সাইলেন্ট ভ্যালি আন্দোলন (Silent Valley movement)
কেরালার পালঘাট জেলায় একটি পাহাড়ে ঘেরা উপত্যকা। মাঝখান দিয়ে, কুস্তি নদী (কুস্তিপুঝা, পুঝা মানে নদী) বয়ে চলেছে। এটি ভারতের কয়েকটি মাত্র বৃষ্টিঅরণ্যের একটিতে অবস্থিত। গভীর ক্রান্তীয় বৃষ্টিঅরণ্যের নির্জনতা, নিস্তব্ধতা একে নিস্তব্ধ অরণ্য বা সাইলেন্ট ভ্যালি আখ্যা দিয়েছে। এই অরণ্যে, কুন্তি নদী যেখানে হঠাৎ উপত্যকা দিয়ে খুব খাড়াভাবে নেমে গেছে সেখান বাঁধ দিয়ে জলাধার তৈরি করে উচ্চজলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পে বৃষ্টিঅরণ্যের পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন কয়েকজন পরিবেশবিদ। কেরালা শাস্ত্র সাহিত্য পরিষদ (KSSP) রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামে এবং এই প্রকল্পের মূল্যায়ন করে পুস্তিকা প্রকাশ করে ও এর বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান করে। কেন্দ্র ও রাজ্য এই প্রকল্পের দ্রুত রূপায়নে প্রথমে তৎপর হয়ে উঠলেও দেশের ও রাজ্যের পরিবেশপ্রেমী মানুষ, পরিবেশ আন্দোলনকারী এবং যে আন্তর্জাতিক সাড়া এই আন্দোলন ফেলেছিল তার প্রভাবে সাইলেন্ট ভ্যালি প্রজেক্ট ১৯৮৩ সালেই পরিত্যন্ত বলে ঘোষণা করা হয়। সাইলেন্ট ভ্যালিকে জাতীয় উদ্যানের মর্যাদা দেওয়া হয়।