গুচ্ছ পদ্ধতি (Cluster Method)
সাধারণত কোনও একটি অঞ্চলের গঠনগত সহধর্মিতায় সমবৈশিষ্ট্যসম্পন্ন নির্ধারক বা ধ্রুবকগুলির পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক বিবেচনার ক্ষেত্রে গুচ্ছ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। সর্বাধিক জনপ্রিয় এই পদ্ধতিটিতে বিশেষজ্ঞরা তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্ন পরিমাত্রিক উপাদানকে ধ্রুবকরূপে ব্যবহার করে বাহ্যিক অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণে সচেষ্ট হয়েছেন। এঁদের মধ্যে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য হলেন- অশোক মিত্র (Ashok Mitra), ভি. নাথ (V. Nath) স্কোয়ার্টবার্থ (Schwartzberg), এম. জে. হ্যাগড (M.). Hagood) প্রমুখ। এই পদ্ধতিতে নির্ধারিত উপাদানের যৌগিক মান নির্ণয় করে, সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে সাজিয়ে অধ্যারোপণ (Superimposed) প্রক্রিয়ায় মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।
ধরা যাক, কোনও একটি বিশেষ আঞ্চলিক পরিসরে সাক্ষরতার হার এবং কয়লা উৎপাদনের পরিমাণকে স্বতন্ত্রভাবে। উপস্থাপনায় প্রথমেই দুটি মানচিত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয় দুটিকে পৃথক পৃথকভাবে বিবেচনা করতে হয়। পরে, নির্দিষ্ট মানচিত্রে একটিকে অপরটির উপর অদ্ধ ধারণের সাহায্যে নতুন আরেকটি অঞ্চলিক সীমা নির্ধারণ করা হয়।