পৌরপুঞ্জের গঠনের প্রক্রিয়া (Process and Development of Conurbation
প্রাচীন কালের নগরগুলির বিস্তারের পর্যায়ের সঙ্গে পৌরপুঞ্জ গঠনের বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যায়। প্রাথমিক অবস্থায় নগরকেন্দ্রগুলির সঙ্গে প্রতিবেশি ছোটো শহরগুলির বিশেষ যোগাযোগ থাকে না। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিল্প এবং বাণিজ্যের উন্নতির ফলে এই ছোটো প্রতিবেশি শহরগুলির গুরুত্ব বাড়তে থাকে।
নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য পৌরপুঞ্জ গড়ে ওঠে।
(i) একটি মাত্র মেট্রোপলিটান শহরের প্রসার ঘটলে পৌরপুঞ্জ গড়ে উঠতে থাকে। যেমন- লন্ডন পৌরপুঞ্জ।
(ii) দুটি নগর পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পৌরপুঞ্জ গড়ে ওঠে।
(iii) দুটি বা তার বেশি শহরকেন্দ্রের পরস্পরের সংযুক্তির ফলেও পৌরপুঞ্জ গঠিত হয়।
উৎপত্তি ও প্রকৃতিগত দিক থেকে ভৌগোলিক ও সমাজবিজ্ঞানীগণ পৌরপুঞ্জকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেছেন। এগুলির মধ্যে প্রধান কয়েকটি শ্রেণি হল- (a) Uninuclear conurbation, (b) Binuclear conurbation এবং (c) Polynuclear conurbation.
(a) সরলরৈখিক পৌরপুঞ্জ গঠন: একটি মাত্র নগরকে কেন্দ্র করে এধরনের পৌরপুঞ্জ গড়ে ওঠে। বিশেষত একটি প্রধান নগরের (উদাহরণ- লন্ডন) চারপাশে এর বিস্তার ঘটতে থাকে।
(b) দ্বিরৈখিক পৌরপুঞ্জ গঠন: দুটি গুরুত্বপূর্ণ নগরের মধ্যভাগে ওই দুটি নগরের চারপাশে Binuclear conurbation গঠিত হয়। উদাহরণ- কানাডার টরেন্টো এবং হ্যামিল্টন নগরের চারপাশকে কেন্দ্র করে পৌরপুঞ্জ গঠিত হয়।
(c) বহুরৈখিক পৌরপুঞ্জ গঠন: দুটির বেশি নগরকেন্দ্র থেকে চারদিকে নগরের সম্প্রসারণের ফলে Polynuclear conurbation-এর উৎপত্তি ঘটে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, পশ্চিম মিডল্যান্ড পৌরপুঞ্জ Walsall. West Bromwich. Wednesbury এবং Wolverhampton শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।