welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

থর্নথওয়েটকৃত জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজন, 1931-33 (Thornthwaite's climatic classification, 1931-33)

থর্নথওয়েটকৃত জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজন, 1931-33 (Thornthwaite's climatic classification, 1931-33)


থর্নর্থওয়েট 1931 সালে নির্ণীত দুটি সূচকের ভিত্তিতে যে জলবায়ু অঞ্চলের শ্রেণিবিভাজনটি করেন 1933 সালে তা বিশ্ব জলবায়ু মানচিত্রের ওপর উপস্থাপন করেন। থর্নথওয়েট অধঃক্ষেপণ ও বাষ্পীভবনের মাত্রা প্রকাশ করা জন্য দুটি সূচকের অবতারণা করেন

(a) অধঃক্ষেপণের কার্যকারিতা সূচক (Precipitation Effectiveness Index) বা P-E সূচক এবা

(b) তাপমাত্রার কার্যক্ষম সূচক (Temperature-Efficiency Index) বা T-E সূচক।

(a) অধঃক্ষেপণের কার্যকারিতা সূচক:

থর্নর্থওয়েটের মতে, স্বাভাবিক উদ্ভিদের বণ্টনের পার্থক্য অনেকাংশেই কোনো নির্দিস্ট জলবায়ুর সীমানাকে নির্দেশ করে। কিন্তু উদ্ভিদের বণ্টনের বৈচিত্র্যকে কখনোই শুধুমাত্র বৃষ্টিপাতের পরিমাণের পার্থক্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা উচিত নয়। বাষ্পীভবনের হারও স্বাভাবিক উদ্ভিদের বিকাশকে প্রভাবিত করে। কারণ উদ্ভিদ কখনোই সরাসরি বৃষ্টির জল গ্রহণ করতে পারে না। মৃত্তিকা থেকেই সে জল নেয়। আবার, বাষ্পীভবনের হার তাপমাত্রার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। তাই অধঃক্ষেপণের পরিমাণ ও বাষ্পীভবনের হার-এই দুই নিয়ন্ত্রককে ব্যবহার করে তিনি অধ্যক্ষেপণের কার্যকারিতার (Precepitation Effectiveness) পরিমাণ নির্ধারণ করেন। কার্যকরী বৃষ্টিপাত বলতে বোঝানো হয়েছে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত উদ্ভিদ বিকাশের কাজে লাগে। এটি মাসিক অধ্যক্ষেপণ ও বাষ্পীভবনের অনুপাতের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়। বাষ্পীভবনের হার তিনি উয়তাকে ব্যবহার করেই প্রকাশ করেন। এর জন্য তিনি কতকগুলি নমুনা সংগ্রহ করে তাপমাত্রার পরিবর্তনে বাষ্পীভবনের হার কীভাবে পরিবর্তিত হয় তার প্রতিলিপি তৈরি করেন। থর্নর্থওয়েট নির্ণীত প্রতি মাসের অধঃক্ষেপণের কার্যকারিতা সূচকটি হল-

P-E ratio = 11-5P 10

P= মাসিক অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত (ইঞ্চিতে)

= গড় মাসিক তাপমাত্রা (°F-এ)

দশমিকের জটিলতা দূর করতে Equationটিকে 10 দ্বারা গুণ করে পাই-

P-E ratio = 115P -10 19%

বার্ষিক অধঃক্ষেপণের P-E ratio-কে P-E index বলে। অর্থাৎ; 12 মাসের P-E অনুপাত যোগ করলে P-E Index পাওয়া যায়। এর সূত্রটি হল-

P-E-115 12 Σ (P/t-10)

এই P-E সূচকের মানের ওপর ভিত্তি করে ঘর্নথওয়েট পৃথিবীর জলবায়ুকে 5টি আর্দ্রতা প্রদেশে (Hu-midity Province) ভাগ করেন।

চার্জ প্রদেশগুলিকে আবার বৃষ্টিপাতের ঋতুগত বৈচিত্রা অনযায়ী চারটি উপবিভাগে ভাগ করেন। এগুলি

r = সব ঋতুতেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত

s = গ্রীষ্ম ঋতুতে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত

w = শীত ঋতুতে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত

d = সব ঋতুতেই অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত।

(b) তাপমাত্রার কার্যক্ষম সূচক:

উদ্ভিদের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল মৃত্তিকার আর্দ্রতা। আবার, মৃত্তিকার আর্দ্রতা নির্ভর করে বাষ্পীভবনের হারের ওপর যা আবার উন্নতার ওপর নির্ভরশীল। উন্নতার বণ্টনের পার্থক্যে যেহেতু তাই থর্নর্থওয়েট বাষ্পীভবনের হারের ওপর উয়তার ক্ষমতা তুলে ধরার জন্য তাপমাত্রার কর্মক্ষম সূচকটির (Temperature Efficiency Index) উপস্থাপনা করেন। তাপমাত্রার কার্যক্ষম বলতে হিমাঙ্ক থেকে মাসিক গড় উদ্ভতার ধনাত্মক বিচ্যুতিকে (Positive departure of monthly mean tempera-ture from the freezing point) বোঝায়।

এভাবে কোনো মাসের উদ্বুতাকে গড় বার্ষিক উদ্বুতা থেকে বাদ দিয়ে তাকে 4 দ্বারা ভাগ করে ওই মাসের তাপমাত্রার অনুপাত (Temperature Efficiency Ratio) নির্ণয় করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো মাসের প্রকৃত উয়তা এর কম হলে তাকে 32 deg * F ই ধরে নেওয়া হয়। 32 deg * F

নিম্নলিখিত সূত্রের মাধ্যমে তাপমাত্রার অনুপাতটি নির্ধারণ করা হয়

 T-E অনুপাত = tí -32/ 4

[ tí =] মাসিক তাপমাত্রা (^ P )

একইভাবে 12 মাসের T-E অনুপাতের মান যোগ করে T-E সূচকের মান পাওয়া যায়। এর সূত্রটি হল-

T - E * 7998 = sum i = 1 to n + 12 ((t_{i} - 32)/4)

এই T-E সূচক দ্বারা প্রাপ্ত মানের চটি তাপমান প্রদেশে (Tempera-ture Province) বিভক্ত করেন।

সুতরাং T-E সূচক, P-E সূচক এবং বৃষ্টিপাতের ঋতুগত বৈচিত্রোর ওপর ভিত্তি করে তত্ত্বগতভাবে মোট 120টি (6×5×4) জলবায়ু অঞ্চলের বিষয় থর্নথওয়েট তাঁর 1931 সালের প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করেন। কিন্তু এগুলির মধ্যে তিনি বাস্তবে মাত্র 32টি জলবায়ু অঞ্চলকেই চিহ্নিত করে 1933 সালে বিশ্ব মানচিত্রে দেখাতে পারেন। সারদি 21.7-তে এই 32টি জলবায়ু অঞ্চলের সাংকেতিক চিহ্ন দেখানো হল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01