শক্তি সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস ( Power Resources Natural Gas)
ভারতের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ভারতে গ্যাস উৎপাদনের ইতিহাস শুরু হয় ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে অসময়ের ডিগবয় তৈল ক্ষেত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অধিকাংশ-ই তৈল খনি থেকে পাওয়া যায়। এছাড়া কেবল গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। ONGC (Oil and Natural Gas Corporation), OIL. (Oil India Limited) এবং বেসরকারি কয়েকটি কোম্পানি বিভিন্ন তৈল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনে নিয়োজিত।
ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাসের আঞ্চলিক বন্টন: ভারতে মুম্বাই হাই থেকে অর্থাৎ বোম্বাই দরিয়া থেকে অধিকাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস বর্তমানে উত্তোলিত হয়। দেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক (৫২%, এপ্রিল ১৪- নভেম্বর ১৪) মুম্বাই দরিয়া থেকে উত্তোলিত হয়। এরপরে দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় সমুদ্র দরিয়ার স্থান। মোট উত্তোলনের প্রায় ১/৫ ভাগ আসে এই অঞ্চল থেকে। এপ্রিল ১৪- নভেম্বর ২০১৪ এই সময় প্রাপ্ত পরিসংখ ্যান থেকে দেখা যায় রাজ্যগুলির মধ্যে অসম সর্বাধিক গ্যাস উত্তোলন করে। অসমের ডিগবয়, নারকাটিয়া, দুলিয়াজান, রুদ্রসাগর, গেলেকি, লাকোয়া প্রভৃতি প্রসিদ্ধ গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র। অসময়ের পর গ্যাস উত্তোলনে গুজরাটের স্থান (৪.৩%)। গুজরাটের অঙ্কলেশ্বর, কালোল, নগাঁও, ঝালোরা, গান্ধার, সাম্পাল, কালোল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য গ্যাস উৎপাদন ক্ষেত্র। রাজস্থানের মানহেরাটিব্বা, ডালেঙ্গাবালা, মাঙ্গালা, ভাগ্যম, ঐশ্বর্য প্রভৃতি প্রসিদ্ধ তৈল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র। দক্ষিণ ভারতে কৃষ্ণা, গোদাবরী, কাবেরী নদী অববাহিকায় নব আবিষ্কৃত তৈল ও গ্যাসক্ষেত্র গুলির মধ্যে আছে মান্ডা, পেটা, পাশারলাপুদী, কেশনপল্লী, নরীমানম, কবীলকান্নাপাল, রামনাদ, পুথালাম প্রভৃতি। মুম্বাই অদূরে বাসেই (Basscia) সর্বাধিক গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র। হীরা, পান্না, মুক্তা, নিলম, তাপ্তি, রত্না, সি- সিরিজ, ডি. ও. ওয়ান ও অন্যান্য গ্যাস উত্তোলন স্থান এই উপকূলীয় সমুদ্রে। ত্রিপুরায় সোনামোরা, গুজালিয়া, কোনাবন প্রসিদ্ধ গ্যাস উত্তোলনক্ষেত্র। ত্রিপুরায় গ্যাস উত্তোলনের স্থান অসম ও গুজরাটের পরেই।
উদাহরণ:ভারত গ্যাস উত্তোলনে স্বাবলম্বী নয়। প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলে থেকে ও প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে ভারতকে আমদানি করতে হয়.