welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

জনসংখ্যা কাঠামো ও জনসংখ্যা পিরামিড (Population Structure and Pyramid)

জনসংখ্যা কাঠামো ও জনসংখ্যা পিরামিড (Population Structure and Pyramid)


কোনো দেশ বা অঞ্চলের জনসংখ্যার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারণ করার জন্য যে বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত হওয়া বিশেষ প্রয়োজন, সেগুলি হল-

(i) মোট জনসংখ্যা (Total Population),

(ii) জনবণ্টন (Population distribution),

(iii) জন্মহার (Birth rate) এবং মৃত্যুহার (Death rate), এবং

(iv) জনবসতির ঘনত্ব (Population Density)।

কিন্তু জনসংখ্যাবিদগণ উপরিউক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও যে বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন, সেটি হল জনসংখ্য কাঠামো বা জনসংখ্যা পিরামিড (Population Pyramid)।

জনসংখ্যা পিরামিডকে এজ-সেক্স পিরামিডও (Age-Sex Pyramid) বলা হয়। কোনো দেশের জনসংখ্যা কাঠামো বা জনসংখ্যা বিশ্লেষণ করলে, সেই দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর জানা যায়-

(i) মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ মানুষ শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক?

(ii) মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ মানুষ বৃদ্ধ।

(iii) মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ সম্পদ উৎপাদনে সক্ষম যুবক?

(iv) জনসংখ্যা পিরামিড থেকে কেবলমাত্র কত শতাংশ মানুষ বৃদ্ধ, যুবক অথবা শিশু তা নির্ধারণ করা হয় না, কত শতাংশ মহিলা বা পুরুষ এসব বয়ঃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত তা জানা যায়।

দেশের মোট জনসংখ্যাকে বয়স অনুসারে এবং নারী-পুরুষ অনুসারে শ্রেণিবন্ধ করলে, একটি পিরামিড তৈরি হয়। পিরামিডের অনুভূমির অক্ষে (Horizontal Axis) নারী-পুরুষের সংখ্যা দেখানো হয়। আর লম্ব অংশে (Vertical Axis) বয়স দেখানো হয়।


জনসংখ্যা পিরামিডের বৈশিষ্ট্য (Feature of Age-Sex Pyramid):

1. কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের অনুভূমিক তল যদি বিস্তৃত হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেই দশের পরিমাণ অনেক বেশি। কারণ পিরামিডের নীচের অংশে

2. কোনো দেশের জনসংখ্যা মধ্যভাগ স্ফীত হলে বুঝতে হবে কর্মক্ষম যুবক-যুবতির সংখ্যা বেশি। আদিকে পিরামিডের মধ্যভাগ যদি সংকীর্ণ হয়, তাহলে কর্মক্ষম মানুষের পরিমাণ কম হয়। মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগটি যুবক-যুবতির সংখ্যাকে নির্দেশ করে।

জাপান, ব্রিটেন প্রভৃতি উন্নত দেশগুলির মধ্যভাগ বেশ স্ফীত হয়। অন্যদিকে ভারত, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশের আকৃতি বয়স্ক নরনারীর সংখ্যাকে নির্দেশ করে। কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগ বেশ সংকীর্ণ।

3. জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশের আকৃতি বয়স্ক নরনারী সংখ্যাকে নির্দেশ করে। কোনো দেশের কসবা শিরমিডের শীর্ষভাগ সংকীর্ণ হলে, বুঝতে হবে সেই দেশের বয়স্ক নরনারীর হয়।


ভারতের জনসংখ্যা পিরামিডের প্রকৃতি (Nature of Population Pyramid of India)

ভারতবর্ষের জনসংখ্যা পিরামিডের বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়-

(1) জনসংখ্যা পিরামিডের বেস (Base) বা ভূমি বেশ বিস্তৃত। অর্থাৎ, ভারতের অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশুদের সংখ্যা বেশি। জন্মহার বেশি হওয়ায় শিশুদের সংখ্যা বেশি হয়। এসব শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (15 বছরের কম) ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সমাজকে নিতে হয়। ফলে সঞ্চয় এবং বিনিময়ের পরিমাণ হ্রাস পায়। 1991 খ্রিস্টাব্দের হিসেবে ভারতের মোট জনসংখ্যার 50 শতাংশই শিশু অপ্রাপ্তবয়স্ক জনগণ।

(।।) ভারতের জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশ বেশ সংকীর্ণ। অর্থাৎ, ভারতে 50 বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা কম। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের অভাবে এবং সুচিকিৎসার অভাবে ভারতের বয়স্ক মানুষের সংখ্যা হ্রাস পায়

(iii) ভারতের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগও তেমন বিস্তৃত নয়। 1991 খ্রিস্টাব্দের হিসাব অনুযায়ী ভারতে সম্পদ উৎপাদনে সক্ষম যুবক-যুবতিদের সংখ্যা মাত্র 4৪ শতাংশ। এই ঘটনা প্রমাণ করে ভারতে উন্নয়নের হার কম। কারণ সম্পদ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মক্ষম যুব সম্প্রদায়ের আয়তন কম।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01