জঙ্গল মহলের সমস্যা(Problems of Jungle Mahal)
জঙ্গল মহলের ৪টি জেলাই আদিবাসী জনগন অধ্যুষিত বসতি। বৃটিশ শাসনে যে বঞ্চনার বিরুদ্ধে সিধু-কানহো-বিরশাদের নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল, তার সুরাহা স্বাধীনতার পরেও দশকের পর দশক অবহেলিত থেকে গেছে। জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং আদিবাসীদের সুখ-দুঃখ, অভাব এর সাথে সংযোগ গড়ে তুলতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই অবস্থায় পার্শ্ববর্তী ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে উৎ এবাদের অনুপ্রবেশে বহু সম্ভাবনাময় যুবসম্প্রদায় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সশস্ত্র পথে অধিকার আদায়ের লড়াই-এ। ফলতঃ বিরোধ বাদে প্রশাসন-এর সঙ্গে উগ্রবাদের এবং মানসিক দূরত্ব বাড়ে আদিবাসী জনগনের একাংশের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত সরকারী দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে। যুবক-যুবতীদের বিপথগামীতা থামাতে এবং তাদের সমাজের মূলস্রোতে নিয়ে আসার প্রশাসনিক স্তরে বর্তমান প্রচেষ্টায় অনেকটাই সুফল মিলেছে। তবে জঙ্গল মহলে স্থায়ী শান্তি ও সুস্থিতির জন্য যে সকল বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা জরুরী সেই বিষয়গুলির উপর কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা হল:-
১. ভূমিহীনতা: জঙ্গল মহলের অধিকাংশে আদিবাসী ভূমিহীন বা প্রান্তিক কৃষক। কৃষি বা কৃষি মজুরী থেকে যে আয় হয় তাতে দু-বেলা উপযুক্তভাবে ভরণপোষণ সম্ভব হয় না। দৈনিক মজুরী সরকার ঘোষিত নূন্যতম মজুরীর প্রায় অর্ধেক হলেও তাও সারা বছর উপলব্ধ নয়। কারণ, জলসেচ উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে বহু জমি একফসলী, ফলে শ্রমদিবস সংখ্যা চাহিদার তুলনায় কম অর্জিত হয়। নিজেদের জমি না থাকায় বাড়তি আয়ের সুযোগও থাকে না অধিকাংশ কৃষি মজুর-এর। জলসেচের সুযোগ বৃদ্ধি করে জমিকে বহুফসলী করতে পারলে শ্রমদিবসের সংখ্যা বাড়বে। ভূমিহীনতা দূর করার জন্য সরকারী উদ্বৃত্ত জমির পুনঃবন্টন এবং পতিত জমি সংস্কারকরণ আদিবাসী জনগনের আংশিকভাব হলেও ভূমিহীনতার সমস্যা নিরসন করবে।
২. অরণ্যহ্রাস ও অরণ্যের অধিকার থেকে বঞ্চনাবোধ: কৃষি জমির অভাব ও কৃষিশ্রমদিবসের অভাব পু রণের জন্য অরণ্য সম্পদ-এর উপর আদিবাসীরা অনেকখানি নির্ভর করে থাকেন। কিন্তু কৃষি ও বসতির প্রয়োজনে ও চোরাই কাঠের কারবারীদের একদা উপদ্রবে অরণ্য হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। তাই শালপাতা, শুকনো ডাল, কেন্দুপাতা ও অন্যান্য বনজদ্রব্য সংগ্রহে আদিবাসী বসতির সঙ্গে বনদপ্তরের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বহু ক্ষেত্রেই। এছাড়াও অরণ্য প্রবেশে বাঁধা থাকায় বনকর্মীদের সংগে সংঘাতে, একদা অরণ্য নির্ভর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত আদিবাসীগণের মধ্যে এক তীর বঞ্চনাবোধ তৈরি হয়েছে।
যৌথ বনব্যবস্থাপনা (Joint forest management বা Participatory forest management)-র কার্যকরী প্রয়োগ ও জঙ্গল মহলের সর্বত্র তার রূপায়ণ আদিবাসীর সীমিতভাবে হলেও অরণ্যের অধিকারবোধ তৈরিতে সদর্থক ভূমিকা নেবে এবং উপার্জন বৃদ্ধি করবে ও একই সংগে অরণ্য সংরক্ষণের সহায়ক হবে।
৩। কর্মসংস্থানের অভাবঃ বহুফসলী কৃষি জমির অভাবে কৃষিশ্রমের স্বল্প সুযোগ, শিল্প-এর অনুপস্থিতিতে কর্মসংস্থানের অভাব, পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার জন্য কর্মস্থলে গমাতার (Connectivity and accessibility) অসুবিধা প্রাকৃতিক সম্পদ সংগ্রহে পরিকাঠামোগত আকাঙ্খিত উন্নতি হয়নি। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও তাই বিশেষ তৈরি হয়নি। বহু আদিবাসী পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ধান-এর চারা লাগানো ও ধান কাটার সময় কাজের খোঁজে স্থানান্তরে গমন করেন। অনেকে মাসের পর মাস, কখনো বছরের পর বছর দূরবর্তী জেলাগুলিতে ও ইটভাটাতে কাজে চলে যান। তাদের কেউ কেউ ঋণ জর্জরিত হয়ে ইটভাটাগুলিতে লাগাতার কাজ করতে বাধ্য হন।
জঙ্গাল মহলে স্থানীয় বনজ, কৃষি ও খনিজ সম্পদ সংগ্রহ ও সম্পদ উন্নয়নে, পরিকাঠামোগত উন্নতি ঘটিয়ে সুযোগ্য বন পরিচালন ব্যবস্থা (Efficient Forest Management) চালু করতে পারলে আদিবাসীদের দুর্দশা লাঘবে তা কার্যকরী হবে।
আদিবাসীরা সাধারণতঃ হস্তশিল্প বিশেষত বাঁশ ও বেতের কাজে এবং শালপাতার থালা তৈয়ারীতে নিপুন।প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও কিছু হস্তচালিত যন্ত্রের সরবরাহ সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। একটি উদাহরণ: হাতে কাঠি গুজে শালপাতার থালা তৈরি করলে ১০০ থালায় যেখানে ৩০ টাকা রোজগার হয়, শালপাতা বোনার সেলাই মেশিনেও ডাইস মেসিনে (বাজার যোগ্য শালপাতার থালা, বাটি) সেখানে উৎপাদন ৪-৫ গুন ও উপার্জন ৭-৮ গুন হয়। এইটুকু আর্থিক সহযোগীতাই অরণ্য নির্ভর আদিবাসী জীবনে মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে।
৪। স্বাস্থ কর্মসূচী রূপায়নের অভাব: স্বস্থ কর্মসূচী রূপায়নের অভাব রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় মানুষজন আনেকেই এই কর্মসূচী সম্পর্কে অবহিত নন, অথবা অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এই ধরনের কর্মসূচী সেখানকার মানুষের কাছে পৌঁছায় না। সচেতনতা কর্মসূচীরও অভাব রয়েছে এখানে, এজন্য বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প থাকলেও তা হয় রূপায়িত করার উদ্যোগের অভাব রয়েছে অথবা তা বাস্তবোচিত নয়। উদাহরণ, স্বচ্ছ ভারত অভিযান বা নির্মল বাংলা মিশন প্রকল্পে অনেক গৃহপ্রাঙ্গনেই নির্মাণকার্য হয়েছে, কিন্তু গৃহে বা গৃহসন্নিকটে জলের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এগুলি বহুক্ষেত্রেই পরিত্যক্ত হয়ে আছে। প্রয়োজন ছিল জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে উক্ত প্রকল্প রূপায়িত করা। ফলে স্বচ্ছতা বা নির্মলতা কাগজ-কলম থেকে বাস্তবায়িত হওয়ায় বিঘ্ন ঘটেছে। এছাড়া, নিরাপদ পানীয় জলের অভাব রয়েছে বহু আদিবাসী গ্রামে। কিছু এলাকায় সরকারী উদ্যোগে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে, কিন্তু তাতে লোহার আধিক্য ও ভিন্ন স্বাদ গন্ধ থাকায় আদিবাসী মহিলারা দূরবর্তী ঝরণা (Springwell) থেকে জল সংগ্রহ করে আনেন এবং তা পরিশোধন ছাড়াই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করেন। ফলে পেটের রোগ ও অন্যান্য জলবাহিত রোগ-এর প্রাদুর্ভাব এর সম্ভাবনা থেকেই যায়।
পানীয় জলের জন্য পরিবেশবান্ধব সৌর-ফিল্টারের ব্যবহার অথবা গৃহভিত্তিক বালি ও কাঠ কয়লার সাহায্যে জল পরিশোধন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে অনেক বেশি নিরাপদ পানীয় জল তারা পান করতে পারবেন।
খাদ্য গ্রহনে ন্যূনতম ক্যালোরি নিশ্চিত করাও যায় না। দৈহিক ২,১০০ ক্যালোরির খাদ্য গ্রহণ-এর সাধ্য, নিয়মিত রোজগারের অভাবে বহু আদিবাসী জনসংখ্যারই নেই। যখন ফসল বোনার বা ফসল কাটার কাজ থাকে না, শাক-পাতা, গেরি-গুগলী, জলভরতি পান্তাভাত খেয়ে উক্ত ক্যালোরি মান অর্জন সম্ভব হয় না। ফলে পুষ্টির অভাব চোখে পড়ে। BMI বা বডি মাস ইনডেক্স (BMI or Body Mass Index) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাঙ্খিত মান থেকে নিম্নে থাকতে দেখা গেছে। সচেতনতার অভাবে অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দূরত্বের জন্য নিয়মিত টিকা গ্রহণের অভাব রয়েছে বহুক্ষেত্রে। ন্যায্যমূল্যে রেশন বিলি বণ্টন ব্যবস্থায় পুষ্টির গুণমান উন্নত করলে এবং প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও খাদ্যের স্বচ্ছ বিলিবণ্টন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নতিবিধান সম্ভব।
৫। আদিবাসী সংস্কৃতি রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগের অভাব: দেশে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য (Unity in Diversity) রাখার প্রয়াস ফলপ্রসূ হবার পক্ষে অনেক বাধা রয়েছে.
ভাষাগত সংস্কৃতি: আদিবাসী ভাষায় লেখাপড়া করার সুযোগ-এর শিক্ষক-এর অভাবে, আদিবাসী ভাষায় লিখিত পুস্তকের অভাবে। বিশুদ্ধ আদিবাসী ভাষা জানা আদিবাসী নবীন প্রজন্মের জনসংখ্যার আগ্রহও কমে এসেছে এই কারণে। বাংলা বা হিন্দি, স্বল্প ক্ষেত্রেই ইংরেজি মাধ্যমেই লেখ াপড়ার সুযোগ থাকায় লেখাপড়ায় আগ্রহ আশানুরূপ সৃষ্টি হচ্ছে না। সাঁওতালি বা অলচিকি (সাঁওতালদের ভাষা), কুরুখ (ওরাঁওদের ভাষা), মুস্তারি (মুন্ডা জনজাতির ভাষা) ভাষার সাথে বাংলা ও হিন্দির সংমিশ্রণে এক মিশ্র কথ্য ভাষা আদিবাসী ও অ-আদিবাসী জনসংখ্যার মধ্যে মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভাষাগত সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখিন হয়েছে।
'মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ' কবিগুরুর এই আপ্তবাক্যটি বাস্তবে রূপায়ন তখনি হবে যখন জঙ্গল মহলের সাঁওতাল, ওরাঁও, মুন্ডা, শবর প্রভৃতি জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে তাদের নিজস্ব ভাষায় অথবা পরিচিত ভাষায় পাঠদান সম্ভব হবে। এজন্য উক্ত আদিবাসী ভাষায় পারদর্শী শিক্ষক বা পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে।
নৃত্য, সংগীতঃ পালা-পার্বনে আদিবাসী নৃত্য, সংগীত জঙ্গল মহলে এখনো জঙ্গলের নিস্তব্ধতার মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। কিন্তু ধামসা-মাদল ক্রয় ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় নৃত্য-সংগীত চর্চায়ও বিঘ্ন ঘটছে। হিন্দি বা বাংলা নৃত্য গানের প্রভাব এখনো আদিবাসী নৃত্য গানের বিশুদ্ধতাকে মলীন করে নি। কিন্তু বাদ্যযন্ত্রের অভাবই নৃত্য গান চর্চায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে।
প্রশাসনিক স্তরে, স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলির কর্মসূচীতে নৃত্য সংগীতে উৎসাহদানের জন্য বাদ্যযন্ত্র প্রদানের মত স্বল্পব্যায় কর্মসূচী গ্রহণের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে বলেই মনে হয়। বৈচিত্র্যের মধে ঐক্য স্থাপনের এটি এক বিশিষ্ট পদক্ষেপ হবে বলেই আশা।
মূল্যায়ন: মানবোন্নয়ন সূচক (Human Development Index) জঙ্গল মহলের সব কটি জেলায় রাজ্য তথা রাষ্ট্রীয় মান থেকে কম। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার মান থেকেও আবার আদিবাসী অঞ্চলগুলিতে এই মান অবশ্যম্ভাবীভাবে আরো কম। মানবোন্নয়ন সূচকের উন্নতি ঘটাতে গেলে প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়ন। এজন্য বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠন মাধ্যম সংশোধন বা পরিবর্তন প্রয়োজন। বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষাদানের সময়ানুবর্তিতা, সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে শিক্ষাদানে শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সংগে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে। নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি প্রয়োজন। কারণ মায়ের কাছেই সন্তানের হাতেখড়ি সবচেয়ে সুফল দেয়। নারীদের গৃহে ও বাইরে অন্নসংস্থানের জন্য দিবারাত্র পরিশ্রম করতে হয়। কর্মসংস্থান ও সংসারের প্রয়োজনীয় অর্থোপার্জনের ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। কন্যাশ্রী প্রকল্প এই লক্ষ্যে একটি বলিষ্ঠ সরকারী পদক্ষেপ, তবে এতে সকল যোগ্য কন্যাদের যাতে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
জন প্রতি আয় বৃদ্ধির জন্য গ্রামীন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে প্রায়শঃ শ্রমিকদের পাওনা মজুরী দিতে দীর্ঘ বিলম্ব হয় এবং অনেকক্ষেত্রে কাজের ও কাজের মজুরীর হিসেবে স্বচ্ছতা থাকে না। এই বিষয়ে স্বচ্ছতা ও মজুরী দানে দ্রুততা আনা প্রয়োজন। প্রত্যাশিত গড় আয়ু (Life Expectency) ওখনই বাড়বে যখন কর্মসংস্থান ও আয়ের ব্যবস্থার উন্নতি সাধন ঘটবে। খাদ্যক্রয় ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটলে তবেই ন্যূনতম ক্যালোরি গ্রহণ ও পুষ্টি অর্জনে উন্নতি ঘটবে।
উপসংহার: জঙ্গল মহলের আর্থ-সামাজিক উন্নতি বিধান -এ বিলম্বের কারণগুলি খতিয়ে দেখে মানবীয় বাস্তুসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা অনুসন্ধান করে, স্থানীয় সম্পদ সম্ভবনা বিষয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান-এর প্রায়োগিক গুরুত্ব দানের মধ্য দিয়ে এবং উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বস্তরের স্থানীয় মানুষদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও সুস্থায়ী উন্নয়ন (Suslainable development) সম্ভব.