welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ভারতের লৌহ ও ইস্পাত শিল্প(Iron and Steel Industry of India)

ভারতের লৌহ ও ইস্পাত শিল্প(Iron and Steel Industry of India)


ভারতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকালে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের বিকাশঃ

স্বাধীনোত্তর যুগে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ওড়িশার রাউরকেল্লা, মধ্যপ্রদেশের ভিলাই এবং পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে তিনটি নতুন ইস্পাত কারখানা স্থাপিত হয়। তৃতীয় পরিকল্পনাকালে স্থাপিত বিহারের বোকারো কারখানাটি ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে উৎপাদন শুরু করে। অস্ত্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের কারখানায় ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এছাড়া সংকর ইস্পাত (Alloy Steel) উৎপাদনের জন্য দুর্গাপুরে একটি এবং তামিলনাডুর সালেমে একটি কারখানায় ইস্পাত উৎপাদিত হচ্ছে।

বর্তমানে জামসেদপুরের কারখানাটি (১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত) TISCO পরিচালনাধীন ও ভদ্রাবতী কারখানাটি ব্যতীত অন্য সবকটি ইস্পাত উৎপাদনকেন্দ্রই রাষ্ট্রায়ত্ত স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL)-এর পরিচালনাধীনে এসেছে। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে সারা দেশে শতাধিক ক্ষুদ্র ইস্পাত কারখানা বা মিনি স্টীল প্ল্যান্ট (Mini Steel Plant) গড়ে উঠেছে এবং আরও কতকগুলি গড়ে উঠেছে। এক একটির বার্ষিক ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা সাধারণত ১০ থেকে ৫০ হাজার টন।


পূর্ব ভারতে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের একদেশীভবন: ভারতের পাঁচটি বৃহদায়তন ইস্পাত কারখানা- দুর্গাপুর, বার্ণপুর, বোকারো, জামসেদপুর ও রাউরকেল্লা, পূর্ব ভারতে অবস্থিত। এই ইস্পাত কেন্দ্রগুলির মধ্যে দুর্গাপুর, বার্ণপুর, বোকারো কয়লাখনি অঞ্চলে, জামসেদপুর কয়লা ও লৌহখনির মধ্যবর্তী অঞ্চলে, রাউরকেল্লা লৌহখনি অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলের বিভিন্ন সুবিধাগুলির মধ্যে দামোদর উপত্যকায় আসানসোল-রানীগঞ্জ-ঝরিয়া-বোকারো প্রভৃতি কয়লাক্ষেত্রের করলা, ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ ও বিহারের সিংভূম জেলার লৌহ-আকরিক, ওড়িশার গাংপুর, বীরমিত্রপুর অঞ্চলের চুনাপাথর, ওড়িশার সুন্দরগড়, কেওনঝাড় ও কোরাপুট জেলার এবং ছিন্দোয়ারা অঞ্চলের ম্যাঙ্গানিজ, কলকাতা শিল্পাঞ্চলের নৈকটা এবং আসানসোল-রানীগঞ্জ ও ছোটনাগপুর সড়ক শিল্পা বলয়ের বিকাশ বাজারের সুবিধা, স্থানীয় শ্রমিক, কলকাতা বন্দরের নৈকট্য, রেল, সড়ক ও জলপথ উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। 

উক্ত পাঁচটি ইস্পাত কেন্দ্র ছাড়া মধ্য-পূর্ব ভারতে ভিলাই এবং দক্ষিণ-পূর্ব ভারতে বিশাখাপত্তনমে দুটি বৃহদায়তন ইস্পাত বেন্দ্র আছে। ভিলাই দাল্লি-রাজহারার লৌহখনিকে ভিত্তি করে গড়ে উঠলেও পরে নিকটবর্ত অঞ্চলে কয়লা পাওয়া যায়। বিশাখাপত্তনম উপকূলীয় অবস্থানে এবং নিকটবর্তী অঞ্চলের লৌহ আকরিক ও কয়লার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে।


ইস্পাত কারখানাগুলির অবস্থানের কারণ (Locational Factors) 

জামসেদপুর টাটা আয়রণ এ্যান্ড স্টীল কোম্পানী (TISCO): ১৯০৭ সালে। জামসেদজী টাটার প্রচেষ্টায় বিহারের জামসেদপুরে সুবর্ণরেখা ও তার উপনদী খরকাই-এর মিলনস্থলে সাকচী গ্রামে ভারতের বৃহত্তম বেসরকারী ইস্পাত কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। এর উন্নতির মূলে আছে আকরিক লৌহ সিংভূম জেলার নোয়ামুন্ডি ও গুয়া থেকে এবং ওড়িশার গুরুমহিষানী, বাদাম পাহাড় ও বোনাই থেকে আনার সুবিধা: ঝরিয়া কয়লাখনির কয়লা। ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার চুনাপাথর ও ডলোমাইট। ওড়িশার সুন্দরগড় ও কেওনঝাড় জেলার ম্যাঙ্গানিজ। সুবর্ণরেখা ও খরকাই নদীর জল। ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গোর সুলভ শ্রমিক। রাণীগঞ্জ অঞ্চলের আগুনে মাটি (fire-clay) ব্লাস্ট ফার্নেসের তাপসহ্যকারী ইট তৈরিতে প্রয়োজনীয়। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথে এবং দুটি জাতীয় সড়কপথে যোগাযোগ থাকার সুবিধা, টাটা শিল্পোদ্যোগে বিনিয়োগে জনসাধারণের উৎসাহ প্রভৃতি।

উৎপাদনঃ জামসেদপুরে বার্ষিক ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১০০ লক্ষ টন ইস্পাত।

বার্ণপুর ও কুলটির ইন্ডিয়ান আয়রণ এ্যান্ড স্টীল কোম্পানী (IISCO): বার্ণপুর ও কুলটিতে ঝরিয়ার কয়লা, সিংভূম ও ময়ূরভঞ্জের আকরিক লৌহ, ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার চুনাপাথর ও ডলোমাইট, • মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশার ম্যাঙ্গানিজ, • দামোদর-এর জল, পশ্চিমবঙ্গোর সুলভ শ্রমিক, আগুনে মাটি, বিহার ও রাণীগঞ্জের কলকাতা শিল্পাগুল ও আসানসোল-রাণীগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের বাজার, • কলকাতা বন্দর, রেল, সড়ক ও জলপথে পরিবহন ইত্যাদির সুবিধায় এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

উৎপাদন: ২০১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে ২-৪৯ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদিত হয়।

ভদ্রাবতীর বিশ্বেশ্বরায়া আয়রণ এন্ড স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেড (VISL): কর্ণাটকে ভদ্রাবতীর এই কারখানারটিতে, বাবাবুদান পাহাড়ের কেমান গুন্ডি খনির লৌহ আকরিক, শিমোগা ও চিত্র দুগের ম্যাঙ্গানিজ, ভাণ্ডীগুড্ডার চুন পাথর, শিমোগা ও কাদুরের বনভূমি কাঠ, জলপ্রপাত থেকে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ, স্থানীয় শ্রমিক, উন্নত রেল পরিবহন ব্যবসা ইত্যাদি সুবিধা রয়েছে। এই কারখানায় শংকর ইস্পাত উৎপাদন হয়। বর্তমানে ক্ষমতা ১.৮০ লক্কর টন সংকর ইস্পাত 

রাউরকেল্লা: ইস্পাত কারখানাটি কলকাতা থেকে ৪১১ কি. মি. দূরে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় ব্রাহ্মণী নদীর বা তীরে কুপস-ডেমাগ (জার্মান কোম্পানী)-এর কারিগরী সহযোগিতায় গড়ে উঠেছে। ওড়িশার বোনাই, কেওনঝাড় ও ময়ূরভঞ্জ জেলার লৌহ-আ করিক, ঝরিয়া, রাণীগঞ্জ ও তালচের-এর কয়লা, বীরমিত্রপুরের চুনাপাথর ও ম্যাঙ্গানিজ, নদীর জল, সুলভ শ্রমিক কয়লা ব্যতীত সবই সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। অতিরিক্ত সুবিধা হল, যে সকল ওয়াগনের সাহায্যে বার্ণপুর ও দুর্গাপুরে আকরিক লৌহ পাঠানো হয় সেগুলিই পরিবহনের দোলক নীতি (Pendulum Principle) অনুযায়ী ফিরতি পথে ঝরিয়া ও রাণীগঞ্জ থেকে কয়লা নিয়ে আসায় কয়লা খনির দূরত্ব সত্ত্বেও কয়লা আনায় খরচ বেশি পড়ে না।

উৎপাদন: ২০১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে এখানে ২২-৯১ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন করা হয়।

ভিলাই: মধ্যপ্রদেশের দুর্গ জেলার ভিলাই-এ সরকারী পরিচালনাধীনে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের কারিগরী সহায়তায় এই কারখানা স্থাপিত হয়। • দাপ্পি-রাজহারার বিখ্যাত লৌহখনি মাত্র ৩২ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত। • ঝরিয়া ও রাণীগঞ্জের কয়লা (বর্তমানে বিলাসপুরের চুনাপাথর ও ডলোমাইট। • ভাণ্ডারা ও বালাঘাটের ম্যাঙ্গানিজ: ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের সুলভ শ্রমিক: দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথ: বিশাখাপত্তনম, কলকাতা ও মুম্বাই বন্দরের সুবিধা। মাত্র ৩২ কি. মি. দূরে অবস্থিত তুণ্ডলা জলাধারের জল এই শিল্প কারখানার উন্নয়নে সাহায্য করেছে। বর্তমানে ভিলাই ভারতের শ্রেষ্ঠ লৌহ ও ইস্পাত কারখানা।

উৎপাদন: ২০১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে এই কারখানার ইস্পাত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫১-৩৬ লক্ষ টন।


দুর্গাপুরঃ পশ্চিমবলোর বর্ধমান জেলায় ব্রিটিশ কোম্পানী ইস্কন (ISCON)-এর সহায়তায় এই আরখানা গড়ে ওঠে। দুর্গাপুরকে ভারতের বড় বলে কারণ রূঢ় নদী অববাহিকার মতো দামোদর অববাহিকার এই অঞ্চলও কয়লা সম্পদে সমৃন্ধ। বৃদের মতোই কয়লা ক্ষেত্রের সুবিধায় ও উন্নত পরিবহনের সাহায্যে এই অঞ্চলে ব্যাপক শিল্পোন্নতি ঘটেছে। এই অঞ্চলে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে উন্নতির কারণ রাণীগন্তের উৎকৃস্ট কয়লা। ও সিংভূম ও ময়ূরভঞ্জের আকরিক লৌহ। চুনাপাথর। জলবিদ্যুৎ। বীরমিত্র-পূরের ODVC পূর্ব রেলপথ ও দুর্গাপুর খাল মাধ্যমে পরিবহন। ব্যবাস্থা। কলকাতা বন্দরের সুবিধা। দুর্গাপুর ও হুগলী শিল্পাঙ্গলের চাহিদা এখানকার শিশুকে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এখানে একটি সংকর ইস্পাত কারখানা (alloy steel plant) গড়ে উঠেছে।

উৎপাদন: ২০১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে এখানে ২০-৯১ লক্ষ নি ইস্পাতউৎপাদন করা হয়।

বোকারো: সরকারী পরিচালনাধীনে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় বিহারে বোকারো কয়লাখনি অঞ্চলে এই কারখানা স্থাপিত হয়েছে। স্থানীয় কয়লা, সিংভূম ও ময়ূরভঞ্জের আকরিক লৌহ, • ওড়িশার ম্যাঙ্গানিজ ও চুনাপাথর, স্থানীয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও DVC-র জলবিদ্যুৎ, তেনুঘাট বাবের জল, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সুলভ শ্রমিক, পূর্ব রেলপথে পরিবহন ব্যবস্থা, কলকাতা বন্দর, • কলকাতা শিল্পাগলের চাহিদা এখানকার শিল্পের সহায়ক।

উৎপাদন: ২০১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে এখানে ৩৭-৭৬ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়।

বিশাখাপত্তনম: অস্ত্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের কাছে বালাচেরুভু নামক স্থানে স্থাপিত সরকারী পরিচালনাধীন ইস্পাত কেন্দ্রটিতে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে উৎপাদন শুরু হয়। বিশাখাপত্তনম ইস্পাত কেন্দ্রে মধ্যপ্রদেশের বয়লাডিলা খনির লৌহ আকরিক, • অস্ত্রপ্রদেশের ভালগোরা, ভিডি ও রাজারামা এবং ওড়িশার তালচের খনির কয়লা, অল্পর খ্যাম্যাম-এর অপ্রপ্রদেশের জাগ্যায়াপেটার চুনাপাথর,ওড়িশার বীরমিত্রপুর এবং ডলোমাইট, ভুক্তাভদ্রা জলাধারের জল ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিশাখাপত্তনম বন্দর ও খানীয় শ্রমিক এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। এই কারখানার বার্ষিক ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা

সালেমঃ তামিলনাড়ু রাজ্যে অবস্থিত সরকারী পরিচালনাধীন এই কারখানায় বিশেষ ধরনের ইস্পাত উৎপাদিত হচ্ছে। নিভেলীর লিগনাইট, স্থানীয় আকরিক লৌহ, সালেম ও তিরুচিরাপল্লীর চুনাপাথর ও ডলোমাইট, ও চেন্নাই শিল্পাগলের বিরাট বাজার ও চেন্নাই বন্দর এবং স্বস্থানীয় শ্রমিক এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ১ লক্ষ টিন বিশেষ ধরনের ইস্পাত উৎপাদিত হয়।

ক্ষুদ্র ইস্পাত কেন্দ্রসমূহ (Mini Steel Plants): অনেকগুলি ইস্পাতকেন্দ্র রয়েছে। এগুলি ভারতের বিভিন্ন বাণিজ্যকেন্দ্র ও শহরের উপকণ্ঠে ছড়িয়ে অবস্থিত। বর্তমানে এই ক্ষুদ্র বা মিনি স্টিল গ্ল্যান্টগুলি থেকে প্রায় ৩২ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপন্ন হয়।

প্রস্তাবিত ইস্পাত কেন্দ্র ওড়িশার পারাদ্বীপে দঃ কোরিয়ার POSCO সংস্থার সহযোগিতায় একটি ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে উঠবে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে বেসরকারী উদ্যোগে আর একটি ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে উঠবে।

ভারতে লৌহ ও ইস্পাত উৎপাদনের বর্তমান পরিস্থিতি ও উৎপাদন ধারা: ভারতে ১৯৫০-৫১ সালে লৌহপিও ও বিক্রয়োপযোগী ইস্পাতের উৎপাদন যেখানে ছিল যথাক্রমে ১৪-৭ লক্ষ টন ও ১০-৪ লক্ষ টন, ২০০০-০১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় যথাক্রমে ২-৭০ কোটি টন লৌহপিণ্ড ও ২-৯৩ কোটি টন বিক্রয়য়োপযোগী ইস্পাত। ২০১৬ সালে ইস্পাতের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯-৫৬ কোটি টন।

বাণিজ্য: উন্নত দেশগুলি থেকে ভারত প্রয়োজনীয় ইস্পাত আমদানি করলেও সামান্য ইস্পাত বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করে। দেশে শিল্পোন্নতির অভাবে ইস্পাতের চাহিদা কম থাকায় এই রপ্তানি সম্ভব হয়।


ভারতে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা:

লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের সমস্যা: ভারতে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের প্রধান সমস্যাগুলি হল উৎকৃষ্ট কোকিং কয়লার অভাব, উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহারের অভাব,কাঁচামালের অভাব, উন্নত কারিগরী ও প্রযুক্তির অভাব, বিদ্যুৎশক্তির অভাব, পরিচালনগত ত্রুটি,সুদক্ষ শ্রমিকের অভাব ইত্যাদি।

সম্ভাবনা: উত্ত অসুবিধাগুলি দূর করতে পারলে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। উন্নত কলাকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও উৎপাদন-বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের উন্নতিকল্পে ভারত সরকার স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SAIL) নামে সংস্থাটি গঠন করেছেন।

ভারতে যেভাবে শিল্পায়ন ঘটছে তাতে লৌহ ও ইস্পাতের চাহিদার বিপুল বৃদ্ধি ঘটছে। ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে, উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়ে, প্রশিক্ষণের দক্ষতা বাড়িয়ে, বিদ্যুতের সরবরাহ সুনিশ্চিত করে, নতুন ইস্পাত কেন্দ্র স্থাপন করে ও বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটিয়ে লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে ভারত বিশ্বে প্রথম সারিতে চলে আসার সম্ভাবনা রাখে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01