ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা পিরামিড (Population Pyramid of United Kingdom)

ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যা পিরামিড থেকে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়-

(i) জনসংখ্যা পিরামিডের নীচের দিক অনেকটা সরু হয়। জন্মহার কম হয় বলে শিশু এবং স্বল্পবয়স্ক জনসংখ্যার পরিমাণও কম হয়। দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র 25% শিশু ও স্বল্পবয়স্ক জনসংখ্যার অন্তর্গত।

(ii) জনসংখ্যার পিরামিডের মধ্যভাগ বেশ চওড়া, সুতরাং বলা যেতে পারে যে, এই দেশে পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির সংখ্যা খুব বেশি। মোট জনসংখ্যার প্রায় 55%। এদের কাজের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হয়।

(iii) পিরামিডের ওপরের অংশ খুব সরু নয়। অর্থাৎ দেশে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা যথেষ্ট। তাই বলা যায় দেশে উন্নততর চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।

(iv) নির্ভরশীল জনসংখ্যার পরিমাণ অনেক কম হয়।

(v) উন্নত ও সুস্থির অর্থনীতির দিক নির্দেশ করে। 

জাপান (Japan):

পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত এবং ধনী দেশ হল জাপান। ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মতো জাপানের জনসংখ্যা পিরামিডের প্রায় একই ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়-

(i) জনসংখ্যা পিরামিডের নীচের অংশ অনেকটা সরু। অর্থাৎ জন্মহার খুবই কম। শিশু ও স্বল্পবয়স্ক লোকসং the খ্যা অনেকটা কম হয় (মোট জনসংখ্যার মাত্র 25%)

(ii)দেশে পূর্ণবয়স্ক এবং কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পিরামিডের মধ্যভাগ বেশ চওড়া হয়। কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি বলেই দেশটি শিল্পে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। দেশের মোট জনসংখ্যার 57% কর্মক্ষম জনসংখ্যার অন্তর্গত।

(iii) দেশটির জনসংখ্যা পিরামিডের ওপরের অংশ অনেক মোটা অর্থাৎ বয়স্ক জনসংখ্যার পরিমাণ অনেক বেশি হয়। জাপানে মোট জনসংখ্যার 25% প্রবীণ নাগরিক।

(iv) পরনির্ভর জনসংখ্যা কম হওয়ায় মাথাপিছু আয় অনেক বেশি হয়।

 আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (United States of American):

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বয়সভিত্তিক এবং স্ত্রী-পুরুষভেদে জনসংখ্যা পিরামিড বিশ্লেষণ করে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি জানা যায়-

(১) জন্মহার অপেক্ষাকৃত বেশি।

(ii) শিশু জনসংখ্যায় স্ত্রী অপেক্ষা পুরুষের

(iii) শিশু মৃত্যুর হার অনেক কম হয়।

(iv) নির্ভরশীলতার অনুপাত কম। ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দ্রুত ঘটে।

(v) মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বেশি

(vi) কর্মক্ষম জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি হয়।

সুইডেনের জনসংখ্যা পিরামিডের

সুইডেন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উন্নত দেশ। এই দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের বৈশিষ্ট্য হল-

(1) এই দেশের শিশু ও বৃদ্ধ জনসংখ্যা কম। কর্মক্ষম জনসংখ্যা অনেক বেশি।

(ii) জন্মহার ও মৃত্যুহার প্রায় সমান। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় না। জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকে।

(iii) জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমিভাগ থেকে শীর্ষভাগের আকৃতি প্রায় একই রকম থাকে।

(iv) নারী ও পুরুষের সংখ্যাগত বৈষম্য বিশেষ থাকে না।

(v) নির্ভরশীলতার অনুপাত কম হয়।

(vi) জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতি ঘন্টা আকৃতি কিংবা মৌচাকের মত হয়।

(vii) জন্মহার ও মৃত্যুহার প্রায় সমান হয় দুই অক্ষের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হয়।