welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

আঞ্চলিকীকরণের পটভূমি (Background of Regionalization)

আঞ্চলিকীকরণের পটভূমি (Background of Regionalization)


অধ্যাপক Claval (1974 খ্রিঃ)-এর মতে, পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল সম্পর্কে তথ্য শ্রেণিবন্ধ করার লক্ষ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে আঞ্চলিকীকরণের মূল প্রচেষ্টা প্রথম শুরু হয়েছিল অষ্টাদশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপে। সেই সময়, কোনও বিশেষ পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ ছাড়াই পৃথিবীকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়, যার একটি ছিল প্রাকৃতিক অঞ্চল এবং অপরটি ছিল মানবীয় অঞ্চল। অবশ্য, বিশ শতকের প্রথম দিক থেকে একাধিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে আঞ্চলিকীকরণের প্রচেষ্টা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। যেমন-

• 1990 খ্রিস্টাব্দে ভ্লাদিমির কোপেন (Vladimir Koppen) জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে সমগ্র পৃথিবীকে 5-টি বাহ্যিক জলবায়ু অঞ্চলে শ্রেণিবন্ধ করেন।

• 1905 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনের বিখ্যাত ভৌগোলিক হার্বার্টসন (Herbertson) সমগ্র পৃথিবীকে কোপেনের মতোই বেশ কয়েকটি স্বাভাবিক জলবায়ু অঞ্চলে ভাগ করেছিলেন।

• 190৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের বিখ্যাত ভৌগোলিক Lucien Gallois তাঁর বিখ্যাত Regions naturelles étnitme de pays গ্রন্থে প্রাকৃতিক অঞ্চল বা "Natural area"-এর ধারণাটিকে সামনে রেখে আঞ্চলিকীকরণের দৃষ্টিভঙ্গি সর্বপ্রথম তুলে ধরেছিলেন।

• 1950-এর দশকের পর পৃথিবীতে আঞ্চলিকীকরণের ধারণা সংক্রান্ত প্রচেষ্টায় একাধিক পরিবর্তন আসে। এই সময় কোনও একটি দৈশিক পরিসরের মধ্যে থাকা সমজাতীয় উপাদানগুলিকে আড়াআড়ি (Horizontaly) বিশ্লেষণ নীতি যথেষ্ট প্রাধান্য পায়। ফলে, আঞ্চলিকীকরণ পদ্ধতিতে বিভিন্ন বাহ্যিক উপাদান, যেমন- ভূপ্রকৃতি, মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং মানুষের বহুমুখী কার্যাবলি অভীক্ষা সার্বিকভাবে প্রাধান্য পায়। অ্যাজে চোলি (1915 খ্রিঃ)-এর মতে, এই সময় থেকে ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে ধারাবাহিকভাবে প্রাকৃতিক ও মানবীয় পরিসরের সমস্ত উপাদানগুলিকে নির্দিষ্ট স্থিতিমাপক ধরে, বিজ্ঞানসম্মত বিভিন্ন গাণিতিক কৌশলে অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ তথা অঞ্চলিকীকরণের সার্বজনীন প্রচেষ্টা শুরু হয়। যদিও, বিভিন্ন ভৌগোলিকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে আঞ্চলিকীকরণের তৎকালীন সেই অভিমুখ বা ত্রুটিমুক্ত ছিল না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01