welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

বাফারের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Buffer)

বাফারের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Buffer)


আমরা খুব সহজে বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে বাফারের শ্রেণিবিভাগ করতে পারি। যথা-

(1) পূণঃশ্রেণীবিভাজন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে কোন বস্তুর অবস্থানের ভিত্তিতে শ্রেণীবিভাগ (According Method of Reclassification Based on Position): Reclassification বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে কোন বস্তুর অবস্থানের ভিত্তিতে বাফারকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়।

(i) বিন্দু বাফার (Point Buffer): GIS ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিন্দু হল একটি মূল উপাদান যার উপর ভিত্তি করে হামরা অনেক বিষয় উপস্থাপন করতে পারি। বিন্দুযুক্ত বাফারের ক্ষেত্রে বিন্দুকে কেন্দ্র করে সমদূরত্ব সম্পন্ন একটি গোলাকার যাশ তৈরী করা হয় যা বিন্দু যুক্ত বাফার নামে পরিচিত। বিন্দুকে কেন্দ্র করে গোলাকার ক্ষেত্রের যে ব্যাসার্ধ্য তাকে বলে ফোর দূরত্ব। এই বাফার দূরত্ব ব্যবহারকারী নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াতে বা কমাতে পারে।

অনেকগুলো বিন্দুর ক্ষেত্রে বাফার তৈরী একসঙ্গে করতে গেলে তারা যদি পাশাপাশি অবস্থান করে তবে বাফার তৈরীর দূরত্ব অনুযায়ী একে অন্যের উপর বাফার দূরত্ব এসে পড়ে তখন প্রতিটি বিন্দু Attribute Table বা Look-up Table দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

যদি অনেকগুলি বিন্দুর বাফার অঞ্চল একে অন্যের উপর এসে পড়ে তখন ওই অঞ্চলের অংশ মিশে গিয়ে একটি বড় সাধারণ বাফার অঞ্চল তৈরী করে এবং ছেদ করা অংশ মুছে গিয়ে দুটি অঞ্চল একসঙ্গে মিলিত হয়।

(ii) রেখা বাফার বা রৈখিক বাফার (Line Buffer or Linear Buffer):

GIS ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা কোন কোন সময় রৈখিক বস্তু বা অবয়ব ব্যবহার করে থাকি। সেই সব বস্তু বা অবয়বের ক্ষেত্রে বাফার তৈরী করা হলে তাকে রেখা বাফার বা সরলরৈখিক বাফার বলে। এই বাফার ব্যবস্থা বিন্দু বাফারের থেকে একটু কঠিন ও আলাদা। কারণ এই বাফার অনেকগুলি অংশ নিয়ে গঠিত।

রৈখিক বাফার যেহেতু অনেকগুলি অংশ নিয়ে গঠিত হতে পারে সেহেতু প্রতিটি অংশের বাফারও আলাদা আলাদ অংশে বিভক্ত হবে। যদি দুটি রেখা পরস্পর পরস্পরকে ছেদ করে তবে তাদের বাফার অঞ্চল একে অন্যের উপর এসে পড়ে। সেক্ষেত্রে একটি বাফারের উপর আরেকটি বাফারের অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে মিলিত ভাবে একটি সাধারণ বাফার অঞ্চলের সৃষ্টি করে।

iii) ক্ষেত্র বাফার (Area Buffer):

কোন ক্ষেত্র বাফারের ক্ষেত্রেও রৈখিক বাফারের একই নিয়ম কার্যকর হয়। রৈখিক বাফারের সঙ্গে ক্ষেত্র বাফারের মূল পার্থক্য হল ক্ষেত্র বাফার কেবলমাত্র রেখার একদিকে তৈরী হয় যা ক্ষেত্রকে নির্দেশ করে। GIS-এর কাজে সব থেকে বেশী এই ক্ষেত্র বাফার ব্যবহৃত হয়। ক্ষেত্র বাফারকে অবস্থান ভেদে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বাফার যদি ক্ষেত্রকে ঘিরে তার বাইরের চারিদেকে অবস্থান করে তাহলে তা বহিঃস্থ ক্ষেত্র বাফার নামে পরিচিত। আবার বাফার যদি ক্ষেত্রের অভ্যন্তরে তৈরী হয় তবে তা অন্তঃস্থ ক্ষেত্র বাফার নামে পরিচিত।

iv) ডগনাট বাফার (Doughnut Buffer):

GIS তথ্য বিশ্লেষণের সময় অনেক সময় একটি বিন্দু বাফারের বাইরে আরও একটি বাফারের প্রয়োজন হয়ে খড়ে। তখন এই ধরণের বাফার ব্যবহৃত হয়।

উদহারণস্বরূপ বলা যায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রকে মধ্যস্থ করে যদি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা চিহ্নিত করা হয় তাহলে বেশীক্ষতি এখন যুক্ত বাফার, মধ্যম ক্ষতি গ্রস্থযুক্ত বাফার কম ক্ষতিগ্রস্থ যুক্ত বাফার তৈরী করা যায়, যা এই প্রকার বাফারের অন্তর্গত।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01