welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

বায়ুমণ্ডলজনিত এটির সংশোধন (Atmospheric Correction)

বায়ুমণ্ডলজনিত এটির সংশোধন (Atmospheric Correction)


 সূর্যকিরণ যখন শূন্যস্থানের মধ্য দিয়ে বাইত হয় তখন ঐ রশ্মি কোন কিছু দ্বারা প্রভাবিত হয় না, কিন্তু যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তা প্রবেশ করে ভু-পৃষ্ঠে পতিত রাখেন তার কিছু অংশ বায়ুমন্ডল দ্বারা বিক্ষিপ্ত ও শোষিত হয়। আবার কোন নির্দিষ্ট বস্তু থেকে নির্গত বা প্রতিফলিত রশ্মি । সাজকের কাছে পৌঁছানোর পূর্বেই এর কিছু অংশ বায়ুমণ্ডল দ্বারা শোষিত বা (এবং) বিক্ষিপ্ত (scattered) হয়। এই র পক্ষতি দ্বারা শক্তির অপচয়কে "Atmospheric Attenuation" বলা হয়। তথ্য বিশ্লেষকদের মতে বায়ুমণ্ডলের দ্বারা দির বিচ্ছুরণ ও শোষণ দ্বারা চিত্রে যে সমস্ত ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটে তা চিত্রের দৃশ্যমানতার হ্রাস ঘটিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের উপাদানগুলি গাখে তথ্য আহরণে বিশেষ বিঘ্ন ঘটায়।

কিভাবে দূরসংবেদনের মাধ্যমে তথ্য আহরণের সময় বায়ুমণ্ডল দ্বারা বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতির সমাবেশ ঘটে তা নিচে করা হল (Forster; 1984)

E_{0} = বায়ুমণ্ডলের ওপর সৌররশ্মির দেদীপ্যমানতা (irradiance)

(Solar irradiance at the top of the atmosphere (w * m ^ - 2) \

Ed = বিকীর্ণ সৌররশ্মির দেদীপ্যমানতা

(Diffuse sky irradiance (w * m ^ - 2) \

Q = সৌর সুবিন্দু কোণ (Solar zenith angle)

theta_{x} = \mathbb{theta} সংবেদকের অধোবিন্দু দৃশ্যমানতা কোণ[Nidir view angle of the satellite sensor (or scan angle)

T_{u} = উর্ধ্ববিন্দুর দিকে কোণে বায়ুমণ্ডল দ্বারা রশ্মি প্রেরণ

(Atmosphere transmission at an angle to the zenith)

L_{3} = লক্ষ্যবস্তু দ্বারা স্বকীয় বিচ্ছুরণ

(Intrinsic radiance of the target (w * m ^ - 2 * S * r ^ - 1) \

L_{P} = Path radiance" দ্বারা বহুমুখী বিচ্ছুরণ

(Path radiance resulting from multiple scattering (Wm-2Sr-1)}

L_{T} = লক্ষ্যবস্তু দ্বারা সংবেদকের অভিমুখে রশ্মির প্রতিফলন

(Total radiance from the target of interest towards the sensor (W * m ^ - 2 * S * r ^ - 1) )

সংবেদক দ্বারা প্রাপ্ত সর্বমোট রশ্মি L_{g} =

(Total radiance at the sensor (W * m ^ - 2 * S * r ^ - 1) |

নিম্নলিখিত সূত্র থেকে সংবেদক দ্বারা সংগৃহীত রশ্মি ও ভূ-পৃষ্ঠ নির্গত রশ্মির সম্পর্ক সম্বন্ধে ধারণা করা যায়-

L_{S} = L_{p} + L_{T}

উপরের চিত্র থেকে সংবেদক দ্বারা গৃহীত রশ্মির বিভিন্ন পথ ও তার ওপর প্রভাব বিস্তারকারী বিভিন্ন উপাদানগুলি সম্বন্ধে ধারণা করা যায়, যার বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

প্রথম পথ। এই পথে আগত বহুবর্ণালীয় রশ্মি (Electro Magnatic Spectrum) সামান্য মাত্র ক্ষয়প্রাপ্ত (attenuated) হয়ে সরাসরি IFOV-এর অন্তর্গত সমীক্ষা স্থানটিকে (Study area) আলোকিত করে।

দ্বিতীয় পথ: এই পথে আগত রশ্মি পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগেই বায়ুমণ্ডল দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় (যেমন- রিলে, সাই বা নন সিলেক্টিভ বিক্ষিপ্তকরণ দ্বারা)। দুর্ভাগ্যবশতঃ এই বিক্ষিপ্ত রশ্মির কিয়দংশ সরাসরি সংবেদক যন্ত্রে পৌঁছে চিত্রে ভুল-ভ্রান্তির সন্নিবেশ ঘটায়।

তৃতীয় পথ: এই পথে আগত আলোকরশ্মি সমীক্ষা এলাকাকে আলোকিত করার পূর্বে বিভিন্ন বিক্ষিপ্তকরণ পদ্ধতি (যেমন- রিলে, সাই, নন-সিলেক্টিভ বিক্ষিপ্তকরণ) দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় এবং বাকি অংশের শোষণ বা পুনঃনির্গমন ঘটে। তাই এই ধরণের রশ্মি বর্ণালীয় গঠন সূর্য থেকে সরাসরি আগত রশ্মির থেকে কিছুটা আলাদা প্রকৃতির হয়।

চতুর্থ পথ: এই ধরণের পথে আলোকরশ্মি সমীক্ষা এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা (যেমন- পাথুরে এলাকা, জল, উদ্ভিদ, মাটি ইত্যাদি) থেকে প্রতিফলিত বা বিক্ষিপ্ত হয় সংবেদকের IFOV-তে প্রবেশ করে। এই রশ্মি বাস্তবে সমীক্ষা এলাকাকে আলোকিত করে না।

প্যম পথ: এই পথে আগত আলোর রশ্মি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিচ্ছুরিত বা প্রতিফলিত হয়ে সমীক্ষা এলাকায় প্রবেশ করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01