welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প ও পর্যটন স্থানসমূহ (Tourism Industry and Tourist Places of West Bengal)

পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্প ও পর্যটন স্থানসমূহ (Tourism Industry and Tourist Places of West Bengal)


পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে গরিমাময় হিমালয় পর্বত এবং দক্ষিণে সমুদ্রপোকূল পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বহুবিশিষ্ট ও সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রসমূহ। হিমালয়ের কোলে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, লাভা, লোলেগাঁও প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। হিমালয়ের পাদদেশে ডুয়ার্স ও তরাই-এর বনভূমিতে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যান। দক্ষিণে দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণি, বকখালি প্রভৃতি সাগরবেলা এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পশ্চিমদিকে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়, বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়, বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার ভাস্কর্য সমন্বিত মন্দির দর্শনের জন্য অনেক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। মুরশিদাবাদে ঐতিহাসিক স্থানগুলিও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। ধর্মীয় পর্যটনে কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠ, কালিঘাট, তারকেশ্বর, তারাপীঠ প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গে পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের জন্য উক্ত বিভিন্ন স্থানসমূহে পর্যটক আবাস, যাতায়াতে সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে।

কলকাতা: পশ্চিমবলোর রাজধানী কলকাতাও দেশবিদেশের পর্যটন কেন্দ্রে স্থান করে নিয়েছে। এখানে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তারামণ্ডল (বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম), ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জাদুঘর, চিড়িয়াখানা। কলকাতাকে 'সিটি অফ প্যালেসেস' বা প্রাসাদ নগরী বলে উল্লেখ করা হয় অনেক প্রাচীন প্রাসাদোপম বাড়ির জন্য। এখানে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি (জোড়াসাঁকো), স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি (সিমলা স্ট্রিট)। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ও কালিঘাট মন্দিরে ধর্মীয় পর্যটকদের আগমন ঘটে। কলকাতার বইমেলা আন্তর্জাতিক মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন বিশ্বের ক্রীড়াজগতে একটি পরিচিত নাম।

দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চল: হিমালয়ের পার্বত্য শহর। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্খার তুষারশৃঙ্খ সুদৃশ্যমান। দেশবিদেশের পর্যটকদের ভিড় সারাবছর লেগেই থাকে। দার্জিলিংকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য 'কুইন অব দ্যা হিল যেদিকে স্টেশন' বলা হয়। দার্জিলিং-এর ট্রয়ট্রেন পরিষেবা বিশ্বের হেরিটেজ সাইট-এর মর্যাদা পেয়েছে। দার্জিলিং-এর চা স্বাদে-গন্ধে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ। পাহাড়ের গায়ে চা-বাগিচাগুলি খুব সুন্দর। সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান এখানে অবস্থিত। রডোডেনড্রন, ম্যাগনোলিয়া প্রভৃতি বৃক্ষ এবং রেড পান্ডা, প্যাঙ্গোলিন, ব্ল‍্যাক বিয়ার, হরিণ প্রভৃতি পশু এখানে উল্লেখযোগ্য। সান্দাকফুতে ট্রেকিং করতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে।

কালিম্পং, কার্শিয়াং, লাভা, লোলেগাঁও দার্জিলিং জেলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র। ডুয়ার্স: জলপাইগুড়ি জেলা, দার্জিলিং জেলা ও কুচবিহার জেলার অংশবিশেষ নিয়ে বিস্তীর্ণ ডুয়ার্স ও তরাই-এর বনভূমি। এখানে উল্লেখযোগ্য অভয়ারণ্যগুলি হল-বক্সা, গরুমারা, ন্যাওড়া ভ্যালি প্রভৃতি।

বক্সা ব্যাঘ প্রকল্প, গরুমারা জাতীয় উদ্যান, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও ন্যাওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান ডুয়ার্সে পর্যটকদের বিরাট সংখ্যায় আকর্ষণ করে। শাল, শিমুল, তমাল, চাপলাশ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ। বাঘ, হাতি, হরিণ, বাইসন প্রভৃতি দেখতে পর্যটকদের আগমন ঘটে। তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোশ, মূর্তি প্রভৃতি নদীর দুই তীরের সৌন্দর্য পর্যটকদের মোহিত করে।

অরণ্য ও জীববৈচিত্র্য যাঁরা ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে অনেকগুলি গন্তব্যস্থল:

পশ্চিমবঙ্গে দুটি ব্যাঘ প্রকল্প-১. সুন্দরবন ও ২. বক্সা টাইগার রিজার্ভ।

পশ্চিমবঙ্গে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান (National Park) রয়েছে-১. সুন্দরবন, ২. বক্সা, ৩. গরুমারা, ৪. ন্যাওড়া ভ্যালি, ৫. সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান,অভয়ারণ্য: ১. বয়ল্লভপুর, ২. বেথুয়াডহরি, ৩. পারমাদান (বনগা), ৪. চাপড়ামারি, ৫. হলিডে আইল্যান্ড, ৬. জলদাপাড়া, ৭. জোড় পোখরি, ৮. লোখিয়ান আইল্যান্ড, ৯. মহানন্দা, ১০. নরেন্দ্রপুর, ১১. রায়গঞ্জ, ১২. সজনেখালি, ১৩. সিন্ঞ্চল, ১৪.রামনাড়াগণি অভয়ারণ্য।

কুমির প্রকল্প: সজনেখালি কুমির প্রকল্প।

পাখিরালয়: ১. সজনেখালি (সুন্দরবন), কুলিক (রায়গঞ্জ), ৩. সাঁতরাগাছি (হাওড়া)।

সমুদ্রসৈকত-এর পর্যটন কেন্দ্র:পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণে সমুদ্রোপকূলে এই সৈকত শহরটিতে সারা বছর বিপুল সংখ্যায় পর্যটকদের আগমন ঘটে। পার্বত্য শহর হিসাবে দার্জিলিং যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় তেমনি সৈকত শহর হিসেবে দিঘা পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে জনপ্রিয়। দিঘা ও নিউ দিঘা মিলিয়ে এর পর্যটনের বিস্তার ঘটেছে।

অন্যান্য সৈকত পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে দিঘার অদূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই শংকরপুর ও মন্দারমণি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বকখালি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র।

সুন্দরবন: বঙ্গোপসাগর তীরে সুন্দরবন ব-দ্বীপ অঞ্চলের বিস্তার। সুন্দরবন একটি জাতীয় উদ্যান এবং বিশ্বের হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সুন্দরবন রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। বাঘ ছাড়াও হরিণ, বুনো শুয়োর, কুমির এখানকার বিশিষ্ট প্রাণী। সুন্দরি, গরান, গর্জন, গেওয়া প্রভৃতি বিশিষ্ট ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ। ম্যানগ্রোভের বৈশিষ্ট্য এর শাসমূল ও ঠেসমূল যা জোয়ারের লবণাক্ত জলের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রয়োজন হয়।

মালভূমি অংশের পর্যটন কেন্দ্র: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া পাহাড় পর্যটক ও পর্বত প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ধর্মীয় পর্যটনঃ পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলি ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রসমূহের মধ্যে রয়েছে গঙ্গা তীরে দক্ষিণেশ্বর, আদি গঙ্গা তীরে কালীঘাট, কলকাতায় নাখোদা মসজিদ, পরেশনাথ মন্দির, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ প্রভৃতি। বীরভূমে তারাপীঠ, হুগলিতে তারকেশ্বর মন্দিরে বহু পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে। বিষুপুরের মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কারুকার্য বিখ্যাত। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গঙ্গাসাগরে প্রতি বছর মকরসংক্রান্তিতে লক্ষাধিক পূণ্যার্থী পুণ্যস্নান করতে আসেন।

কুমির প্রকল্প: সজনেখালি কুমির প্রকল্প।

পাখিরালয়: ১. সজনেখালি (সুন্দরবন), কুলিক (রায়গঞ্জ), ৩. সাঁতরাগাছি (হাওড়া)।

সমুদ্রসৈকত-এর পর্যটন কেন্দ্র: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণে সমুদ্রোপকূলে এই সৈকত শহরটিতে সারা বছর বিপুল সংখ্যায় পর্যটকদের আগমন ঘটে। পার্বত্য শহর হিসাবে দার্জিলিং যেমন সবচেয়ে জনপ্রিয় তেমনি সৈকত শহর হিসেবে দিঘা পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে জনপ্রিয়। দিঘা ও নিউ দিঘা মিলিয়ে এর পর্যটনের বিস্তার ঘটেছে।

অন্যান্য সৈকত পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে দিঘার অদূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই শংকরপুর ও মন্দারমণি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বকখালি প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র।

সুন্দরবন: বঙ্গোপসাগর তীরে সুন্দরবন ব-দ্বীপ অঞ্চলের বিস্তার। সুন্দরবন একটি জাতীয় উদ্যান এবং বিশ্বের হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সুন্দরবন রয়‍্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। বাঘ ছাড়াও হরিণ, বুনো শুয়োর, কুমির এখানকার বিশিষ্ট প্রাণী। সুন্দরি, গরান, গর্জন, গেওয়া প্রভৃতি বিশিষ্ট ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ। ম্যানগ্রোভের বৈশিষ্ট্য এর শাসমূল ও ঠেসমূল যা জোয়ারের লবণাক্ত জলের সঙ্গে অভিযোজনের জন্য প্রয়োজন হয়।

মালভূমি অংশের পর্যটন কেন্দ্র: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া পাহাড় পর্যটক ও পর্বত প্রশিক্ষণ প্রার্থীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ধর্মীয় পর্যটনঃ পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলি ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রসমূহের মধ্যে রয়েছে গঙ্গা তীরে দক্ষিণেশ্বর, আদি গঙ্গা তীরে কালীঘাট, কলকাতায় নাখোদা মসজিদ, পরেশনাথ মন্দির, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ প্রভৃতি। বীরভূমে তারাপীঠ, হুগলিতে তারকেশ্বর মন্দিরে বহু পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে। বিষুপুরের মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কারুকার্য বিখ্যাত। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গঙ্গাসাগরে প্রতি বছর মকরসংক্রান্তিতে লক্ষাধিক পূণ্যার্থী পুণ্যস্নান করতে আসেন।

ঐতিহাসিক পর্যটন: মুর্শিদাবাদে হাজারদুয়ারি, খোসবাগ, কাটরা মসজিদ, কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম প্রভৃতি ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য খ্যাত।

শিক্ষা পর্যটন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত প্রাকৃতিক পাঠশালা শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতাও শিক্ষা পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাস্থান। দেশ বিদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পাঠ নিতে আসে। কলকাতার ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে বহু শিক্ষার্থীর আগমন ঘটে। শিক্ষা সংগ্রহশালাগুলির মধ্যে রয়েছে বিড়লা টেকনোলজিক্যাল অ্যান্ড আর্ট মিউজিয়াম, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা জাদুঘর প্রভৃতি। পর্যটন: মুর্শিদাবাদে হাজারদুয়ারি, খোসবাগ, কাটরা মসজিদ, কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম প্রভৃতি ঐতিহাসিক নিদর্শনের জন্য খ্যাত।

শিক্ষা পর্যটন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত প্রাকৃতিক পাঠশালা শান্তিনিকেতনে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতাও শিক্ষা পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাস্থান। দেশ বিদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পাঠ নিতে আসে। কলকাতার ন্যাশানাল লাইব্রেরিতে বহু শিক্ষার্থীর আগমন ঘটে। শিক্ষা সংগ্রহশালাগুলির মধ্যে রয়েছে বিড়লা টেকনোলজিক্যাল অ্যান্ড আর্ট মিউজিয়াম, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা জাদুঘর প্রভৃতি।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01