welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

পরিমাত্রিক মতবাদ (Quantitative view):

পরিমাত্রিক মতবাদ (Quantitative view):


এই মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ মনে করেন যে, কোন গ্রামীণ বসতির বাইরের আকার হবে গোলাকার, যদি এই আকৃতি গোলাকার না হয় তবে যে কোন জ্যামিতিক প্রক্রিয়ায় তা পরিমাপ করা সম্ভব হবে। পরিমাত্রিক মতবাদ অনুসারে কোন গ্রাম সমতল ভূমি বা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। এখানে কোনরকম প্রাকৃতিক কিংবা সাংস্কৃতিক বাধা থাকবে না। এর ফলে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কোন বড় জলাশয় বা পুষ্করিণী, মন্দির কিংবা কোন বৃহৎ বৃক্ষের চারদিকে গ্রামটি গোলাকার বিস্তৃত হবে। এই মতবাদের সমর্থনে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের মতামত উল্লেখযোগ্য।

Walther Christaller এবং Losh প্রমুখ সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদ কোন গ্রাম কিংবা শহরের আকার জাগা দুটি স্থানের মধ্যে ব্যবধান কত হবে তা নির্ধারণ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্থান তত্ত্বে (Central Place bory) ষড়ভুজ মডেলের (Hexagonal Model) এর সাহায্য নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানীগণ জাফরী সরলরেখা আকার' মডেলকে ব্যবহার করেছেন।

সমাজবিজ্ঞানী miller কোন নদী অববাহিকার আকার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিম্নলিখিত সূত্র ব্যাখ্যা করেছেন-

S = (Ab)/(Ac)

S =

নদী অববাহিকার আকৃতি,

Ab নদী অববাহিকার আয়তন

Ac একই পরিসীমাযুক্ত বৃত্তের আয়তনের অনুপাত।

ব্রাজিলের কোন কোন গ্রামের আকার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পিটার হ্যাগেট একই ধরনের সূত্র ব্যবহার করেছেন। তাঁর সূত্রটি হল-

S = A/L

S = বসতির আকার

A = 2 গ্রামের আয়তন

L = 2 গ্রামের আয়তন এবং কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের পরিসীমা হিসেবে বৃত্তের আয়তনের অনুপাত |

ভারতীয় গ্রামগুলির আকৃতি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মিলারের ব্যবহৃত সূত্র বিশেষভাবে উপযুক্ত। মিলার ভারতীয় প্রমগুলির আকারের যে সূচক পেয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ মান হল 1.00 এবং সর্বনিম্ন মান হল ০। সূচকের মান 42 হলে তার আকৃতি হবে ত্রিকোণাকার, 64 হলে চতুষ্কোণাকার এবং ৪৭ হলে যড়ভুজ আকৃতির গ্রাম হবে।


বিচ্ছিন্ন বসতি ও সারিবদ্ধ বসতির পার্থক্য:

বসতির বিন্যাস পর্যালোচনা করে বিচ্ছিন্ন বসতি ও সারিবন্ধ বসতির মধ্যে বেশ কিছু বৈসাদৃশ্য পাওয়া বার-

প্রথমতঃ বিচ্ছিন্ন বসতির ক্ষেত্রে একটি বসতি থেকে অপর একটি বেশ দূরে দূরে এবং বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে।সারিবন্ধ বসতির ক্ষেত্রে দেখা যায় রেখার আকারে বসতিগুলি সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করছে।

দ্বিতীয়তঃ পার্বত্য অঞ্চল, মালভূমি অঞ্চল, বনভূমি অঞ্চল, তৃণভূমি অঞ্চলে কৃষিজমির অভাব, প্রতিকূল জলবায়ু, জলের অভাব, ভূমিক্ষয় প্রভৃতি কারণে বিক্ষিপ্ত বসতি গড়ে ওঠে।কিন্তু রৈখিক বসতি গড়ে ওঠে রেলপথ, সড়কপথ, নদীর পাড়, খালপাড়ের প্রান্ত দিয়ে বা ধার দিয়ে।

 তৃতীয়তঃ বসতি ঘনত্ব, বিক্ষিপ্ত বসতির ক্ষেত্রে অনেক কম হয়। বসতির ঘনত্ব রৈখিক বসতিতে কিছুটা বেশি হয়।

চতুর্থতঃ বসতিগুলি দূরে দূরে অবস্থিত হয় বলে অধিবাসীদের বাক্তিগত নিরাপত্তা কম হয় এবং পরস্পরের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বেশি হয়।রৈখিক বসতিতে তুলনামূলকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বেশি হয়। সামাজিক দূরত্ব অনেক কম হয়।

পঞ্চমতঃ বিচ্ছিন্ন বসতিতে দেখা যায় যে, দুটি বসতির বা বাড়ীর মধ্যে অনেকটা ফাঁকা অঞ্চল থাকে। রৈখিক বসতিতে যেহেতু সারিবদ্ধভাবে ঘরবাড়ীগুলি অবস্থান করে সেইজন্য রৈখিক বসতিতে দুটি বাড়ীর মধ্যে ফাঁকা অঞ্চল প্রায় থাকে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01