welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ভারতে কার্পাস বয়ন শিল্প(Cotton Textile Industry of India)

 ভারতে কার্পাস বয়ন শিল্প(Cotton Textile Industry of India)


উন্নতির ইতিহাস: কার্পাস বয়ন শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ: ভারতে কয়েকটি পর্যায়ে কার্পাস বয়ন শিল্পের একদেশতা ও বিকেন্দ্রীকরণ ঘটে। প্রথম পর্যায়ে মুম্বাই ও আমেদাবাদে কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের কাঁচা তুলা, উন্নত পরিবহন, সুলভ শ্রমিক, মূলধন ও শক্তি সম্পদের সুবিধা এবং স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের আগ্রহে বস্ত্রশিল্প গড়ে ওঠে এবং এই শিল্পের একদেশীভবন ঘটে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পোন্নয়নের তাগিদে, সুলভ শ্রমিকের সাহায্যে, স্থানীয় বাজারের আকর্ষণে বাজারভিত্তিক একদেশতা পরিলক্ষিত হয় তাই মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের অন্যত্র এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলে ও উত্তরাঞ্চলে বিশেষত কলকাতা, কানপুর, দিল্লি প্রভৃতি স্থানে কার্পাস শিল্প গড়ে ওঠে। তৃতীয় পর্যায়ে আবার কাঁচামালের সন্নিকটে একদেশতার প্রবণতা দেখা যায়। এই সময়ে দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে হস্ত ও শক্তিচালিত তাঁত গড়ে ওঠে। এইসব অঞ্চলে সুতার যোগান দিতে প্রচুর সুতাকল গড়ে ওঠে। পাশাপাশি মিলবন্ত কলও স্থাপিত হয়।।

ভারতের কার্পাস বস্তু শিল্পের ইতিহাস অতি প্রাচীন। বহু শতাব্দী আগে থেকেই ভারতে প্রস্তুত কার্পাস বস্ত্রের জগৎজোড়া চাহিদা ও খ্যাতি ছিল। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার কাছে থুসুড়িতে প্রথম আধুনিক কার্পাস বয়ন কলটি স্থাপিত হলেও এই শিল্পের প্রকৃত উন্নতির সূচনা হয় ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাইতে কাপড়ের কলটি স্থাপনের পর।

কলের শ্রেণিবিভাগ: ভারতে কাপড়ের কলগুলি তিনপ্রকার (১) সুতাকল (Spinning mill), (২) বয়নকল (Weaving mill), (৩) সুতা ও বয়ন কল (Composite mill) অর্থাৎ একই মিলে সুতা উৎপাদন ও বস্তুবয়ন এক সঙ্গেই হয়ে থাকে। এছাড়া ভারতে মোট বস্তু উৎপাদনের এক বিরাট অংশ হস্তচালিত তাঁত থেকে আসে।

কার্পাস শিল্পাঞ্চল: ভারতে কার্পাস বস্ত্র শিল্পের কেন্দ্রীভবন লক্ষ করে ভারতকে পাঁচটি কার্পাস বস্ত্রশিল্পাঞ্চলে ভাগ করা যায়। যথা- (১) পশ্চিমাঞ্চল, (২) পূর্বাঞ্চল, (৩) উত্তরাম্বল, (৪) দক্ষিণাঞ্চল ও (৫) মধ্যাঞ্চল।

অবস্থানের কারণ:

১.পশ্চিমাঞ্চল: এই অঞ্চলে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য। মহারাষ্ট্রে (১৪২টি) কাপড়ের কলগুলি রয়েছে মুম্বাই (৫৭ টি), পুনে, শোলাপুর, নাগপুর, জলগাঁও, আকোলা প্রভৃতি স্থানে। মুম্বাই সর্ববৃহৎ কার্পাস বয়ন শিল্পকেন্দ্র।

মুম্বাই-এ কার্পাস বয়ন শিল্পের একদেশীভবনের কারন:

মুম্বাই ভারতের বৃহত্তম বস্ত্রশিল্পকেন্দ্র। ৫৭টি কাপড়ের কলে ২ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। একে 'তুলানগর' বলে অভিহিত করা হয়।

(২) কাঁচামাল- কৃষ্ট মৃত্তিকা অঞ্চলের নিকটবর্তী অবস্থান ও তুলা সংগ্রহের কেন্দ্র হওয়ায় সুলভে কাঁচামাল সংগৃহীত হয়।

(৩) প্রাথমিক উৎসাহ-প্রাথমিক পর্যায়ে রেল কর্তৃপক্ষ বন্দর থেকে এবং বন্দরে শিল্পপণ্য পরিবহনে স্বল্প মাশুল ধার্য করায় কার্পাস শিল্পের উন্নতির সহায়ক হয়।

(৪) বন্দরের সান্নিধ্য - বন্দরের অবস্থান উচ্চশ্রেণির তুলা আমদানি করার, বিদেশ থেকে শিল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি এবং বিদেশে বস্ত্র রপ্তানি করার সুবিধা দান করে।

(৫) শক্তি সম্পদের সুবিধা-  যদিও এই অশ্বলে কয়লার অভাব রয়েছে, তবুও প্রথম দিকে দক্ষিণ আ ফ্রিকার ডারবান থেকে কয়লা আমদানি করে এবং পরে (১৯১৫) পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলের জল-বিদ্যুতের সাহায্যে এই শিল্প গড়ে ওঠে।

(৬) অনুকূল জলবায়ু - এখানকার আর্দ্র জলবায়ুও সুতিবস্ত্র বয়নের সহায়ক।

(৭) শ্রমিক- নিকটবর্তী কোঙ্কন, সাতারা এবং শোলাপুর অঞ্চল থেকে প্রচুর সুলভ শ্রমিক পাওয়া যায়।

(৮) পরিবহন- রেল, সড়ক ও জলপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভারতের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারকে যুক্ত করেছে।

(৯) মূলধন - এই অঞ্চলে এক সময়ে ধনী পার্শি ও ভাটিয়া বণিকদের অর্থলগ্নি ও ব্যাবসা পরিচালন অভিজ্ঞতা শিল্পোন্নতিতে সাহায্য করেছিল। বর্তমানে এখানে বিনিয়োগকারীর অভাব হয় না।

(১০) অন্যান্য সুবিধা-বাণিজ্য ও ব্যাবসার কেন্দ্র হিসেবে অন্যান্য আর্থিক সুবিধা রয়েছে। মহারাষ্ট্রে মুম্বাই ছাড়াও শোলাপুর ও নাগপুর কার্পাস বস্তু বয়নশিল্পের কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।

(১১) শোলাপুর: নিকটবর্তী কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের তুলা, পশ্চিমঘাট অঞ্চলের জলবিদ্যুৎ, পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের বাজারের সঙ্গে সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সুলভ শ্রমিক এখানকার বস্ত্র শিল্পের উন্নতির কারণ।

(১২) নাগপুর: কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের তুলা ও কয়লাখনি অশ্বলের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকায় কাঁচাতুলা বা শক্তি সম্পদের অভাব হয় না। এক সময় পশ্চিম ও মধ্যভারতের বাজারের নৈকট্যও বস্ত্রশিল্পের উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া কোলাপুর, পুনে, সাংলি, জলগাঁও, আকোলা, নাসিক প্রভৃতি স্থানেও বস্ত্রশিল্প উন্নতি করেছে।

গুজরাট (১২২টি), আহমেদাবাদে (৭২টি), সুরাট বরদা, ভবনগর, ভারুচ, রাজকোট প্রভৃতি বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র। আমেদাবাদ বস্ত্রশিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র এবং এই কেন্দ্রে বস্ত্রশিল্পের এত বেশি সমাবেশের জন্য একে ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলে।

আমেদাবাদ-এ বস্ত্রশিল্পের উন্নতির কারণ: ● কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চলের তুলা, উন্মু আর্দ্র জলবায়ু, • সবরমতী নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় নদীপথের সুবিধা, মুম্বাই, কান্ডালা সহ একাধিক বন্দরের নৈকট্যে সুতিবস্ত্র রপ্তানি ও যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি থেকে শ্রমিকের সরবরাহ, বিশেষত উত্তর ও পশ্চিম ভারতে এখানকার বস্ত্রের চাহিদা আমেদাবাদকে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কার্পাস বস্ত্র শিল্পকেন্দ্রে পরিণত করেছে (ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার বলে পরিচিত)।

১. পূর্বাঞ্চলঃ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, বিহার ও ওড়িশায় কাপড়ের কল আছে। পশ্চিমবঙ্গের (৪০টি) হাওড়া, শ্রীরামপুর, বেলঘোরিয়া, সোদপুর, পানিহাটি, শ্যামনগর, ফলতা, ঘুষুড়ী, মৌড়িগ্রাম, ফুলেশ্বর প্রভৃতি বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র। অসমের গুয়াহাটি, বিহারের পাটনা, ওড়িশার কটক ও ভুবনেশ্বরে বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্র। অধিকাংশ কাপড়ের কল পশ্চিমবঙ্কো হুগলি নদীর দুই তীরে অবস্থিত। এর কারণ হুগলি নদীপথ, দুধারের সড়ক ও রেলপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ও রানিগঞ্জের কয়লা ও ডি.ভি.সি.-র বিদ্যুৎ,স্থানীয় এবং বিহার ও ওড়িশা থেকে আগত সুলভ শ্রমিক, কলকাতা বন্দরের মাধ্যমে কার্পাসবস্তু রপ্তানি ও যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা, স্বাভাবিক উষ্ম ও আর্দ্র জলবায়ু, স্থানীয় বাজারের চাহিদা।

কিন্তু কাঁচাতুলার অনিয়মিত সরবরাহের জন্য এবং তুলা উৎপাদক অঞ্চলের বস্ত্রশিল্প কেন্দ্রগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এই অঞ্চলের শিল্পে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই অঞ্চলের অনেকগুলি কারখানা বর্তমানে ব আছে।

২. উত্তরাঞ্ছল: উত্তরপ্রদেশের (৫৫টি), কানপুর (১৪টি), মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, লক্ষ্ণৌ, বারাণসী, দিল্লি, পাঞ্জাবের (২৭টি), অমৃতসর, ধারিওয়াল, লুধিয়ানা, হরিয়ানার (১৮টি), হিসার, রাজস্থানের (৩৬ টি) জয়পুর, কোটা, উদয়পুর, যোধপুর প্রভৃতি বস্ত্রশিল্পের উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র।

• উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও রাজস্থানে সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উৎপন্ন প্রচুর তুলা, স্থানীয় বাজার, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির নৈকট্য, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা ও স্থানীয় সুলভ শ্রমিক-এর সুবিধা উত্তরাঞ্চলে বস্ত্রশিল্পের উন্নতির কারণ।



৩.দক্ষিণাঞ্চল: তামিলনাড়ু, স্বপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা ও পন্ডিচেরীতে কার্পাস বস্তু বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে। তামিলনাডুতে (৫০৪টি) ছোটো বড়ো মিলিয়ে ভারতের সর্বাধিক কাপড়ের কল রয়েছে। এই রাজ্যের কোয়েম্বাটোর, তিনেভেলি, স্বপ্রদেশের (৭২টি) হায়দ্রাবাদ, ওয়ারাঙ্গেল, গুন্টুর, কর্ণাটকের (৪৬ টি) ব্যাঙ্গালোর, হুবলী, মহীশূর, দাভাঙ্গেরে, কেরালার (৩০টি) তিরুবনন্তপুরম, কুইলন, কোচিন, কোঝিকোডে এবং পন্ডিচেরীতে (৯টি) সুতিবস্ত্র কল রয়েছে।

সাম্প্রতিককালে দক্ষিণাঞ্চলে কার্পাস শিল্পের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। কারণ দক্ষিণ ভারতের কৃষ্ণ মৃত্তিকাঞ্চালে ও তার বাইরেও প্রচুর কাঁচাতুলা উৎপাদন: পশ্চিমঘাট অঞ্চলে উৎপন্ন জলবিদ্যুতের প্রাচুর্য। স্থানীয় ঘনবসতি অঞ্চলে বিরাট বাজার। কোচিন, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম, ম্যাঙ্গালোর প্রভৃতি বন্দরের নৈকট্যে সুতীবস্ত্র রপ্তানি ও যন্ত্রপাতি আমদানির সুবিধা: স্থানীয় সুলভ শ্রমিক ও উন্নত সড়ক এবং রেল যোগাযোগ প্রভৃতি।

৪. মধ্যাঞ্চল: মধ্যপ্রদেশের (৩১ টি) গোয়ালিয়র, ইন্দোর, ভূপাল, উজ্জয়নী ও ঝাঁসীতে বস্ত্রশিল্প গড়ে উঠেছে। নিকটবর্তী অঞ্চলে উৎপন্ন কাঁচাতুলা ছাড়াও কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলের তুলা আনার সুবিধা, দেশীয় বাজার ও বন্দরের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগ, স্থানীয় শ্রমিক ও সুলভ বিদ্যুৎ এই অঞ্চলে বস্তু শিল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

তাঁতবস্ত্র উৎপাদন:

মনে রাখতে হবে যে, ভারতে উৎপন্ন অধিকাংশ বস্ত্র বর্তমানে বিকেন্দ্রীভূত সেক্টরে তাঁতবস্ত্র হিসেবে উৎপাদিত হয়। কার্পাস শিল্পের এক বড়ো অংশ জুড়ে আছে সুতাকল (Spinning mill)। সুতাকলে উৎপন্ন সুতা বয়নকলে (Weaving mill) এবং হস্ত ও শক্তিচালিত তাঁত-এ প্রেরিত হয় বস্ত্রবয়ন-এর জন্য। দেশে তাঁতবস্ত্রে উৎপাদনকে উৎসাহ জোগান হয়েছে এবং তাতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, স্বপ্রদেশ ও রাজস্থান-এ প্রস্তুত তাঁত বস্ত্রের বিচিত্র সম্বারে ভারতের বাজার ছেয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গোর শান্তিপুরী ও ধনেখালি শাড়ির খুব খ্যাতি রয়েছে।

বাণিজ্য: কার্পাসবস্ত্র রপ্তানিতে ভারত দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ১৯৬০-৬১ খ্রিস্টাব্দে যেখানে ভারত থেকে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা মূল্যের কার্পাসজাত সুতা ও বস্ত্র বিদেশে রপ্তানি হয়, ২০০৪-০৫ খ্রিস্টাব্দে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪,৩৮৯ কোটি টাকায়। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরান, কাম্বোডিয়া, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশে ভারত সুতা ও বস্ত্র রপ্তানি করে।

কার্পাস শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা: ভারতে কার্পাস শিল্পে অনেক সমস্যা রয়েছে-

• কাঁচামাল সরবরাহ ভাল তুলা উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল এবং ভারতে দীর্ঘ আঁশযুক্ত তুলার উৎপাদনও কম। কাঁচাতুলার দামের অতিরিক্ত বৃদ্ধি, বহু কাপড়ের কলের যন্ত্রপাতি পুরানো হওয়ায় উৎপাদন-ব্যয় বৃদ্ধি, • আন্তর্জাতিক বাজারে সুলভ ও উচ্চমানের কাপড়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, আমদানিকারক দেশগুলিতে বস্ত্রশিল্পের উন্নতি ঘটায় চাহিদা হ্রাস, শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের অবনতি ও শ্রমিক অসন্তোষ, অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে যা কার্পাস শিল্পের উন্নতির পথে অন্তরায়।

ভারতে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে চাহিদার বিপুল বৃদ্ধি ঘটেছে। রুম কলগুলির NTC (National Textile Corporation)-র মাধ্যমে পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা চলছে। বস্ত্রশিল্পের আধুনিকীকরণের জন্য বয়ন আধুনিকীকরণ ভান্ডার (Textile Mordernisation Fund) গঠিত হয়েছে। বেসরকারি পুঁজি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। কার্পাসের সঙ্গে কৃত্রিম তত্ত্বর সামান্য মিশ্রণ ঘটিয়ে সুলভ অথচ উৎকৃষ্ট বস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। সুতরাং এ সকল মিলিয়ে বলা যায় ভারতে বস্ত্রশিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01