welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন (Conventional and Non-conventional Power Generation)

প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন (Conventional and Non-conventional Power Generation)



ভূমিকা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শক্তির উন্নতি অপরিহার্য। কলকারখানা চালাতে, পরিবহন ব্যবস্থায় এবং গৃহ ও রাস্তাঘাট আলোকিতকরণে বিদ্যুতের প্রয়োজন।

(ক) শক্তি বা বিদ্যুতের প্রচলিত উৎস:

(১) তাপবিদ্যুৎঃ কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর (২) জলবিদ্যুৎ; (৩) আণবিক বিদ্যুৎ।

(খ) অপ্রচলিত শক্তির উৎসঃ (ক) সৌরশক্তি, (খ) বায়ুশক্তি, (গ) ভূ-তাপশক্তি, (ঘ) জোয়ারভাটা শক্তি, (৪) জৈবশক্তি, (চ) ওটেক (OTEC) ইত্যাদি।

তাপবিদ্যুৎ(Thermal Power)

তাপবিদ্যুতের সর্বপ্রধান উৎস কয়লা। ভারতে তাপবিদ্যুতের ৯৯% উৎপাদন হয় কয়লা পুড়িয়ে।

তাপবিদ্যুৎ কাকে বলে? কয়লা, কাঠ, পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানি প্রভৃতি পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়, তাকে তাপবিদ্যুৎ বলে।

তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন: (১) কয়লা বা খনিজ তেলর মতো জ্বালানির প্রাচুর্য।(২) অনতিদুর শহর ও শিল্পাঞ্চলের চাহিদা। (৩) বিদ্যুতকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত পরিবহন যোগাযোগ। (৪) অন্য সুলভ বা প্রবহমান বিদ্যুৎ (জলবিদ্যুৎ) উৎপাদনে উপযোগী অবস্থার প্রভাব।

প্রধান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদক রাজ্যসমূহঃ পূর্ব ও উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি মূলত তাপবিদ্যুৎ নির্ভর।

পশ্চিমবঙ্গা, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি কয়লা সমৃদ্ধ রাজ্য ও কয়লাখনির নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতে প্রধানত তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

জলবিদ্যুৎ(Hydro-electricity)

আররোতা নদীর জলধারার শক্তিতে টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামার সাহায্যে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন কলা হয়। তাকে জলবিদ্যুৎ বলে। এজন্য প্রয়োজন:

বন্দুর ভূ-প্রকৃতিঃ যাতে নদীর ঢাল বেড়ে গিয়ে নদী খরস্রোতা হয়। (২) বরফ মুক্ততা: নজীর খরস্রোত বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। (৩) নিয়মিত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতঃ সারাবছর পর্যাপ্ত জলের প্রবাহের জন প্রয়োজন। (৪) বনভূমি: প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি করা ছাড়াও ভূমিক্ষয় রোধ করে জলকে পলিমুয় প্রামোজমতে বিশ্বতের যন্ত্রপাতিও পরিষ্কার থাকে। (৫) মূলধন ও কারিগরি দক্ষতা: উন্নত প্রযুক্তি ও প্রচুর বিনিয়োগের প্রয়োজন। (৬) বিদ্যুতের চাহিদাঃ বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখা যায় না বলে প্রচুর সুনিশ্চিত চাহিদ থাকা দরকার। এজন্য শহর ও শিল্পাঞ্চলের নিকটবর্তিতা প্রয়োজন। 

উত্তর ও পূর্ব ভারতের মূলত তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কেন? এর কারণ- (i) এই অঞ্চলগুলি কয়লাক্ষেত্রের নিকটবর্তী অথবা উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা দ্বারা যুক্ত এবং (ii) শহর ও শিল্পাঞ্চলের নিকটবর্তী নদীগুলিও যথেষ্ট খরস্রোতা নয়।

জলবিদ্যুৎ উৎপাদক রাজাসমূহ: অপরদিকে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে কয়লার অভাবে এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ থাকায় তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যসমূহে বিভিন্ন নদীপ্রকল্পে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ভারতের উল্লেখযোগ্য জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ হল।

দক্ষিণ ভারতে মূলত জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কেন? এর কারণ- (i) দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি মালভূমিদ ওপর দিয়ে প্রবাহিত বলে খরস্রোতা। (ii) মালভূমি অঞ্চলে স্বাভাবিক অবনমিত স্থান থাকায় জলাধার নির্মাণেন্দ্র সুবিধে এবং কৃত্রিম খরস্রোতা সৃষ্টিরও সুবিধে। (iii) জলাধার ও খরস্রোতা নদীগুলি শহর ও শিল্পাঞ্চলের অল রেই অবস্থিত হওয়ায় সুনিশ্চিত চাহিদা বিদ্যমান এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যয়হ্রাস ইত্যাদি। নদীগুলি বৃষ্টির জলে পুষ্ট বলে সারাবছর জল থাকে না, তাই বাঁধ দিয়ে জলাধারে জল সঞ্চয় করে রাখতে হয়।

পারমাণবিক শক্তি(Nuclear Power)

সংজ্ঞা: পদার্থের পরমাণু বিভাজন করে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, তাকে পারমাণবিক শক্তি বলে। ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি-(১) মহারাষ্ট্রের তারাপুর, (২) উত্তরপ্রদেশের নারোরা, (৩) রাজস্থানের কোটা ও (৪) তামিলনাড়ুর কালপঞ্চম-এ অবস্থিত।

ভাবা পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রটি 'বম্বেতে' অবস্থিত। উত্তরপ্রদেশের নারোরা ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01