welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

প্রকৃত রিমোট সেন্সিং ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Actual Remote Sensing System)

প্রকৃত রিমোট সেন্সিং ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Actual Remote Sensing System)

         

প্রকৃত Remote Sensing পদ্ধতির ব্যবহার ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করার জন্য ইহার মৌলিক ত্রুটিগুলো জানা প্রয়োজন। প্রকৃত দুরসংবেদন পদ্ধতির ত্রুটিগুলি হল-


(1) শক্তির উৎস (Energy Sources): যে কোন প্রকৃত Remote Sensing পন্থতি ভূ-পৃষ্ঠস্য বস্তু থেকে


প্রতিফলিত EMR শক্তির উপর নির্ভর করে, প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি এবং বস্তু থেকে স্বয়ং বিকীর্ণ শক্তির বর্ণালীভিত্তিক বণ্টন কখনই সুষম নয়। স্যান ও সময় অনুসারে সৌরশক্তির স্তর পরিবর্তিত হয় এবং ভূ-পৃষ্ঠস্য বিভিন্ন পদার্থ তাদের ক্ষমতা অনুসারে। বিভিন্ন পরিমাণে বিকিরণ করে। সক্রিয় পদ্ধতির শক্তির উৎসের প্রকৃতির উপর আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু প্রকৃত Remote Sensing-এ যে শক্তির উৎস ব্যবহার করা হয় তা সুষম নয়, সময় ও অবস্থান অনুসারে উহাদের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।


(2) বায়ুমণ্ডল (The Atmosphere): শন্তির উৎসের তারতম্যের ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়, বায়ুমণ্ডল তা


আরো জটিল করে তোলে। কোন Sensor যে শক্তি গ্রহণ করে তার শক্তি ও বর্ণালীর বিন্যাস বায়ুমণ্ডল সর্বদা অন্তত কিছু পরিমাণে রূপান্তরিত করে। ফলে সেখানে বায়ুমণ্ডল বর্ণালীকে সীমাবন্ধ করে এবং এর ফলে তরঙ্গদৈর্ঘা সময় ও সম্মান, এমনকি ব্যবহৃত Sensor অনুসারে পরিবর্তিত হয়।


(3) পার্থিব বস্তুর সহিত শক্তির মিথস্ক্রিয়া (The Energy Matter Interaction at the Earth Surface Feature): প্রত্যেক পদার্থ যদি অদ্বিতীয় ও জ্ঞাত পরিমাণে প্রতিফলন বা বিকিরণ করত, তবে Remote Sensing বারসম্মা খুব সহজ হয়ে যেত। ভূ-পৃষ্ঠস্থ বস্তুর সনাক্তকরণ ও বিশ্লেষণ করতে Spectral Response Pattern গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্ণালীর বৈশিষ্ট্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের বস্তু বর্ণালীর ক্ষেত্রে যথেন্ট সাদৃশ্য দেখায়, ফলে তাদের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করা কষ্টকর হয়। তাছাড়া অনেক বস্তুর ক্ষেত্রে শক্তি ও বস্তুর মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কিন্তু বস্তুর ক্ষেত্রে বস্তুত কিছু জানা নেই।


(4) সংবেদক (Sensor): আদর্শ Super Sensor বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। কোন Sensor -ই সকল প্রকার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের প্রতি সমান স্পর্শকাতর নয়। প্রত্যেক প্রকৃত Sensor-এর বর্ণালীর স্পর্শকাতরতার নির্দিষ্ট সীমা আছে। ভূ-পৃষ্ঠের কত ছোট বস্তু Remote Sensing-এর মাধ্যমে দেখা যাবে তার ক্ষেত্রেও তাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবন্যতাকে বলা হয় Spectral Resolution, যার সাহায্যে কোন Sensor বিশদভাবে চিত্র গ্রহণ করতে পারে তা জানা যায়।


(5) তথ্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি (The Data Handling System): বর্তমানে অন্য যে সমস্ত পদ্ধতিতে রাশিতথ্য আহরণ করা যায় তাদের অপেক্ষা প্রকৃত Sensor-এর ক্ষমতা অনেক বেশী। ইহা মানসিক প্রতিকৃতি বিশ্লেষণ পদ্ধতি বা কম্পিউটারের সাহায্যে বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ইহা সত্য। Sensor-এর তথ্যকে ব্যাখ্যা করার পর্যায়ে প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চিন্তাশক্তি, যান্ত্রিকীকরণ, সময়, অভিজ্ঞতা ও Referance Data এর প্রয়োজন।


(6) বহুমাত্রিক তথ্য ব্যবহারকারী (The Multiple Data User): Remote Sensing এর ক্ষেত্রে প্রাপ্ত রাশিতথ্য সেই সমস্ত ব্যক্তির কাছে তথ্য হিসাবে পরিণত হয় যারা এগুলোর উৎপাদন কৌশল ও বিশ্লেষণের প্রক্রিয়া জানেন। Remote Sensing পদ্ধতির উৎপাদনশীল প্রয়োগই হল আসল বিষয়। এককভাবে পাওয়া কোন তথ্য এবং বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া সব ব্যবহারকারীর চাহিদা সন্তোষজনকভাবে পূরণ করতে পারে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01