ভারতে আঞ্চলিক পরিকল্পনার চ্যালেঞ্জসমূহ(Challenges of Regional planning in India)
পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পরিকল্পনাগুলিকে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে অনুশীলন করে এসেছে। বিগত ছয় দশকেরও বেশি সময় জুড়ে এদেশের বহুমুখী সমস্যাগুলিকে কাটিয়ে তুলতে এবং দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে ভারতকে উন্নয়নের চালকের আসনে বসাতে গিয়ে পরিকল্পনাকেন্দ্রিক নাগরিক প্রত্যাশ্যাগুলি ভবিষ্যতের জন্য সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মূল কারণ হল-
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে অর্থাৎ 2000 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এদেশের ক্রমবর্ধিত সব প্রায় 150 ছাড়িয়ে যাবে।
• এখনো পর্যন্ত এদেশের প্রায় ৪০.৪ কোটি মানুষ (প্রায় ৪ শতাংশ) দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস ветви "об poverty clock-2021' অনুসারে)।
• এদেশের মাত্র 2.4% জমিতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪% মানুষ বসবাস করছে। ফলে, সোলার ক্রমবর্ধিত জনসংখ্যার নিরিখে মাথাপিছু জমির পরিমাণও দিন দিন কমছে।
• জীবাশ্ম জ্বালানি, খনিজ সম্পদ বা জৈব সম্পদের সীমাবদ্ধতা সমগ্র দেশকে মারাত্মকরাত্রে গ্রাস করে চলেছে।
• ভারতের গ্রামাঞ্চলগুলিতে বসবাসরত প্রায় ০৪%-এর অয়ের্কের বেশি মানুষ বেঁচে থাকার বিভিন্ন পরিসেবাগুলি থেকে অনেকাংশে বন্দিত।
• এদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় 28 শতাংশ 10-24 বছরের তরুণগোষ্ঠীর অন্তর্ভুত্ব, যাদের ভবিষ্যতরে পার্টিক পথে পরিচালিত করতে রাষ্ট্রের প্রগতিশীল উদ্যোগের কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্বলতা এখানো যারেন্ট রয়েছে।
• সমগ্র দেশ আঞ্চলিক উন্নয়নে এখনো পুরোপুরি ভারসাম্যে পৌঁছতে পারেনি। অথচ, সমগ্র দেশে শিক্ষার প্রার জনসংযোগ, বাজার অর্থনীতি, রাজনৈতিক স্বচ্ছতা এবং জনকল্যাণকামী ভাবধারা যেভাবে সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে, অদূর ভবিষ্যতে দেশকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা একান্ত অবশ্যাত্মানী। ভারতের দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (2012-2017 খ্রিঃ) দেশের সমস্ত মানুষের সামগ্রিক কল্যাণে আরো দ্রুত অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং টেকসই বৃদ্ধি" ("Faster, More Inclusive and Sustainable Gove লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র GDP প্রবৃদ্ধির উপর জোর না দিয়ে বরং সার্বিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যান্য যে সকল বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল সেগুলি হল-দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্যান বৃষ্টি, সমন্টিবাত আপ্যায়ণ, উচ্চশিক্ষায় সকলের প্রবেশাধিকার, বিদ্যালয়ে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ, কৃষি, শিল্প, পরিসেবায় বিনিয়োগ বৃদি প্রভৃতি। অবশ্য, এই সমস্ত প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ আকার পায় নীতি আয়োগের পরিমার্জিত পরিকল্পনা রৌশন রূপায়ণের মাধ্যমে। ভারতের নতুন পরিকল্পনা নীতির বিভিন্ন বাজেটে যে সমস্ত ক্ষেত্র বিশেষভাবে প্রভাদিয় হয়েছিল, তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হল-
• 2014 খ্রিস্টাব্দ থেকে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের কাজ তিনগুণ বেড়েছে। বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (PMGSY)-তে যে 19,000) কোটি টাকা প্রাথমিক বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল, ভাতে প্রতিদিন ভারতে গড়ে প্রায় 27 কিমি করে জাতীয় সড়ক পথ সম্প্রসারিত হয়।
• ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (IPMAY)-র অধীনে 2014-18-এর মধে 1.53 কোট থা দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
• 2018 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই সকলের জন্য বিদ্যুৎ পরিসেবার সম্মাগারণ ঘটানো হয়
• রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নতিতে প্রায় 64,587 কোটি টাকা থেকে মূলধন সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে।
• আন্তর্জাতিক সৌর জোটের নেতৃত্বের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ভা নিরাপত্তা অর্জনের জন্য একটি পরিষ্কার এবং দায়িত্বশীল পথনির্দেশিকা দিয়ে থাকে।
ভারতের বাজ্যস্তরভিত্তিক বিভিন্ন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিছিয়ে নেই। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সার্বিক স্তরে পৌঁছে দিতে একাধিক প্রবন্ধ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য হল-সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, সুফল বাংলা প্রকল্প, খাদ্যসাথী প্রকল্প, কর্মসাধী প্রকল্প, পথসাথী প্রবন্ধ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলা আবাস করে।
প্রসভায় উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতের সাময়িক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাকে সার্বিক রূপ দিতে সরালীয় তার আঞ্চলিক স্তরে পরিকল্পনা চক (Planning cycle)-কে মূল্যায়নের মাধ্যমে অত্যন্ত ধারাবাহিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানে, একটি পরিকল্পনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের যাতীয় কার্যক্রমকে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণ করা হয়েছে (5.25 নং চিত্রে প্রদর্শিত)।