welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

উমল্যান্ডের প্রকারভেদ (Types of Umland):

উমল্যান্ডের প্রকারভেদ (Types of Umland):


শহর অঞ্চল থেকে দূরত্ব যত বাড়তে থাকে শহরের প্রভাব তত কমতে থাকে। শহরের প্রভাব শহরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ভিতরের দিকে সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বাইরের দিকে কম থাকে। কোনো অঞ্চলে শহরের প্রভাবের তীব্রতা অনুসারে উমল্যান্ডকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথা-

(i) প্রাথমিক উমল্যান্ড (Primary Umland) এবং

(ii) গৌণ উমল্যান্ড (Secondary)।


(i) প্রাথমিক উমল্যান্ড (Primary Umland): উমল্যান্ডের ভিতরের অংশে যেটি শহরের কেন্দ্রীয় অংশের একেবারে সংলগ্ন থাকে সেটি হল প্রাথমিক উমল্যান্ড। এর মধ্যে যাত্রীবলয় (Commuter's Zone) এবং গ্রাম-শহর সীমান্ত এলাকা (Rural-Urban fringe) থাকে। এই উমল্যান্ড অংশের মধ্যে শাকসবজি, ফুল, দুধ, দুধজাত দ্রব্য, শ্রমিক প্রভৃতি পাওয়া যায় যা শহরের কেন্দ্রীয় অংশের জন্য সরবরাহ করা হয়।


(ii) গৌণ উমল্যান্ড (Secondary Umland): উমল্যান্ডর বাইরের দিকের অংশকে গৌণ উমল্যান্ড বলে। এটি শহরের ওপর কম নির্ভরশীল হয়। শহরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য এই অঞ্চল থেকেই সরবরাহ করা হয়। এই অংশে শহরের প্রশাসনিক, চিকিৎসা, পরিবহণ এবং যোগাযোগের বিভিন্ন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।


A.E. Smailes (1947), পৌরক্ষেত্রকে (Urban Field) তিনটি অঞ্চলে (Zone) বিভক্ত করেছেন।

(i) কেন্দ্রীয় অংশ বা ভিতরের অংশ (Core Zone or Inner Zone),

(ii) বাইরের অংশ (Outer Zone) এবং

(iii) সীমান্তবর্তী এলাকা (Fringe Zone)।


(i)কেন্দ্রীয় অংশ: এই অংশে সর্বদা শহরের কার্যাবলির সম্প্রসারণ ঘটতে থাকে। তা ছাড়া কেনাকাটা, বিনোদন এবং কর্মের সুযোগ প্রভৃতি এখানে পরিলক্ষিত হয়। এটি প্রকৃতপক্ষে ধারাবাহিকভাবে ঘটতে থাকা নগরের সম্প্রসারিত অংশ


(ii) বাইরের অংশ: এটি শহরের বাইরের অংশ যেখানে উচ্চপর্যায়ের কাজকর্ম পরিচালিত হয়


(iii) সীমান্তবর্তী এলাকা: এটি যাত্রীবলয়ের (Commuter's Zone) অন্তর্গত। এখানে অল্প সংখ্যক লোক কর্মে নিযুক্ত থাকেন। এখানে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি এবং বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত দক্ষ শ্রমিকের সরবরাহ এলাকা হিসেবে এটি বেশি পরিচিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01