পরিকল্পনাগত পটভূমি (Background of the Plan)

ভারতে পরিকল্পিতভাবে কৃষি-বাস্তু সাম্মানিক অঞ্চল প্রবর্তনের একটি দীর্ঘ পটভূমি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যে- ধরনের কৃষি আঞ্চলিকীকরণের প্রচেষ্টা করা 

কৃষি-উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার জন্য আন্তলিকীকরণ। এখানে ফসলের ধরন, ফসল উৎপাদন, ফসলের বিন্যাস এবং বাজার বিশ্লেষণের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় গবেষণা এবং বৈজ্ঞানিক ভূমি ব্যবহারের জন্য আন্তলিকীকরণ। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিকমাটি, বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা এবং কৃষিপ্রযুক্তির মতো কৃষি-সহায়ক পরামিতিগুলিকে সঠিকভাবে গবেষণার মাধ্যমে এই ধরনের আঞ্চলিকীকরণে জোর দেওয়া হয়।অতীতে, ভারতের কৃষি গবেষণা পরিষদ Indian Council of Agricultural Research) এদেশের সামগ্রিক কৃষি উৎপাদন প্রণালীকে শুধুমাত্র স্থানীয় জলবায়ুনির্ভর পরিবেশের সমতা (Homogeniety)- প্রেক্ষাপটকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিল। কিন্তু, 1983 খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের "Food and Agriculture Organization (FAO)" এবং "International Institute for Applied Systems Analysis (IIASA)"-এর যৌথ প্রচেষ্টায় বিশ্বের কৃষি সম্পদ অঞ্চলগুলির ব্যস্তুতান্ত্রিক সম্ভাবনার মূল্যায়নগত প্রেক্ষাপটটি ভারতের পরিকল্পনা কমিশনকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল।

বিশেষ করে, নির্দিধ্য কৌশলে কষির উন্নত পরিবেশ তৈরি আর্থ-সামাজিক সহনশীলতা বৃন্দি, আধুনিরবশীলর জীবনযাত্রা এবং ফসলের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে, ভারতের কুশি জলবায়ু অঞ্চলটির ধারণাগত পরিবর্তন বা পরিমার্জন ঘটিয়ে সেটিকে আধুনিক কৃষি বাস্তু সাম্মানিক অঞ্চলে রূপান্তর করা হয়।

1989 খ্রিস্টান্সদে পরিকল্পনা কমিশনের অধীনে কৃষি আঞ্চলিকীকরণে যে 73-টি উপ অঞ্চলসহ ভারতকে 15-টি প্রধান কৃষি- জলবায়ু অঞ্চল বিভন্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, National Bureau of Sol Survey and Land Use Planning (NBSS-LUP ভারতের বিভিন্ন দৈশিক পরিসরভিত্তিক কৃষির উপযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়ে মোট 20-টি কৃষি-বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চলের প্রস্তাবনা দেয়। 1992 খ্রিস্টাব্দে "Indian Council Of Agricultural Research" ভারতের কৃষি-বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চলগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে মানচিত্রায়িত করে।

প্রদশাত উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতের কৃষি বাস্তু সংস্থানিক অঞ্চলে বিবেচ। কৃষি সংক্রান্ত স্থিতিশীল পরিবেশের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলিকে 3.2 না চিত্রে উপস্থাপন করা।