আঞ্চলিক সমন্বয়সাধন (Achieving Regional co-ordination)
ক্রিয়ামূলক অঞ্চলের সীমানা নির্ধারণে একাধিক ত্রুটি থাকলেও সেগুলিকে এড়িয়ে চলতে বিভিন্ন অঞ্চলবিশারদ আঞ্চলিকীকরণ দৃষ্টিভঙ্গিতে বেশ কিছু সমন্বয় ঘটিয়েছেন। যেমন- আমাদের দেশে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল (National Capital Territory) দিল্লিকে তার ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক দিক থেকে সীমায়িত করতে গিয়ে যে বিষয়গুলিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
জনতাত্ত্বিক নির্ণায়ক (Demographic criteria): সাধারণত কোনও একটি অঞ্চলের জনসংখ্যা হল সবচেয়ে
পরিবর্তনশীল ও প্রবাহমান গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। জনতাত্ত্বিক বিভিন্ন বিষয়কেন্দ্রিক NCR-এর ক্ষেত্রে নির্ধারিত উপাদানগুলি হল-
• জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (Population growth rate),
• জনসংখ্যার ঘনত্ব (Population density),
• নগরায়নের স্তর (Level of urbanization),
পরিব্রাজন (Migration).
• জনসংখ্যার কর্মে নিযুক্তির হার (The employment rate of the population) প্রভৃতি।
• সময়কালীন প্রবাহ বিশ্লেষণ (Periodic flow analysis): একটি নির্দিষ্ট সময়কালীন আর্থসামাজিক বিভিন্ন কর্মকেন্দ্রিক প্রবাহগুলিকেও NCR-এর আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক রূপে স্থান দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কার্যকরী প্রবাহগুলি হল-
• সড়ক বা রেলপথে যানচলাচলের ঘনত্ব (Volume of traffic on road and railway).
• সড়ক বা রেলপথে পণ্য সরবরাহের ঘনত্ব (Volume of goods on road and railway).
• শিল্পে কাঁচামালের জোগান (Supply of raw materials to industry),
• শ্রমিকের জোগান (Supply of labour)
• পাইকারী বাণিজ্যের প্রবাহ (Wholesale trade flow),
• মুদ্রার প্রবাহ (Money flow), ব্যাঙ্কিং সুবিধা (Banking facilities) প্রভৃতি।
উল্লিখিত প্রতিটি নির্ধারককে সমন্বিত করেই
দিল্লির 110 বর্গকিমি অঞ্চলের নির্দিষ্ট সীমায় মোট 42-টি তহশিল চিহ্নিত হয়েছে।