোন বিশেষ। Reference System-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। একবার যদি Reference System-কে নির্দিষ্ট করা যায় তাহলে Absolute Location বা কোন বিন্দুর বাস্তব অবস্থানে সুগঠিত মান (Structurised Value)-কে চিহ্নিত করা সম্ভব, যাকে Co-ordinat হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি।

যখন GIS ব্যবহারকারী Database তৈরীর সময় বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য আহরন করেন (যেমন- প্রচলিত মানচিত্র উপগ্রহ চিত্র, ডিজিট্যাল ডেটা সোর্স, GPS ইত্যাদি) তখন কোন Reference Co-ordinate System সম্বন্ধে আলোচন আরও দুরুহ হয়ে ওঠে। পৃথিবীর কোন স্থানকে চিহ্নিত করতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রায় সবদেশেই Geodesy-এর কন হয়ে থাকে।

বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের Co-ordinate System (যা বিভিন্ন Geodatic Datum-এর ওপর নির্ভরশীল), Units Projection, det Reference System লক্ষ করা যায়। ভৌত ঘটনাবলীর বিভিন্নতার কারণে একাধিক Co-ordinat উ-এর উৎপত্তি ঘটেছে, যাদের দ্বারা ঐ নির্দিষ্ট ঘটনাবলীকে নির্দিষ্ট Co-ordinate System-এর মাধ্যমে সহজেই বদনা বা বোঝা সম্ভব। এইভাবে প্রয়োজনের ভিত্তিতে Co-ordinate System কে অপর Co-ordinate System পরিবর্তন করা যেতে পারে। সাধারণভাবে Co-ordinate System-কে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

Plane Co-ordinate System (Cartesian or polar)

Global Co-ordinate System যা নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে।

[i] সাধারণ কো-অর্ডিনেট পদ্ধতি (Plane Co-ordinate System): Co-ordinate System s → কাঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য, আমাদের একটি বাহুর দ্বারা (Axis) উৎপত্তি (Origine) ও তার দিক নির্দেশিত করতে হয় এবং দ্বিতীয় বাহটির অভিমুখ ঐ প্রথম বাহুর নির্দেশিত দিকের সঙ্গে উলম্বভাবে অবস্থান করে এবং তৃতীয় অক্ষ বা akir টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার নিজের দিক নির্দেশ করে, একটি Right-handed Orthogonal Set গঠন করে। এই পদ্ধতিটি Rene Descarts (1596-1650) প্রথম উদ্ভাবন করেন, যা পরবর্তীকালে Cartesian System নামে পরিচিত হয়েছে।

ভূমিরেখা বা Baseline থেকে উৎপন্ন কোণের (Angle) ভিত্তিতে গঠিত অপর একটি পদ্ধতিকে Polar System হিসেবে অভিহিত করা হয়। মাত্রিক (Dimension) পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে Co-ordinate ব্যবস্থাকে Plane-Co-ondin (Single Plane, Two Dimentional Co-ordinate System বা Three Dimentional) বা ত্রিমাত্রিক কো অর্ডিয় সিস্টেম (Two Orthogonal, 3-Dimentional) হিসাবে বিভক্ত করা যায়।