উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা পিরামিড (Population Pyramid of Developping Coutrien
জনসংখ্যা পিরামিডের গঠন-প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পা লক্ষণীয়। এজন্য উন্নত, উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ কর যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ভারত, মালয়েশিয়া প্রভৃতি।
■ ভারতের জনসংখ্যা পিরামিড (Population Pyramid of India): ভারতের জনসংখ্যা পিরামি বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা যায়।
(i) জনসংখ্যা পিরামিডের ভূমিভাগ বেশ বিস্তৃত। অর্থাৎ ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্ক বা শিশুদের সংখ্যা আনে বেশি। জন্মহার বেশি হওয়ায় শিশুদের সংখ্যা বেশি হয়। এসব শিশু বা অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (15 বছরে কম) ভরণ পোষণের সামাজিক দায়িত্ব নিতে হয়। ফলে সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পায়।
(ii) ভারতের জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষভাগ বেশ সংকীর্ণ। অর্থাৎ, 60 বছর বা তার বেশি কার মানুষের সংখ্যা খুব কম। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের অভাবে এবং সুচিকিৎসার অভাবে ভারতের বয়স্ক মানুষের সংখ্যা হ্রাস পায়।
(iii) আমাদের দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগও তেমন বিস্তৃত নয়। 2001 খ্রিঃ হিসাব অনুসারে ভারতে সম্পদ উৎপাদনে সক্ষম যুবক-যুবতিদের সংখ্যা মাত্র 4৪%। এই ঘটনা প্রমাণ করে ভারতে উন্নয়নের হার কম কারণ সম্পদ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মক্ষম যুবসম্প্রদায়ের আয়তন কম।
(iv) আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশ দ্রুত। এই দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে (2001-2011) 17.64%)
(v) পুরুষ জনসংখ্যা অনুপাতে স্ত্রী জনসংখ্যা কম (1000: 940)
■ মালয়েশিয়া (Malayasia): ভারতের মতো মালয়েশিয়াও একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের জনসংখ্যা পিরামিডের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(i) এই দেশটির পিরামিডের নীচের অংশ চওড়া অর্থাৎ ভূমিভাগ স্ফীত। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি।
(ii) মোট জনসংখ্যার প্রায় 45% শিশু ও অল্পবয়স্ক লোক। এদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সমাজকেই নিতে হয়।
(iii) পিরামিডের মধ্যভাগ বেশি চওড়া নয়। অর্থাৎ, দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কম হয়। ফলে সম্পদ উৎপাদনের পরিমাণও কম হয়।
(iv) পিরামিডের ওপরের অংশ সংকীর্ণ। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, প্রবীণ বা বয়স্ক মানুষের সংখ্যা কম।
(v) মোট জনসংখ্যার মাত্র 10%-এর বয়স 50 বছরের বেশি। অনুন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বয়স্ক জনসংখ্যা কম বলে প্রমাণিত হয়।