আরোপিত তথ্য (Attribute Data)
GIS-এ সাধারণত কোন Spatial Data এর বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরতে Attribute Data ব্যবহার করা হয়। এই Attribute Data Non-Spatial Data নামেও পরিচিত কারণ Attribute Data নিজে নিজেই Spatial Data আড়া কোন স্থানের তথ্যকে প্রকাশ করতে পারে না। এই প্রকার তথ্যের দ্বারা কেবলমাত্র কোন Spatial Data-এর বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করা যায়। এই প্রকার Dats গুণগত বা সংখ্যাগত দুই প্রকারেরই হতে পারে। তাই এই প্রকার Data-কে কখনো কথনো Tabular Data হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।
আরোপিত তথ্যাবলীর প্রকারভেদ (Types of Attribute Data)
Attribute Data কে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যথা-
(1) দৈনন্দিন জীবনে GIS ব্যবহার কালে Attribute Data কে নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায়।
i) Character/String: কোনো তথ্যের নাম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
ii) Integer: GIS এর তথ্যে পূর্ণ সংখ্যা ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- 2
iii) Floating Point: পৃথিবীর কোন বস্তুর সঠিক সংখ্যা ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন-2.5
(2) Attribute Data -এর বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে পরিমাপযোগ্য স্কেলের উপর ভিত্তি করে Attribute Data-তে নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করা যায়। Types by measurment Scale
(1) Nominal Data: এই প্রকার Data দ্বারা কোন Attribute-এর নাম বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত কোন শহর, রাস্তা, এলাকা বা যে কোন নাম Attribute হিসাবে প্রকাশ করার জন্য ইহা ব্যবহৃত হয়। এখানে কোন গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করা হয় না।
যেমন- শহরের নাম- কলকাতা
• রাস্তার নাম- GT Road
(2) Ordinal Data: এই প্রকার Data দ্বারা কোন Attribute-এর Order বা Rank বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কোনো প্রকার তুলনামূলক আলোচনা করার জন্য যেমন দুটি শহরের আয়তন বিচারকালে এই প্রকার Data ব্যবহৃত করা হয়।
যেমন- কোলকাতা বড় শহর এবং শিলিগুড়ি ছোট শহর। কোলকাতা এবং শিলিগুড়ির আয়তন বিচার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(3) Interval Data: এই প্রকার Data-এর দ্বারা দুটি Attribute Data-এর মধ্যে বিভেদ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ দুটি Attribute এর মধ্যে পার্থক্যের পরিমান বোঝাতে Interval Data ব্যবহৃত হয়।
যেমন- আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়ার সময় বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 30°C এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
12°C। অর্থাৎ তাপমাত্রার পার্থক্যের পরিমান (30°C-12°C 18°C) বোঝানো হয়েছে।
(4) Ratio Data: এই প্রকার Data কোন দুটি Attribute-এর মধ্যে অনুপাত বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ইহা সাধারণত গাণিতিক অঙ্কের দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
যেমন- Population Density.
(5) Time Data: সাধারণত কোন Attribute Data যদি সময়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয় তাহলে এই Data ব্যবহার করা হয়।
যেমন- মাসিক বৃষ্টিপাত, নির্দিষ্ট সময়ে কোন নদীর জলপ্রবাহ ইত্যাদি .