তথ্য প্রযুক্তি শিল্প (Information Technology)
ভূমিকাও তথ্য প্রযুক্তি হল কম্পিউটার ও দূর সঞ্চার সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির সাহায্যে তথ্য সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার, প্রেরণ ও প্রয়োজনানুগ তথ্যের ব্যবহার। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চলে এমন সেবামূলক কার্যাও যেমন আউট সোর্সিং, কল সেন্টার প্রভৃতিও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। তিনটি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি নিবিড়ভাবে ব্যবহৃত হয়। এগুলি হল- কম্পিউটার প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিন শিল্প এবং দূরসঞ্চার ব্যবস্থা। ভারতের তথ্য প্রযুক্তি শিল্প ১৯৯৮ সালে মোট জাতীয় উৎপাদনের ১.২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭ সালে ৭.৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ভারতবর্ষে তথ্য প্রযুক্তিশিল্প (Computer Technology) একটি দ্রুতবিকাশীন শিল্প। কম্পিউটার প্রযুক্তির দুটি ভাগ আছে- একটি হল হার্ডওয়ার যা কম্পিউটার তৈরী ও মেরামত এবং সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়। অপরটি সফট্ওয়ার যা প্রোগ্রামিং (Programing) করে অর্থাৎ যার সাহায্যে প্রকল্প তৈরি ও ব্যবহার হয়।
ভারতের ইলেকট্রনিক শিল্পও একটি দ্রুত বিকাশশীল শিল্প। ইলেকট্রনিক পণ্যগুলির মধ্যে শিল্পের প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার ও দুর সঞ্চারের যন্ত্রপাতি। অর্থাৎ কম্পিউটার ও দূরসঞ্চারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি হয় ইলেকট্রনিক শিল্পে।
টেলি-কমিউনিকেশন শিল্প ভারতবর্ষে নতুন নয়। BSNL (Bharat Sanchar Nigam Limited), MTNL (Mahanagar Telephone Nigam Limited) সরকারী উদ্যোগে এবং বেসরকারী উদ্যোগে ভোডাফোন, এয়ারটেল, টাটা, রিলায়েন্স, আইডিয়া প্রভৃতি কোম্পানি পরিষেবা দিচ্ছে।
১ম পর্যায়ঃ ৮০ দশকের আগে
ভারতে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত IT শিল্প গড়ে ওঠেনি। ৭০-এর দশক পর্যন্ত কম্পিউটার বাইরের কোনো সফট্ওয়ার ব্যবহার করতে পারত না। দেশের কম্পিউটার হার্ডওয়ার শিল্পকে সরকারীভাবে অহেতুক বাঁচানোর একটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু পাশ্চাত্যে দেশগুলিতে সফ্টওয়ারের উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধিতে সরকারী দৃষ্টিভঙ্গি বদলালো। ১৯৭২ খ্রীস্টাব্দে সরকার সফ্টওয়ার রপ্তানি প্রকল্প গ্রহণ করে। এই স্কীমের অধীনে হার্ডওয়ার আমদানির বিনিময়ে সফট্ওয়ার রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হল, Tata Consultancy Service (TCS) এই প্রকল্পের অধীনে প্রথম সফ্টওয়ার রপ্তানির সুযোগ পায়। কিন্তু হার্ডওয়ার আমদানীর ব্যয় বেশি ও ঝামেলা থাকায় সফ্টওয়ার রপ্তানিতে গতি আসেনি। এই কারনে সফটওয়ার শিল্পও বিশেষ উন্নতি করতে পারেনি।
২য় পর্যায়: আশির দশক
১৯৮৪ খ্রীস্টাব্দে নতুন কম্পিউটার নীতি গ্রহণ করা হয়, যাতে আমদানির ব্যাপারটিকে সরল করা হয় এবং সফ্টওয়ার প্রস্তুতের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়। ১৯৮৬ খ্রীস্টাব্দে হার্ডওয়ার আমদানি শৃদ্ধবিহীন করে দেওয়া হয়; এছাড়া বিশ্বজুড়ে হার্ডওয়ারের দাম পড়তে থাকায় আমদানির সুবিধা হয়ে যায়। ১৯৯০ খ্রীস্টাব্দে সরকার বিভিন্ন স্থানে সফ্টওয়ার টেকনোলজি পার্ক গড়ে তোলায় সফটওয়ার রপ্তানি ও তথ্য পরিষেবা প্রদানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩য় পর্যায়: নব্বইয়ের দশক
এটি ছিল বিশ্বায়নের দশক। বাণিজ্যে উদারীকরণের ফলে শিল্পে বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বহু বিদেশী সংস্থা আমাদের দেশে সফ্টওয়ার শিল্পে বিনিয়োগে উৎসাহী হয়। এই বহুজাতিক সংস্থাগুলি "Offshore Model" চালু করে যার দরুন সংস্থাগুলি ভারতবর্ষ থেকেই বৈদেশিক গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে পারে। পরে এই মডেলকে উন্নতি করে করা হয় Global Delivery Model (GDM) GDM দেশে ও বিদেশে কার্যকলাপ প্রসারের যৌথ প্রয়াস। এই মডেল অনুসারে, Offshore Development Centre বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত হয়। এরূপ অনুকূল পরিবেশে অনেক বহুজাতিক সংস্থার আগমন ঘটলে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে প্রতিযোগিতা তীব্রতর হয়। এর ফলে সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতার অনুকূল অবস্থান পাবার লক্ষ্যে নিজেদের উৎপাদন ও পরিষেবাগত উৎকর্ষ বিধানে সচেষ্ট হয়।
৪র্থ পর্যায়: ২১ শতক
২১ শতকের শুরুতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মন্দা ভারতে আমদানী খাতে ব্যয় সংকোচ ঘটায়। এটি ভারতে IT শিল্পে অগ্রগতি ঘটাতে সাহায্য করে। এই সময় অনেক মাঝারি মাপের বৈদেশিক সংস্থাগুলি ভারতীয় সংস্থাগুলি থেকে পরিষেবা নিতে বাধ্য হয়। এর ফলে ভারতের IT শিল্প বিশ্ব মানচিত্রে একটি ভাল জায়গা করে নেয়। ২১ শতকের শুরুতেই II শিল্প খুব উন্নতি করে। বিশ্বব্যাপী গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, বড় বড় কন্ট্রাক্ট পাওয়ায় এবং একটি শক্তিশালী গ্রোথ ডেভেলপমেন্ট মডেল (GDM) অনুসরণ করায় IT শিল্প উন্নতিতে গতি আসে।
ভারতের IT শিল্পে অনুকূল অবস্থার কারণ:
১. প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ: ভারতকে প্রযুক্তিগত দক্ষ মানবসম্পদের ভাণ্ডার বলা হয়।ভারতে II শিল্পে সফলতার অন্যতম কারণ এটি। দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ২৫ বৎসর বয়সের নীচে। উন্নতমানের দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কাজে সম্ভাবনাময় এই জনসংখ্যা।
২. বিশাল টেলকম পরিকাঠামো: দেশে একটি বিশাল টেলকম পরিকাঠামো রয়েছে। পরিকাঠামোগত বিশালতা বিষয়ে ৩য় স্থানে রয়েছে ভারত। উৎকৃষ্ট, ব্যাপক ও নির্ভরযোগ্য টেলকম যোগাযোগ এই শিল্পের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
৩. সুলভে IT পরিষেবা প্রদান: ভারতে মানবসম্পদ উন্নত দেশের তুলনায় সুলভে পাওয়ায় উৎপাদন ও পরিষেবা ব্যয় কম। এজন্য স্বল্প খরচে উন্নত পরিষেবা প্রদান করতে পারে ভারতীয় II কোম্পানীগুলি। এর ফলে পাশ্চাত্য দেশগুলির তুলনায় ভারত থেকে পরিষেবা নিলে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলির খরচ অনেক বাঁচে।
৪. দেশে শিল্পায়নে অগ্রগতিঃ ভারতে বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগে উন্নতির ফলে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার প্রয়োজন বৃদ্ধি পাওয়ায় IT শিল্পের একটি বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার তৈরী হয়েছে।
৫. বিশ্বায়নের প্রভাব: বিশ্বায়নের ফলে বৈদেশিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা প্রদানের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতে IT শিল্পে উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
৬. উপগ্রহ প্রযুক্তির উন্নতির প্রভাব: ভারতে জি. আই. এস. ও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তিগত উন্নতি উপগ্রহ পরিষেবা গ্রহণ করে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে উন্নতিতে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহন করেছে।
ব্যাঙ্গালোর: ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে তুলনা করে অনেকে ব্যাঙ্গালোরকে ভারতের সিলিকন ভ্যালি বলে থাকেন। ব্যাঙ্গালোরের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে ওঠার অনুকূল অবস্থাসমূহ।
জলবায়ু : ব্যাঙ্গালোরের কতকটা নাতিশীতোষ্ম জলবায়ু। (২) দক্ষ শ্রমশক্তি : ব্যাঙ্গালোরের দক্ষ শ্রমশক্তি ও শ্রমিকদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ। (৩) বিনিয়োগ: কর্ণাটক সরকারের ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতিতে আগ্রহ ও সহযোগিতায় এই শিল্পের বিনিয়োগকারীদের অর্থ লগ্নিতে আগ্রহ। (৪) চাহিদা। দেশে ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি বিপুল চাহিদা বৃদ্ধি। (৫) কর্ণাটক সরকারের ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের উন্নতিতে আগ্রহ ও সহযোগিতা ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রযুক্তি বা টেকনোলজি পার্কগুলির মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স সিটি ফেজ 1 & II. ITPL, Global Village Tech Park, Embassy Tech Village, Bagmene Tech Park প্রভৃতি।
মুম্বাই-পুনে : মুম্বাই-পুনে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে উল্লেখযোগ্য। মহারাষ্ট্র শিল্পোন্নয়ন নিগম (MIDC) পুনের হিপ্তাওয়াদি (Hinjawadi)-তে রাজীব গান্ধী ইনফোটেক পার্ক প্রকল্পের জন্য প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার জায়গায় ৮০০ টি IT কোম্পানীর সংস্থান করেছে। মাগারপাট্টা ও খাড়াদি এবং অন্যান্য অনেকগুলি ছোটো বড় কেন্দ্রে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প গড়ে উঠেছে। মুম্বাইয়ে কগনিজেন্ট, KPIT প্রভৃতি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকেন্দ্র রয়েছে।
চেন্নাই:চেন্নাই ভারতের অপর উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্র। চেন্নাই-এর টাইডেল পার্ক (Tidel Park) তামিলনাড়ুর সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক।
দিল্লী: দিল্লী ভারতের আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পকেন্দ্র। IBM, Oracle, Genpact প্রভৃতি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকেন্দ্র রয়েছে দিল্লীতে।
হায়দ্রাবাদ: ভারতের সর্ববৃহৎ জৈব তথ্যপ্রযুক্তি বা বায়োইনফরমেটিক্স হাব (Bioinformatics hub) হায়দ্রাবাদে অবস্থিত। সফ্টওয়ার রপ্তানীতে হায়দ্রাবাদের স্থান ভারতে দ্বিতীয়। উল্লেখযোগ্য তথ্যপ্রযুক্তি পার্কগুলি হলো হাইটেক সিটি (HITEC City) জেনোম ভ্যালি (Genome Vally) ইত্যাদি।
কলকাতা:কলকাতা শিল্পাঞ্চলের অন্যতম উদীয়মান শিল্প হল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগে এই শিল্প গড়ে উঠছে। কলকাতার কাছে সল্টলেক এই শিল্পের মুখ্য কেন্দ্রীভবন ঘটেছে। TCS, 1BM, Cognizent, PCR, Wipro মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গ্য সরকারের Webel এই শিল্পে নিযুক্ত আছে। সল্টলেকে সেক্টর- এই শিল্পের মুখ্য কেন্দ্র। রাজারহাটে নিউটাউনে গড়ে উঠেছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এই শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়।
তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা:
তীব্র বৈদেশিক প্রতিযোগিতা: চীন ভারতের একটি বৃহৎ প্রতিযোগী। মজবুত আর্থ-সামাজিক অবস্থা, উন্নত পরিকাঠামো, মানবসম্পদখাতে স্বল্প ব্যায় চীনে II শিল্পের দ্রুত উন্নতির কারণ এবং ভারতকে রপ্তানী বাজারে তীর প্রতিযোগিতার সম্মুখীন করেছে।
শিল্প খাতে বিভিন্ন STP (Software Technology Park) গুলির মধ্যে বৈষম্য রয়েছে, যা IT শিল্প উন্নতির পথে সমস্যা সৃষ্টি করে।
টাকার অবমূল্যায়ন (Rupee devaluation) IT শিল্পে প্রভাব ফেলেছে যেহেতু অধিকাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য বৈদেশিক মুদ্রায় হয়ে থাকে।
দেশে বাজারের সীমাবদ্ধতা: শিল্পে, ব্যবসা বাণিজ্যে আকাঙ্খিত উন্নতির অভাবে তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে প্রত্যাশিত উন্নতি ঘটেনি। দেশে বাজার প্রসার-এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে এই শিল্পের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
বৈদেশিক বাজার নির্ভরতা বেশি এবং দেশীয় বাজারের প্রসার কম। দেশীয় বাজার প্রসারিত না হলে বৈদেশিক বাজারের সংঙ্কোচন II শিল্পে প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। অন্যান্য দেশেরও II শিল্পে উন্নতি ঘটছে। ফলে এই সকল দেশে ভারতের বাজার সংকুচিত হচ্ছে।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উপর অধিক নির্ভরতা: দেশে IT শিল্পে আয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আসে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তাই আমেরিকার II বাজারের ওঠানামা ভারতে এই শিল্পকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।
উৎপাদিত পণ্যে চমৎকারিত্বের অভাব: ভারতে IT সেক্টর পরিষেবা প্রদানে উৎকৃষ্ট কিন্তু উৎপন্ন পণ্যের চমৎকারিত্বের অভাব রয়েছে যা প্রতিযোগীতামূলক বাজারে অস্বস্তির কারণ।
এছাড়া, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প অন্যান্য যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলি হল,ক্রমবর্ধমান সাইবার ক্রাইম, প্রযুক্তিগত কৃৎকৌশল দ্রুত পাল্টাচ্ছে বলে এর সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে প্রশিক্ষণ ও উচ্চ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। উচ্চ প্রশিক্ষিত, শ্রমশক্তির অভাব, উন্নত দেশগুলিতে আর্থিক মন্দার দরুণ কাজের বরাতে অনিশ্চিয়তা এবং রপ্তানিতে টান ইত্যাদি।
সমাধান: বৈদেশিক প্রতিযোগীতা সত্ত্বেও আর্থিক কাঠামো মজবুত করে, মানব সম্পদের উপযুক্ত আর্থিক ক্ষমতার উন্নতি ধীরে ঘটছে, এজন্য দেশের বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার অদূর ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যাবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের (SEZ) অনুরূপ সুবিধা দিলে, টাকার অবমূল্যায়ন আটকানো গেলে এবং জনসাধারণের আর্থিক ক্ষমতা উন্নতি ধীরে ঘটছে, এইজন্য দেশের বিশাল সম্ভাবনাময় বাজার অদূর ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যাবে।
ভারতের II শিল্প উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে- বিভিন্ন দিকে এর কার্যকলাপ প্রসারিত হচ্ছে, উৎকৃষ্ট এবং বিশিষ্ট পরিষেবা সুনিশ্চিত করছে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন নতুন II হাব গড়ে উঠছে।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা দেশে ও বিদেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা, আনুষঙ্গিক শিল্পের উন্নতি এবং একটি প্রতিযোগীতা মূলক বাজার II শিল্পে অগ্রগতির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।