সবুজ বিপ্লব(Green Revolution)
সবুজ বিপ্লব কী: সবুজ বিপ্লব বলতে বোঝায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়ে এবং গবেষণা ও পরিকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। ডক্টর নরম্যান বোরলগ সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সবুজ বিপ্লব ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দেই যুক্তরাষ্ট্র গম উৎপাদনে স্বাবলম্বী হয়। ভারতের সবুজ বিপ্লব কিন্তু ১৯৬৩ সালে শুরু হয়। ভারতে ড. স্বামীনাথন (Dr. M. S. Swaminathan)-এর পথিকৃত। উচ্চ ফলনশীল বীজ, উপযুক্ত সার ব্যবহার করে, জলসেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ঘটিয়ে ফসল উৎপাদন বিপুল বৃদ্ধির মাধ্যমে সবুজ বিপ্লব সংঘটিত হয়। সবুজ বিপ্লবের সাফল্য ভারতকে খাদ্যে স্বয়ম্ভর করেছে। উচ্চ ফলনশীল গমের বীজ প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে। গম উৎপাদনে দেশে সবচেয়ে বেশি সাফল্য আসে। এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কৃষকদের কৃষি বিপ্লব ঘটাতে উৎসাহিত করা হয়।
ষাটের দশকে ভারত সরকার উপলব্ধি করেন খাদ্যোপাদন বৃদ্ধি করা না গেলে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজন মেটানো যাবে না। তাই সরকার সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মূলত প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়ে এবং জলসেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করে কিছুটা পশ্চিমী ঘরানায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির কর্মসূচি নেওয়া হয়। গম উৎপাদনে খুব কম সময়ের মধ্যেই পশ্চিম ভারতে বিশেষত পাঞ্জাবে বিপুল সাফল্য আসে। তবে ধান উৎপাদক অঞ্চলগুলিতে বিশেষত পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতে সাফল্য আসে খুব ধীরে। তবে বর্তমানে ধান, গম সহ বিভিন্ন খাদ্য ফসল, তন্তুজ ফসল, তৈলবীজ উৎপাদনে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
> সবুজ বিপ্লবের প্রয়োজনীয়তা:
• প্রথাগত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় স্বল্প উৎপাদন বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যের প্রয়োজন মেটাতে পারত প্রথাগত যন্ত্রপাতি ও কৃষি পদ্ধতির প্রয়োগ। জলসেচ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা সহ অধিকাংশ স্থানে কেবলমাত্র বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীলতা। দেশে মাঝে মাঝে দুর্ভিক্ষ ও খরাজনিত পরিস্থিতির মোকাবিলা। কৃষিপুঁজির স্বল্পতা।
এই সকল সমস্যা দূরীকরণের উপায় হিসাবে সবুজ বিপ্লবকে বেছে নেওয়া হয়। উদ্দেশ্য খাদ্যসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন। এর ফলে খাদ্য আমদানি হ্রাসজনিত যে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে তা দেশের পরিকাঠামোগত ও শিল্পোন্নয়নে সাহায্য করবে।
সবুজ বিপ্লবে সাফল্যের কারণ: সবুজ বিপ্লবের সাফল্যের মূলে রয়েছে নিম্নলিখিত কারণগুলি
উচ্চ ফলনশীল HYV বীজ ব্যবহার।
জলসেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমিগুলির একত্রীকরণ।
কীটনাশকেরব্যবহার।
ভূমি সংস্কার।
কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করা।
গ্রামীণ পরিকাঠামো সৃষ্টি ও উন্নয়ন।
কৃষি সংক্রান্ত জ্ঞান ও তথ্য প্রদান ইত্যাদি।
►সবুজ বিপ্লবের ত্রুটি:
• বহু কৃষক সংগতির অভাবে দামি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারে না। ট্রাক্টর ইত্যাদি চালানোর প্রয়োজনীয় ঋনও জোগাড় করতে পারে না। অনেক চাষীই ভাগ চাষ করে, উচ্চ ফলনশীল বীজ বা সার বা কীটনাশক সবসময় কিনতে পারে না। অনেক জায়গায় যান্ত্রিকীকরণের ফলে প্রচুর কৃষি বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে যা কৃষক পরিবারের আর্থিক অবস্থাকে নিম্নগামী করেছে। কৃষি ঋণদান সংস্থাগুলির অপ্রতুলতা রয়েছে যে সকল জায়গায়, সেই সকল স্থানে কৃষকেরা কৃষি ঋণের সুযোগ থেকে প্রায়শঃ বন্দিত।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে এই সকল কারণে কৃষি উৎপাদনে যতটা সাফল্য এসেছে, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে, পশ্চিমবঙ্গে, অপ্রপ্রদেশ বা তামিলনাডুতে সেই সাফল্য আসে নি। ফলে বলা হয় সবুজ বিপ্লব কৃষকদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। কৃষিতে সম্পন্ন রাজা ও কৃষিতে পশ্চাদপদ রাজ্যগুলির মধ্যে কৃষকদের জীবনযাত্রার মানে অনেক পার্থক্য সূচিত হয়েছে।
যাই হোক, দেশে খাদ্যোৎপাদন সবুজ বিপ্লবের ফলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত কয়েক দশক ধরে দেশ খাদ্যোৎপাদনে স্বয়ম্ভর রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কৃষির সাফল্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। যে সকল স্থান এখনও কৃষিতে অনগ্রসর রয়ে গেছে, সবুজ বিপ্লবের সুফল সেই সকল স্থানেও পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজ্যসরকার উদ্যেগী হয়েছেন। ফলে বৈষম্য দূর হয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফল আরোও অধিক জনসমাজের মধ্যে পৌঁছবে আশা করা যায়।
▲ সবুজ বিপ্লবের প্রতিকূল প্রভাব (Adverse Effects of Green Revolution):
সবুজ বিপ্লব দেশে ফসল উৎপাদন বহুগুণ বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই অগ্রগতি কতদিন চলবে তা বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদদের চিন্তায় ফেলেছে। সবুজ বিপ্লবের কুফলগুলি আলোচনা করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। নিম্নে এগুলি আলোচিত হল-
১. ভৌমজল হ্রাস সবুজ বিপ্লব এর জন্য উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার ও একই জমিতে বারবার ফসল ফলানোর জন্য প্রচুর ভৌম জল উত্তোলনের প্রয়োজন হয়। গভীর নলকূপের বিপুল সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে জল উত্তোলনের ফলে ভৌম জলশীর্ষ-এর অবনতি ঘটে। বহু স্থানে গভীর তলদেশ থেকে জল উত্তোলন করায় জলের সঙ্গে ফ্লুয়োরাইড ও আর্সেনিক উঠে এসে ফ্লুয়োরাইড এবং আর্সেনিক ঘটিত চর্মরোগ ও অন্যান্য অসুখের কারণ হয়। ভৌমজল উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আশু প্রয়োজন। অগভীর নলকূপের ব্যবহার সহ বৃষ্টির জল সংরক্ষণে উৎসাহ দান ও পরিকাঠামো সৃষ্টি ভৌমজল হ্রাস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
২. মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাস-ফসল উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি করার জন্য জৈব সার ছাড়াও ব্যাপকভাবে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করার ফলে জমির রাসায়নিক সার নির্ভরতা বেড়ে যায়। মৃত্তিকার রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তিত হয়। এর ফলে উর্বরতা বজায় রাখতে রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কালক্রমে রাসায়নিক সারের কার্যকারিতা কমে আসে এবং মৃত্তিকার উর্বরতাও অনেকাংশে বিনষ্ট হয়। ২০০৭ সালের "ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট" শীর্ষক এক সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৯৮০ ও ১৯৯০ এর দশকে মোট জাতীয় উৎপাদন (GDP or Gross Domestic Product) ১১-২৬ শতাংশ হ্রাস পায় মৃত্তিকার গুণমানে অবনতির কারণে। নিবিড় উৎপাদন ব্যবস্থা পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় মৃত্তিকার পুষ্টিগুণ এতটাই বিনষ্ট করছে যে একটি গবেষণায় দেখা গেছে মাটিতে যেখানে পুষ্টি উপকরণের অভাব ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ছিল ১ টি (N) বর্তমানে এর অভাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ টি (NPKSBCUFMNZN)-তে (ভট্টাচার্য্য, ২০১৫)। রাসায়নিক সারের অত্যাধিক ব্যবহার যেমন কারণ তেমনি শুঁটি জাতীয় ফসল এর পরিবর্তে গম ও ধান চাষের প্রাধান্য মৃত্তিকার উর্বরতা হ্রাসের কারণ।
বর্তমানে জৈব সারের ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে এবং রাসায়নিক সার নির্ভরতা কমাতে কৃষকদের মধ্যে ও সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। শস্য সমন্বয় যাতে মৃত্তিকার অনুকূল হয় সেদিকেও সচেতনতা তৈরি হচ্ছে কৃষকদের মধ্যে।
৩. কীটনাশক ব্যবহারে বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব- বাস্তুতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে দুটি কারণে। প্রথমত, প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক প্রয়োগ ঘটছে জমিতে, এটি রাসায়নিক সার ব্যবহারের মতই জমির রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তন করে মৃত্তিকার বাস্তুসংস্থান-এর ক্ষতি করছে। দ্বিতীয়ত, কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ধৌত জল সেচের জলের সঙ্গে বা বৃষ্টির জলের সঙ্গে স্থানীয় জলাশয়ে এবং অনুধাবনের মাধ্যমে ভৌম জলে মিশে ভৌম জলের গুণমানে এ অবনতি ঘটাচ্ছে। কীটনাশকের প্রভাবে বিষক্রিয়ায় স্থানীয় জলাশয়ের বাস্তুতান্ত্রিক বিঘ্ন ঘটছে। মৎস্য সংগ্রহ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী বিপন্ন হচ্ছে। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত মাছ ভক্ষণে মানুষদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
৪. জীব বৈচিত্র্য হ্রাস সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি অনুযায়ী দেশীয় বীজের কম উৎপাদন ক্ষমতা বলে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে গবেষণাগারে প্রস্তুত বীজ বা বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বীজের ব্যবহার হচ্ছে, যা স্থানীয় পরিবেশ ও মৃত্তিকার জীব বৈচিত্র্যের পরিপন্থী। স্থানীয় জীব বৈচিত্র্যে বহিরাগত বীজের অনুপ্রবেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। মৃত্তিকার এবং মৃত্তিকাসহ কৃষি পরিবেশে জীব বৈচিত্র্য অনেকাংশে বিনষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সবুজ বিপ্লবের আগে দেশে প্রায় ৩০ হাজার ধরনের ধান বীজ ছিল। বর্তমানে দেশের ৩/৪ ভাগ জমিতে মাত্র ১০ ধরনের বীজ ব্যবহার করা হয় কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য। এতে ফসলের জিনগত বৈচিত্র্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
৫. ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক সংকট নতুন কৃষি প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে যে প্রচুর অর্থ জোগাড়ের প্রয়োজন হয়, তার জন্য কৃষক প্রায়শঃ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফসল উৎপাদনে কোন বৎসর ক্ষতি হলেও কৃষকের জমি ঋণের দায়ে মহাজনের কাছে বন্ধক হয়ে থাকছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষকের জমি হাতছাড়া হয়ে পড়ছে। বড় বড় চাষিরা প্রচুর ভৌমজল উত্তোলন করে নেওয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অগভীর নলকূপ থেকে জল পেতে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে ফসল উৎপাদনের দিক থেকে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা আর্থিক ঋণভারে জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।
৬. আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি- সবুজ বিপ্লবের সঙ্গে আনা নতুন প্রযুক্তি একদিকে ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধি করছে। বড় বড় জোত-এ ট্রাক্টর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি চালানোর সুবিধা থাকায় এবং চাষী সম্পন্ন হওয়ায় বৃহৎ জোত সম্পন্ন অঞ্চলে ফসল উৎপাদনে ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটছে, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উল্লেখনীয় উন্নতি ঘটছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জোতসম্পন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের প্রাধান্য থাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার খুব সীমিত এবং আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে এই সকল অঞ্চলে কৃষি ইনপুট পর্যাপ্ত না হওয়ায় স্থানীয় ফসল উৎপাদনে যথেষ্ট বৃদ্ধি ঘটছে না। বেশি পরিমাণ উদ্বৃত্ত ফসল উৎপন্ন না হওয়ায় এই সকল অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ পরিবহন ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটতে দেরি হচ্ছে, ফলে কেবল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি ঘটছে না, আঞ্চলিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৭. স্বাস্থ সংক্রান্ত সমস্যা -২০০৮ খ্রীস্টাব্দে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে কৃষকগণ যারা কীটনাশক ও আগাছানাশক কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছেন ভারতে এরূপ কৃষকদের মধ্যে ৩০ শতাংশের ডি. এন. এ. ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য গবেষণায় বহু স্থানে পানীয় জলে ভারী ধাতু ও রাসায়নিকের উপস্থিতি।
বিপদজনক স্তরে লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যের পক্ষে এরূপ রাসায়নিক কতটা ক্ষতিকর এই বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে অবহেলার মনোভাব এরূপ ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। পরিবেশও এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সমস্যা সমাধান প্রকল্প: কৃষকদের ঋণমুক্তিতে সরকারি উদ্যোগ, যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য কৃষি ইনপুট ক্রয় বা সংগ্রহে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক স্তরে সাহায্য প্রদান, সম্পন্ন চাষী কর্তৃক অনিয়ন্ত্রিত ভৌম জল উত্তোলনে হ্রাস টানা, ফসল বিক্রয়ের ব্যবস্থার আরো উন্নতি ঘটানো ইত্যাদি আর্থিক বৈষম্য হ্রাসে কার্যকরী হবে।