welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা ও জনজাতি ভেদে জনসংখ্যার বণ্টন (Distribution of Population by Race, Caste, Religion, Language, Tribe)

6 min read

জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা ও জনজাতি ভেদে জনসংখ্যার বণ্টন (Distribution of Population by Race, Caste, Religion, Language, Tribe)


ভারতের জনসাধারণের জাতিগত বৈচিত্র্য (Racial Composition of Population)

ভারতবর্ষ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের জাতি গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের মিলনস্থল। পৃথিবীর প্রায় সকল নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মানুষ কোন সুদূর অতীতে ভারতবর্ষে এসেছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না। আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার প্রতিবেশী ও দূরবর্তী অঞ্চল থেকে আগত জনগোষ্ঠী সমৃদ্ধ করেছে এই দেশের নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যকে ।

▶ (১) নেগ্রিটো গোষ্ঠী (The Negritos): ভারতবর্ষের প্রাচীনতম অধিবাসী বলে নেগ্রিটোদের মনে করা হয়। ড. হাটন, ড. গুহ প্রমুখ নৃবিজ্ঞানী এই মত পোষণ করেন। তবে সব নৃবিজ্ঞানীই এ বিষয়ে একমত নন। ড. এম. কে. চ্যাটার্জী, ড. কাত্রে প্রমুখ মনে করেন যে এই গোষ্ঠীর মানুষরা আফ্রিকা থেকে এ দেশে এসেছিল।

নেগ্রিটোদের দৈহিক লক্ষণ বিশেষত কেশ-এর বৈশিষ্ট্যের মিল লক্ষ্য করে দক্ষিণ ভারতের কাদার, পুল্যায়ান, উরালি, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসীগণ, পূর্বভারতে বিহারের রাজমহল পাহাড়ী অঞ্চলে বাগি, উত্তর-পূর্ব পাহাড়ী রাজ্য নাগাল্যান্ডের অহমী নাগাদের নেগ্রিটো বংশোদ্ভূত বলে মনে করা হয়। নেগ্রিটোদের পশমের মত বা গুটি পাকানো চুল, চ্যাপ্টা নাক, কৃষ্ণ-বাদামী গাত্রবর্ণ, গোল মুন্ড প্রভৃতি দৈহিক লক্ষণের সঙ্গে মিল খুঁজে নৃতাত্ত্বিকগণ উত্ত অধিবাসীদের নেগ্রিটের আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ কেশ-এর গড়ন, কেউ কেউ গাত্রবর্ণের সাদৃশ্য খুঁজে তার ওপর জোর দিয়েছেন এবং তাদের নেগ্রিটো বংশোদ্ভূত বলে ঘোষণা করেছেন।

▶ (২) প্রোটো-অস্ট্রেলয়েড গোষ্ঠী (The Proto-Australoids): অনেক নৃ-বিজ্ঞানীরধারণা নেগ্রিটো গোষ্ঠীর পরে প্রোটো-অস্ট্রেলয়েড গোষ্ঠীর মানুষেরা ভারতে এসেছিল। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের দৈহিক লক্ষণ বিশিষ্ট লোকেদের প্রোটো-অস্ট্রেলয়েড বলা হয়।

তবে প্রোটো-অস্ট্রেলয়েড গোষ্ঠী ভারতে এসেছিল সম্ভবত ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরে বর্তমান প্যালেস্তাইন অঞ্চল থেকে। দক্ষিণ ও মধ্য ভারতে বর্তমানে এই গোষ্ঠীর লোকেরা বিক্ষিপ্তভাবে উপজাতি গোষ্ঠী হিসাবে যথেষ্ট সংখ্যায় ক্ষুদ্র, বৃহৎ দলে, উপদলে ছড়িয়ে আছে।

প্রোটো-অস্ট্রেলয়েডদের আগমনে সম্ভবত নেগ্রিটোগণ অনেকাংশে বাস্তুচ্যুত হয় এবং তারা অপেক্ষাকৃত প্রতিকূল পরিবেশে সরে গিয়ে বসবাস শুরু করে। আবার কোথাও তারা প্রোটো অস্ট্রেলয়েডদের সঙ্গে মিলে মিশে বসবাস করতে থাকে। পরে আর্যদের আগমনে উভয় গোষ্ঠীই দুর্গম অঞ্চলে সরে যেতে থাকে। পরবর্তীকালে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্বোক্ত দুই গোষ্ঠীর অথবা আর্য-অনার্য নরনারীদের মিলনে মিশ্র বৈশিষ্টসম্পন্ন মানুষের আবির্ভাব হয়। এরূপ মিশ্র বংশোদ্ভূতদের অধিক সংখ্যায় দেখা যায় দক্ষিণ ভারতে। নেগ্রিটোদের সঙ্গে প্রোটো-অস্ট্রেলয়েডদের চেহারায় কেশের পার্থক্য ছাড়া আর বিশেষ কোন উল্লেখযোগ্য পার্থক্য চোখে পড়ে না।

প্রোটো-অস্ট্রেলয়েড গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত উপজাতীয়দের মধ্যে যারা পড়ে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বেন্দ্দা, গোন্ড, কোল, ভিল, মালবেদাহ, কোরওয়া, ধারওয়াড, মালপাহাড়ী, মুন্ডা, ভূমিজ, ওঁরাও প্রমুখ মধ্যভারতীয় ও ছোটনাগপুর অঞ্চলের আদিবাসীগণ। দক্ষিণ-ভারতে এদের মধ্যে আছে চেঞ্চু, কুরুপ্তা, মেরুবা, মালয়া উপজাতী গোষ্ঠী। সংস্কৃত সাহিত্যে সম্ভবত প্রোটো-অস্ট্রেলয়েডদেরই নিষাদ-গোষ্ঠী বলা হয়েছে।

▶ (৩) মোঙ্গলয়েড গোষ্ঠী (The Mongoloids): ভারতে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের রাজ্যগুলিতে মোঙ্গলয়েড গোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন উপজাতির বাস। তবে বিশুদ্ধ মোজাল মানুষ এই স্থানে পাওয়া যায় না। বিশুদ্ধ মোঙ্গল পাওয়া না গেলেও কিভাবে মোঙ্গল সংমিশ্রণজাত মানুষ ভারতে এসেছিল তা কৌতূহলের উদ্রেক করে। ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন তিব্বত ও তৎকালীন ব্রহ্মদেশ (বর্তমান মায়ানমার) এইরূপ মোঙ্গলয়েডদের প্রধান বাসভূমি। এই দুই অঞ্চল থেকে মোঙ্গল সংমিশ্রণজাত জনস্রোত ভারতে প্রবেশ করেছিল। তবে সীমান্ত অঞ্চল ত্যাগ করে তারা কখনোই ভারতের অভ্যন্তরে বসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে চলে যায়নি।

মোঙ্গল সংমিশ্রণজাত গোষ্ঠীর দেহসৌষ্ঠবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এদের গোল ও চওড়া মুন্ড, গালের উঁচু হাড়, দীর্ঘ, চ্যাপ্টা নাক এবং গোঁফ-দাড়িহীন মুখ ও প্রায় লোমহীন শরীর।

উল্লেখযোগ্য মোঙ্গলয়েড উপজাতিগুলি হল মেঘালয়ের খাসি, গারো, জয়ন্তিয়া, দার্জিলিং ও সিকিমের লেপচা, ত্রিপুরার চাকমা, নাগাল্যান্ডের লুশাই, কুকি নাগা, মণিপুরের নাগা, কুকি, মিথেই প্রভৃতি।

পশ্চিমবঙ্গে দার্জিলিং জেলায় এবং সিকিম রাজ্যে বসবাসকারী মোঙ্গালয়েড বংশোদ্ভূত মানুষজন তিব্বত থে কে এসেছে। সিকিমে রোংপা ও লেপচা: দার্জিলিং ও সিকিমে মুর্মী, খাম্বু, খশ, মেচ ও মেদুর দার্জিলিং-এ বিমল, কামী, থারু, খাবাস প্রভৃতি এবং জলপাইগুড়িতে মেচ ও মেদুর উপজাতিদের দেখা যায়। উত্তর-পূর্ব ভারতে মোঙ্গলয়েড সংমিশ্রণজাত আদিবাসীদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য মেঘালয়ের খাসি, নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন নাগা সম্প্রদায়, কুকি: মণিপুরের মিথেই বা মণিপুরী ছাড়া নাগা, কুকিদের বাস দেখা যায়।

মোঙ্গলয়েড গোষ্ঠী আবার দুইভাগে বিভক্তঃ (ক) প্যালি-মোঙ্গলয়েড এবং (খ) তিব্বতীয় মোঙ্গালয়েড।

• প্যালিয়ো বা পুরা-মোঙ্গলয়েড (Palaco-Mongoloid): এই উপজাতি (i) লম্বা বা মধ্যমাকৃতি মুণ্ডবিশিষ্ট এবং (ii) গোল মুন্ড বিশিষ্ট এই দুইটি উপবিভাগে বিভক্ত। অনুমান যে, এরা ইন্দো-চীন থেকে এসেছিল।

তিব্বতীয়-মোঙ্গলয়েড (Tibeto-Mongoloid): তিব্বত থেকে এদের আগমন ঘটে এবং সকিম, পশ্চিমবঙ্গোর দার্জিলিং ও সংলগ্ন রাষ্ট্র ভুটানে বসবাস করতে থাকে।

▶ (৪) ভূমধ্যসাগরীয় বা মেডিটারেনিয়ান গোষ্ঠী (The Mediterranean): ভূমধ্যসাগরীয় গোষ্ঠীভুক্ত মানুষ ভারতবর্ষে এসেছিল পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল বা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া থেকে। সিন্ধুসভ্যতা যে এই গোষ্ঠীই গড়ে তুলেছিল মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পার খননকার্যে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই দেশে প্রাচীন অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষার প্রচলন তাদের হাত ধরেই হয়েছিল।

তাদের দেহসৌষ্ঠবের বৈশিষ্ট্য হল লম্বা মুন্ড, মাঝারি উচ্চতা এবং সরল নাসিকা।

মেডিটারেনিয়ান গোষ্ঠী আবার তিন শ্রেণীতে বিভত্ত (ক) প্যালি-মেডিটারেনিয়ান শ্রেণী, (খ) ইউরোপীয় মেডিটারেনিয়ান শ্রেণী, এবং (গ) প্রাচ্য মেডিটারেনিয়ান শ্রেণী।

• (ক) পূরা-ভূমধ্যসাগরীয় বা প্যালিও-মেডিটারেনিয়ান শ্রেণী (Palaeo Mediterranean):প্রথম ও প্রাচীনতম মেডিটারেনিয়ান গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীই সম্ভবত মেগালিথিক সংস্কৃতির প্রবর্তক। দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড় গোষ্ঠী এই প্যালি মেডিটারেনিয়ান বংশোদ্ভূত বলে মনে করা হয়। দাক্ষিণাত্যে এরূপ মানুষের করোটির নিদর্শন পাওয়া গেছে।

 দ্রাবিড় (Dravida): রিসলি (Risley)-র বর্ণনায় "দ্রাবিড় গোষ্ঠী, সম্ভবত ভারতের প্রাচীনতম উপজাতি: তারা ভারতের প্রাচীনতম নৃতাত্ত্বিক অঞ্চলের অরণ্যাচ্ছাদিত শৈলশ্রেণীতে, ধাপবিশিষ্ট মালভূমিতে এবং তরঙ্গায়িত সমভূমিতে বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে বসবাস করছেন।" ("The Dravid-ian race, the most primitive of the Indian tribes, occupies the oldest geological formations in India, the medley of forested ranges, terraced plateaus and undulating plains, which stretches, roughly speaking, from the Vindyas to Cape Comorin...") তারা সম্ভবত উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে এবং সেইস্থান থেকে পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতে চলে যায়। বিন্ধ্যের দক্ষিণ থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত এবং পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতশ্রেণীদ্বয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চল এদের বর্তমান বাসভূমি।

• (খ) ইউরোপীয়-মেডিটারেনিয়ান শ্রেণী (European Mediterranean): দ্বিতীয় মেডিটারেনিয়ান গোষ্ঠী। এরা সিন্ধু উপত্যকায় বসতি গড়ে তুলেছিল এবং সিন্ধুসভ্যতা তাদেরই অবদান বলে মনে করা হয়। এই অঞ্চলে তাদের অনেক করোটির সন্ধান পাওয়া গেছে। পরবর্তীকালে আর্যদের আক্রমণে বিতাড়িত হয়ে গঙ্গা অববাহিকায় এবং কিছু সংখ্যায় বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে আশ্রয় গ্রহণ করে। উত্তর ভারতের অধিবাসীদের মধ্যে এই গোষ্ঠীর বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।

• (গ) প্রাচ্য-মেডিটারেনিয়ান গোষ্ঠী (Oriental Mediterranean): এশিয়া মাইনর ও আরব দেশ থেকে ভারতবর্ষে এই গোষ্ঠীর লোকেদের আগমন ঘটেছিল। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, হিমাচলপ্রদেশ প্রভৃতি অঞ্চলে এই শ্রেণীর লোকদের প্রাধান্য দেখা যায়।

▶ (৫) পাশ্চাত্য গোল মুন্ড (The Western Brachycephals): পাশ্চাত্য গোল মুন্ড গোষ্ঠীর এরূপ নামকরণের উদ্দেশ্য তাহাদের এশিয়ার মোঙ্গলয়েড গোষ্ঠীগুলি থেকে পৃথক করা। তারা সম্ভবত দক্ষিণ আরব থেকে বেলুচিস্তানের মাক্রান উপকূলের পথ ধরে ভারতে প্রবেশ করেছিল। ভারতে পাশ্চাত্য গোল মুণ্ডবিশিষ্ট নরগোষ্ঠী তিনটি ভাগে বিভক্ত (গ) আরমেনইড (Armenoids)। (ক) আলপিনইড (Alpinoids), (খ) দিনারিক (Dinarics),

আলপিনইড গোষ্ঠী হিন্দুকুশের হোমো আলপিনাস (Homo Alpinus) উপজাতির অনুরূপ বলে আলপিনইড নামটি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের আল্স পর্বতমালার দিনারিক আসের অধিবাসী গোষ্ঠী থেকে দিনারিক গোষ্ঠী এবং আরমেনিয়ার অধিবাসী গোষ্ঠী থেকে আরমেনইড গোষ্ঠীর নামকরণ হয়েছে।

• (ক) আলপিনইড (The Alpinoids): নামটি আল্পস পর্বতমালার অধিবাসী গোষ্ঠী থেকে এসেছে বলে মনে হলেও সম্ভবত হিন্দুকুশের হোমো আলপিনাস উপজাতিদের সঙ্গে এই গোলমুন্ড গোষ্ঠীর মিল দেখে এদের নাম আলপিনইড হয়েছে। মাঝারী গড়ন, গোলাকৃতি মুখমণ্ডল, উন্নত নাসিকা ও ফর্সা গাত্রবর্ণ এদের বৈশিষ্ট। ভারতের গুজরাটে আলপিনইড গোষ্ঠীর সংমিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।

• (খ) দিনারিক (The Dinarics): দিনারিক আক্সের অধিবাসীদের অনুরূপ গোষ্ঠী বলে এদের দিনারিক গোষ্ঠী নাম হয়েছে। গঙ্গার নিম্ন অববাহিকা, ওড়িশা, গুজরাটের কাথিওয়াড় অঞ্চল, কল্লাদ ও কুর্গে এবং তামিলনাডুতেও দিনারিক টাইপের সংমিশ্রণ রয়েছে।

• (গ) আরমেনইড (Armenoids): আরমেনিয়ার অধিবাসী গোষ্ঠী থেকে আরমেনইড নামকরণ হয়েছে। পার্শীদের মধ্যে আরমেনইড গোষ্ঠীর সংমিশ্রণ দেখা যায়।

▶ (৬) নর্ডিক গোষ্ঠী (The Nordics): ভারতে আগমনকারী আগন্তুক গোষ্ঠী হিসাবে সম্ভবত শেষ দলটি হল নর্ডিক গোষ্ঠী। এরা আর্যজাতি নামে পরিচিত হয়। রাশিয়ার স্তেপ তৃণাঞ্চল থেকে এই পশুপালক যাযাবর গোষ্ঠী খ্রীস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দে আক্রমণকারী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করে। এরা লম্বা মুন্ড গোষ্ঠী হলেও ভারতের অন্যান্য লম্বা মুন্ড গোষ্ঠী থেকে পৃথক ধরনের। ইন্দো-এরিয়ান ভাষাভাষি এই গোষ্ঠীর কেন্দ্রীভবন দেখা যায় উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রধানত পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানে। এই অঞ্চলের উচ্চ বর্ণের অধিবাসীদের মধ্যে আর্যদের প্রাধান্য লক্ষণীয়। লম্বা মুন্ড, ফর্সা রং, উন্নত নাসিকা এবং সুঠাম দেহ এদের বৈশিষ্ট্য। আর্যগোষ্ঠীর যে শাখা ভারতে এসেছিল তারা স্বদেশে ছিল পশুপালক যাযাবর। এই দেশে আক্রমণকারী হিসেবে এরা আসে এবং উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই দেশে এসে অনার্য জাতির সঙ্গে সংমিশ্রণের ফলে এদের গায়ের বর্ণ, চোখ ও চুলের রং-এ পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু উচ্চ নাসিকা ও লম্বা মুন্ড বৈশিষ্ট্য দুটি থেকে গেছে।





এই পোস্টগুলি আপনার ভাল লাগতে পারে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01