ভগ্ন বিন্দু বিশ্লেষণ পদ্ধতি (Breaking Point analysis Method)
1931 খ্রিস্টাব্দে W.J. Reilly ভগ্ন বিন্দু বিশ্লেষণ পদ্ধতিটিকে Retail Gravitational Law-এর ওপর ভিত্তি করে সর্বপ্রথম উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে তিনি দুটি শহরাঞ্চলের বাণিজ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক সংযোগকে কাজে লাগিয়ে সীমানা অঞ্চল নির্ধারণ করতে সমর্থ হন। কোনও বৃহৎ শহরাঞ্চলের বাণিজ্যিক আকর্ষণ ক্ষমতা কীভাবে তার পার্শ্ববর্তী গ্রাহক অঞ্চলগুলিকে আকৃষ্ট করবে তার সুস্পষ্ট ধারণার ভিত্তিতে Reilly যে সমীকরণটিকে প্রয়োগ করেছিলেন তা হল নিম্নরূপ।
((Ba)/(Bb)) = ((Pa)/(Pb)) * ((Db)/(Da)) ^ 2
এখানে,
শহর থেকে বাণিজ্যের আনুপাতিক সংস্থান।
Bb = b শহরের আকর্ষণে কোনও মধ্যবর্তী শহর থেকে বাণিজ্যের আনুপাতিক সংস্থান।
Pa = a শহরের জনসংখ্যা।
Pb = b শহরের জনসংখ্যা।
Da = মধ্যবর্তী শহর থেকে এ শহরের দূরত্ব।
Db = মধ্যবর্তী শহর থেকে ৮ শহরের দূরত্ব।
অবশ্য, 1949 খ্রিস্টাব্দে এই সূত্রের পরিবর্তে P. D. Converse পরিমার্জিতভাবে আরেকটি সূত্রের অবতারণা করেন, যেখানে দুটি পার্শ্বস্থ শহরের মধ্যবর্তী ঠিক কোন অংশ থেকে গ্রাহকরা বাণিজ্যকেন্দ্রের অভিমুখে গমনাগমন করেন তা সহজেই চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুটি শহর বা বাণিজ্যকেন্দ্রের মধ্যে সরাসরি বর্গমূলের অনুপাতে (জনসংখ্যা এবং দূরত্বগত বিপরীত অনুপাতে) Converse প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি হল-
এখানে, । এবং। হল দুটি আঞ্চলিক আবার বা শহর।
এ হল সংশ্লিস্ট শহর দুটির মধ্যবর্তী ভয়বিন্দু।
djk হল সংশ্লিস্ট ভহকিছু বরাবর। ও। কেন্দ্রের অনুভূমিক দূরত্ব। dil হল সংশ্লিন্ট। ৩) কেন্দ্রীয় দুটি শহরের অনুভূমিক দূরত্ব এবং
1' দ্বারা এখানে যথাক্রমে। ও। শহরের জনসংখ্যাকে নির্দেশ করে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পদতির সাহায্যে কোনও একটি শহরের সীমানাগত পরিসর, মূল প্রভাবক্ষেত্র, এবং বাণিজ্যিক অঞ্চলের ধারণা বিশেষভাবে উপস্থাপিত হয়। তা ছাড়া, এই ধরনের বিশ্লেষণে যে শহরের জনসংখ্যা যত বেশি হবে,