পশ্চিমবঙ্গের শিল্প(Industries in West Bengal)
পশ্চিমবলা একসময় ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত রাজ্য ছিল। সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবলোর শিল্পক্ষেত্রে অবনতি হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন পরিকল্পনাকালে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের এবং দুর্বল শিল্প কারখানাগুলির পুনরুজ্জীবনের যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে সেজন্য এখনও পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পোন্নত রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৯ হাজার রেজিস্ট্রিভুক্ত বড়ো ও মাঝারি শিল্প কারখানা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শিল্প এ রাজ্যে গড়ে উঠেছে।।
নিম্নে মুখ্য শিল্পগুলি এবং এদের অবস্থানের অনুকূল উপাদানসমূহের উল্লেখ সহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হ'ল।
পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে উন্নতির জন্য অনুকূল উপাদানসমূহ:
পশ্চিমবঙ্গের উন্নতির জন্য--কাঁচামালেরসহজপ্রাপ্যতা,শক্তি সম্পদের নিকটবর্তিতা,অনুকূল জলবায়ু, এবং জমির সহজপ্রাপ্যতা, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি জলের প্রাচুর্য, বন্দরের সান্নিধ্য, সুলভ ও দক্ষ শ্রমিকের প্রাচুর্য, মূলধনের প্রাচুর্য, সরকারি নীতিতে উদারিকরণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
প্রধান শিল্প (Major Industries)
(ক) লৌহ ও ইস্পাত শিল্প: পশ্চিমবলো দুটি বড়ো লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি মিনি স্টিল প্ল্যান্ট রয়েছে। বড়ো কেন্দ্র দুটি - (১) বার্নপুর, কুলটি ও (২) দুর্গাপুরে অবস্থিত।
(১) ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি বা ইস্কো (Indian Iron and Steel Company or ISCO): বার্নপুর ও কুলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই কেন্দ্র ১৯৭২ সালে সরকারি পরিচালনাধীনে আসে। রানীগঞ্জ ও ঝারিয়ার কয়লা, সিংভূম ও ময়ূরভঞ্জের লৌহ আকরিক, ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার চুনাপাথর ও ডলোমাইট, মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশার ম্যাঙ্গানিজ, দামোদরের জল, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সুলভ শ্রমিক, রানীগঞ্জের আগুনে মাটি, কলকাতা শিল্পাঞ্চল ও আসানসোল-রানীগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের বাজার, কলকাতা বন্দরসহ রেল, সড়ক ও জলপথে পরিবহনের সুবিধা নিয়ে এই শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ২০০৮-০৯ সালে ৩-১৮ লক্ষ টন ইস্পাত এই কেন্দ্রে উৎপন্ন হয়।
(২) দুর্গাপুর: বর্ধমান জেলায় কয়লা বলয়ের (coal belt) সান্নিধ্যে ব্রিটিশ কোম্পানি ইস্কন (ISCON)-এর কারিগরি সহায়তায় এই কেন্দ্র গড়ে ওঠে। লৌহ, বীরমিত্রপুরের চুনাপাথর, • ডিভিসি'র জলবিদ্যুৎ, কলকাতা বন্দরসহ পূর্ব রেলপথ ও দুর্গাপুর খাল মাধ্যমে চমৎকার পরিবহন যোগাযোগ, দুর্গাপুর ও হুগলি শিল্পাঞ্চলের ইস্পাতজাত দ্রব্যের চাহিদা এই কেন্দ্রে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। এখানে একটি সংকর ইস্পাত কারখানাও গড়ে উঠেছে। ২০০৮-০৯ সালে এখানে ৬-৭১ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন করা হয়।
(৩) পাট শিল্প: ভারতের প্রথম পাট কলটি ১৮৫৫ সালে হুগলি জেলার রিষড়াতে স্থাপিত হয়। ভারতের ৭৩টি চালু পাটকলের মধ্যে ৫৮টি (প্রায় ৮০%) হুগলি নদীর দুই তীরে অবস্থিত।
অবস্থানের কারণ: হুগলি নদীর তীরে রাজ্যের পাটশিল্পের ব্যাপক একাদেশীভবনের কারণ-
পশ্চিমবঙ্গ ও অসমের কাঁচাপাট ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে জলপথে অতি সহজেই উৎকৃষ্ট কাঁচাপাট আমদানির সুবিধা, সুলভ শ্রমিকের সুবিধা,কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি আমদানি ও পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানির সুবিধা। রেল, সড়ক ও জলপথে উন্নত যোগাযোগ,কলকাতা বাণিজ্যিক কেন্দ্রে মূলধনের সুবিধা,দেশে-বিদেশে পশ্চিমবঙ্গের পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা এবং উন্ন-আর্দ্র জলবায়ু।
পাট শিল্পের অবস্থান: বাঁশবেড়িয়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, শ্যামনগর, বৈদ্যবাটি, টিটাগড়, খড়দহ, রিষড়া, বালি, বেলুড়, হাওড়া, বজবজ প্রভৃতি পাটশিল্পের কেন্দ্র।
পাটজাত পণ্য: পাট থেকে চট বা হেসিয়ান, গানি ব্যাগ, বস্তা, দড়ি, সাধারণ ব্যাগ, কার্পেট এবং পাটের সঙ্গে সিন্থেটিক মিশিয়ে পোশাকের কাপড় প্রভৃতি তৈরি হয়।
সমস্যা ও সম্ভাবনা: চটকলের পুরতান যন্ত্রপাতির দরুণ উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি।পরিবর্ত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে চটের বাজার সংকোচন। কাঁচাপাটের অনিশ্চিত সরবরাহ। চটকলের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রধান সমস্যা। দুর্বল এর প্রতিকারকল্পে কলগুলির আধুনিকীকরণ, জুট কর্পোরেশনের মাধ্যমে বাজার প্রসারের প্রচেষ্টা, • কাঁচাপাটের উপযুক্ত মূল্য প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে পাটশিল্পের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হতে পারে।
উৎপাদন: ২০১০-১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৪ লক্ষ টন চট, থলে ও অন্যান্য পাটজাত দ্রব্য উৎপন্ন হয়। ব্রিটেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি প্রভৃতি দেশে পশ্চিমবঙ্গের উৎপন্ন পাটের বাজার আছে।
(গ) কার্পাসবস্ত্র শিল্প: ভারতে প্রথম সূতাকল কলকাতার কাছে ঘুসুড়িতে ১৮১৮ খৃস্টাব্দে স্থাপিত হয়। কাঁচা তুলার জন্য এই শিল্পকে পশ্চিমাঞ্চলের উপর নির্ভর করতে হয়।
অবস্থানের কারণ: কলকাতার বিরাট বাজার। কলকাতা বন্দরের সুবিধা।উন্নত যাতায়াত স্থানীয় মূলধন। ব্যবস্থা। ঝরিয়া ও রানীগঞ্জের কয়লাখনির নৈকট্য জ্বালানি ও শক্তি পাওয়ার সুবিধা।
• সুলভ শ্রমিক উন্ন, আর্দ্র আবহাওয়া।
শিল্পকেন্দ্র: শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, সোদপুর, বেলঘরিয়া, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, মৌড়িগ্রাম, ফুলেশ্বর প্রভৃতি স্থানে সুতা ও কাপড়ের কলগুলি গড়ে উঠেছে।
সমস্যা: কাঁচা তুলার সরবরাহে অনিশ্চয়তা কাঁচা তুলা উৎপাদক অঞ্চলের বস্তুকেন্দ্রগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা। বিদ্যুৎ-ঘাটতি। সুতাকলগুলির আধুনিকীকরণ-এর অভাব। কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি। বস্ত্রকলগুলির আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদনের উৎকর্ষ বৃদ্ধি করে এবং কাঁচা তুলার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে কাপাসবস্ত্র শিল্পের ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল।
খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প :পশ্চিমবলোর খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পগুলি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগে গড়ে উঠেছে। খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ। শিল্পগুলির নিম্নলিখিত শ্রেণিবিভাগ করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প: পশ্চিমবল্যের অন্যতম উদীয়মান শিল্প হল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগে এই শিল্প গড়ে উঠছে। কলকাতার কাছে সল্টলেক এই শিল্পের মুখ্য কেন্দ্রীভবন ঘটেছে। TCS, IBM, Cognizent, PCR, Wipro মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Webel এই শিল্পে নিযুক্ত আছে। সল্টলেকে সেক্টর- এই শিল্পের মুখ্য কেন্দ্র। রাজারহাটে নিউটাউনে গড়ে উঠেছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এই শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়। সল্টলেক ছাড়াও দুর্গাপুর ও উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এই শিল্পের বিকাশ ঘটছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে সরকার ১৩টি না পার্ক গাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এগুলি হবে- রাজারহাট, মালদহ, বোলপুর, দূর্গাপুর, আসানসোল, মতপুর, হলদিয়া, কল্যাণী, কুস্তুনগর, হাওড়া, শিলিগুড়ি Phase-II, বরজোড়া ও পুরুলিয়া শহরে। এর মধ্যে দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, আসানসোলে II পার্ক স্থাপনের কাজ অগ্রসর হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তির শিল্পের উন্নতিতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে আশা করা যায়।
চা শিল্প (Tea Industry)
ভূমিকাঃ চা বর্তমানে পৃথিবীর একটি শ্রেষ্ঠ মৃদু উত্তেজক পানীয়। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের অধিবাসীদের সর্বশ্রেষ্ঠ পানীয় চা। চা শিল্প পশ্চিবঙ্গের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প।
চা শিল্পের অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মোট ১ লক্ষ ২ হাজার হেক্টর জমি চা শিল্পের আওতায় আছে। যা ভারতের মোট চা বাগিচার ভাগ।
পশ্চিবঙ্গে চা বাগিচাগুলি ২টি অঞ্চলে অবস্থিতঃ
(১) দার্জিলিং জেলাঃ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত তথা সমগ্র পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ চা দার্জিলিং-এ উৎপন্ন হয়। দার্জিলিং-এর চা স্বাদে, গন্ধে অতুলনীয়। জাপানের সম্রাট ও ইংলন্ডের রাণীর জন্য এখানকার চা কেনা হয়। পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে ১০০০-২০০০ মিটার উচ্চতার মধ্যে চা বাগানগুলি গড়ে উঠেছে। এর থেকে বেশি উচ্চতায় শীতলতা বেশি বলে চা চাষের অনুপযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের মোট উৎপাদনের ভাগ চা দার্জিলিং জেলায় উৎপন্ন হয়।
(২) ডুয়ার্স অঞ্চলঃ ডুয়ার্স অঞ্চলে জলপাইগুড়ি ও কুচবিহার জেলায় হিমালয়ের পাদদেশ বরাবর চা বাগিচাগুলির অবস্থান। অধিকাংশ বড়ো বাগিচায় চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে। এখানকার প্রধান চা উৎপাদন স্থানগুলি হল মাল, চালসা, নাগরাকাটা, মাদারিহাট, কালচিনি, মোরাগাট, বীরপাড়া, কুমারগ্রাম, নকশালবাড়ি, তপন প্রভৃতি। পশ্চিমবঙ্গের চা উৎপাদনের প্রায় ভাগ চা ডুয়ার্সে উৎপন্ন হয়।
চা সংগ্রহ পদ্ধতিঃ শীতকাল চা চারা লাগানোর সময়। চারা লাগানোর কয়েক বছর পর থেকে ২৫-৩০ বছর পর্যন্ত পাতা পাওয়া যায়। বর্ষার পর চা পাতা তোলা শুরু হয়, চলে শীত শেষ করে বর্ষার আগে পর্যন্ত। বর্ষার সময় পাতা তোলার পরিমাণ কম হয়।
চা শিল্প গড়ে ওঠার কারণঃ
চা শিল্প গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন ভাল উৎপাদনশীল চা বাগিচার। এই চা বাগিচা গড়ে উঠতে প্রয়োজন:
(1) উপযুক্ত জলবায়ুঃ প্রচুর উত্তাপ ও বৃষ্টিপাত দরকার। বৃষ্টির পরিমাণ হওয়া উচিত ১৫০-২৫০ সে.মি., উষ্মতা গ্রীমে অন্ততঃ ২৫ সেন্টিগ্রেড হওয়া বাস্তুনিয়। পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি জলবায়ু চা উৎপাদনের খুব উপযোগী।
উঁচু, ঢালু ভূমিরূপঃ এরূপ ভূমিভাগে জল দাঁড়াতে পারে না। চা গাছের গোড়ায় জল দাঁড়ানো ক্ষতিকর। প্রচুর সূর্যালোক অথচ উষ্মতা তীর নয় বলে পার্বত্য অঞ্চলে বা এর পাদদেশে চা উৎপাদন ভাল হয়। এজন্য দার্জিলিং ও ডুয়ার্সে চা শিল্পের কেন্দ্রীভবন ঘটেছে।
(1) মৃত্তিকা: লৌহ-মিশ্রিত উর্বর দোঁ-আশ মাটি চা চাষের উপযোগী।
(2) শ্রমিকঃ প্রচুর সুলভ শ্রমিক প্রয়োজন। শিশু ও নারী শ্রমিকের চাহিদা খুব বেশি। যত্নের সঙ্গে দুটি পাতা ও একটি কুড়ি তুলতে পারলে চা-এর উৎকর্ষ বজায় থাকে।
(৩) পণ্য বাজারজাত করণ ব্যবস্থাঃ এর জন্য প্রয়োজন চা প্রক্রিয়াকরণ, গৃহ এবং বাগান থেকে বিক্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর সুব্যবস্থা (সড়ক বা রেলপরিবহন)। দার্জিলিং ও ডুয়ার্সে এই দুই-এরই সুবিধা আছে এমন স্থানেই চা বাগিচাগুলি গড়ে উঠেছে।
চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতঃ চা-এর উৎপাদন ও বাণিজ্য থেকে চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি অনুমাণ করা যায়।
উৎপাদন: চা উৎপাদনের পরিমাণে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে দ্বিতীয় স্থান দখল করে (অসমের পরে)। ভারতে মোট চা উৎপাদনের প্রায় ১/৪ ভাগ পশ্চিমবল্যে উৎপন্ন হয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের চা বাগানগুলিতে প্রায় ২৩ কোটি কেজি চা উৎপন্ন হয়। কলকাতায় ভারতের সবচেয়ে বড়ো চা-নীলাম বাজারটি রয়েছে। কোলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় চা পর্ষদ (Indian Tea Board) এটি নিয়ন্ত্রণ করে। পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে চা-এর গুরুত্ব ব্যাপক। রাজ্যের শ্রমশক্তির এক উল্লেখযোগ্য অংশ চা বাগানে ও চা ব্যবসায়ে জীবিকার সুযোগ পায়।
চা-শিল্পের সমস্যা ও ভবিষ্যৎ উন্নতিকল্পে সমাধানঃ (1) চা চাষের অনুন্নত পদ্ধতির জন্য উৎপাদন ব্যয় বেশি। উৎপাদন পদ্ধতি উন্নত করতে হবে। (ii) শ্রমিকের কর্মদক্ষতার অভাব। এজন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দরকার। (iii) প্যাকিং বাক্সের সরবরাহে অনিশ্চয়তা আছে। এটা দূর করতে প্লাইউড এর সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। (iv) চা-এর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি রুখতে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে চা-এর দাম কম রাখতে হবে। এতে উপভোক্তার সংখ্যা বাড়বে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। (v) চা-এর স্বাদ, গন্ধ, রং-এর মান নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। চা শিল্প উপরোক্ত সমস্যা সমাধান হলে এই শিল্পের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।