পৌরমহাপুঞ্জ বা অনুবন্ধী বৃহৎ পৌরক্ষেত্র (Conurbation):
পৌরমহাপুঞ্জ এমন একটি বিশেষ অঞ্চলকে বোঝায়, যেখানে জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি এবং শিল্প ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে, শহরের সীমানা প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি, সেখানকার একটি নগর কেন্দ্র অন্যটির সাথে ক্রমাগত একত্রিত হতে থাকে।
সাধারণত 'অবিচ্ছিন্ন' এবং 'শহুরে এলাকা' দুটি সমন্বয়ী ধারণা থেকেই 'Conurbation' শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। গ্রেট ব্রিটেনের বসতি অঞ্চলগুলিতে নগরায়ণের প্রভাব এবং সেখানকার পৌরক্ষেত্রের আকৃতি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে 1915 খ্রিস্টাব্দে Patric Gadd যে নতুন ধারণার অবতারণা করেছিলেন তা হল Courbation বা পৌরমহাপুঞ্জ। মূলত, দুই বা ততোধিক শহর বা নগর এলাকা পরস্পর একগুচ্ছভাবে প্রায় অ্যাংগিভাবে যে বিস্তীর্ণ পৌরক্ষেত্র সৃষ্ট করে, তাকেই পৌরমহাপুঞ্জ বা অনুবন্ধী বা বৃহৎ পৌরক্ষেত্র বলা হয়। এখানে 'conurbation' এই দুটি শব্দের সম্মিলনে উদ্ভূত হয়েছে, যেখানে-"con" অর্থে 'continuous'বা 'অবিচ্ছিন্ন' এলাকা' এবং "urbation" অর্থে 'urban area বা "পৌর এলাকা" কে নির্দেশ করে থাকে। আবার, ল্যাটিন শব্দ "con"- অর্থে "একত্র" অবস্থাকেও বোঝায়। RE. Dickinson এই ধরনের এলাকাকে "urban tract" এবং Jean Gottammএটিকে "extended city" বা "Super Metropolitan Region"-রূপে আখ্যায়িত করেছেন। আবার, Pattric Geddes এই ধরনের এলাকাকে বশীর গাছচ্ছ Ursan adorati হিসেবে দেখেছেন ।
পৌরমহাপুঞ্জ সম্পর্কে বলেছেন-occupied by a continuous series of dwellings, factories and other buildings including harbours, decks, urban parks and plaving fields, etc. which are not separated from each otherবিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌরমহাপুঞ্জের নামকরণ দেশ পৌরপুঞ্জের নাম
Standered Metropolitan Areaযুক্তরাষ্ট্রে জার্মানি State Regionরটারডাম Randasterd conurbationভারত Standered Urban Region by the rural land..." অর্থাৎ, গ্রামীণ ভূমি দ্বারা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়েও একটানা বাড়ি, কারখানা, পোতাশ্রয় বন্দর, শহুরে উদ্যান এবং খেলার মাঠ ইত্যাদির একত্রিত সমাবেশের একটি এলাকা হল পৌরমহাপুঞ্জ।
পৌরমহাপুঞ্জকে an area of urban development where a number of separate tushave grown into each other and become linked by such factors as common industrial or business unterst or a common centre of shopping and education"রূপে অভিহিত করেছেন।
উদাহরণ (Example): টোকিয়ো, লন্ডন, নিউইয়র্ক প্রভৃতি হল বিশ্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরপুঞ্জ। আবানা, বিজয়ওয়াড়া-গুন্টুর-তেনালি-মঙ্গলাগিরি কিংবা দিল্লি-গাজিয়াবাদ নয়ডা-ফরিদাবাদ-মিরাটকে নিয়ে ভারতেও অনেকটা পৌরমহাপুঞ্জের ন্যায় পরিস্থিতি গড়ে উঠেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌরমহাপুঞ্জ গঠনের প্রেক্ষাপট যেমন আলাদা, অনুরূপভাবে এদের নামকরণেও যথেষ্ট তারতম্য লক্ষ করা যায়, যেমন সারণী 6 দ্রষ্টব্য।
• পৌরমহাপুঞ্জের উদ্ভব (Origine): Conurbations মূলত নগর উন্নয়নের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ের সাথে আনুষঙ্গিকভাবে জড়িত। যদিও, নগর কেন্দ্রগুলির বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে অন্যান্য প্রতিবেশী নগর বা শহরগুলির সাথে দুর্বল যোগাযোগ থাকলেও পরে শিল্প, বাণিজ্য এবং পরিবহণের উন্নয়নের কারণে গড়ে ওঠা সমঝোতা দ্বারাই পৌরমহাপুর আবির্ভূত হতে পারে। যেমন-
গুরুত্বপূর্ণ একটি মহানগরীয় ক্ষেত্রের সম্প্রসারণের কারণে পার্শ্বস্য অপর কোনো এক বা একাধিক কেন্দ্রীয় পৌরক্ষেত্রগুলির সাথে সংযোগ বাড়লে পৌরমহাপুঞ্জ বিকশিত হতে পারে (উদাহরণ- লন্ডন)।
পৌরমহাপুঞ্জের উৎপত্তি সম্পর্কে IV Freeman উল্লেখ করেছেন, পৃথিবীর যে সমস্ত নগরাঞ্চলে শিল্পকেন্দ্রিক সমাবেশ, বর্ধিত জনগোষ্ঠীর আবাস্থল এবং বাণিজ্যিক কার্যাবলীর প্রাধান্য রয়েছে, সেখানেই মূল নগর বা সংলগ্ন উপনগরগুলির পাশাপাশি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা থেকেই পৌরমহাপুপ্ত গড়ে ওঠে।
অন্যদিকে D.Bartels মনে করেন, দুটি প্রতিবেশী নগরকেন্দ্রের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব যদি 22 কিলোমিটারের মধ্যে থাকে, তাহলে এদের মধ্যে কোনও একটির পৌর বৃদ্ধি (Urban growth) অন্য আরেকটি পৌর ক্ষেত্রের সাথে সংযুক্ত থেকে কালক্রমে সেটি পৌরমহাপুঞ্জে উপনীত হয়।
প্রক্রিয়া (Process): Dickinson মনে করেন, কোনও একটি নগরের বাইরের অংশটিতে ক্রমান্বয়ে পৌর বিক্ষেপণ ঘটতে থাকলে, সেটি কালক্রমে অপর কোনো এক বা একাধিক শহর-নগরের সাথে সংযুক্ত হয়ে পৌরমহাপুঞ্জ গড়ে তোলে। এই কারণে তিনি পৌরমহাপুস্তুক একটি ভাজা ডিমের অমলেটের সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে ডিমের কুসুমটি হল নগরের মুখ্য কেন্দ্রীয়স্থল, এবং বাইরের সাদা অংশটি হল সংযুক্ত নগরগুলির প্রান্তভাগ।
বেশ কয়েকজন ভৌগোলিক পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় দুটি বিশেষ কারণকে চিহ্নিত করেছেন-
(a) পুষ্টিভবন পদ্ধতি (Process of accretion): এখানে প্রান্তবর্তী কোনও একটি নগর পরিবর্ধন বা প্রসারণ (Expansion)-এর মাধ্যমে এককেন্দ্রিকভাবে ক্রমশ একটি পৌরমহাপুঞ্চে উপনীত হয়।
(b) একত্রীভবন পদ্ধতি (Process of agglomeration): এখানে পাশাপাশি গড়ে ওঠা প্রতিবেশী কয়েকটি শহর বা নগর ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হতে হতে কোনও এক সময় একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে একটি বৃহৎ অখণ্ড পৌরমহাপুঞ্জ গড়ে তোলে ।
প্রসঙ্গাত উল্লেখ্য, কলকাতা পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টির ক্ষেত্রে পৃষ্টিভবন এবং একত্রীভবন পদ্ধতিই দুটি বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। বিশেষকরে, এখানে পৌরপুঞ্জের দুটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রবিন্দু হল কলকাতা এবং হাওড়া, এরা পৃষ্টিভধর্ম পদ্ধতিতে যেমন- আশেপাশের একাধিক ছোটো ছোটো শহরগুলিকে আত্মসাৎ করেছে, একইভাবে সংলগ্ন ছোটো ছোটো শহরগুলিও পরস্পর কলেবরে বৃদ্ধি পেয়ে পৌরপুঞ্জের একত্রীভবনে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে।
• বৈশিষ্টা (Characteristics): যেকোনো পৌরমহাপুঞ্জতে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যেতে পারে,
যথা-
i) পৌরমহাপুঞ্জ এমন একটি ক্রমবর্ধিত এলাকা যেটি দুই বা ততোধিক নগর এলাকাকে পরস্পরের মধ্যে সংযুক্ত করে রাখে।
(ii) এটি নগর উন্নয়নের চতুর্থ পর্যায়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যেখানে শহুরে কেন্দ্রগুলির বিকাশ প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবেশী শহরগুলির সাথে শিল্প, বাণিজ্য এবং পরিবহণের উন্নয়নের ওপর বিশেষভাবে নির্ভর করে।
(iii) এখানে অধিক জনসংখ্যা এবং উচ্চ জনঘনত্ব উভয়ই স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়।
(iv) কখনো কখনো একটি পৌরমহাপুঞ্জ অঞ্চলে সংকীর্ণভাবে কোনো গ্রামীণ এলাকার অবস্থান থাকতে পারে।
(v) এই ধরনের অঞ্চলে বিভিন্ন আর্থসামাজিক কর্মকান্ডকে ঘিরে জনসংখ্যার মিশ্রণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঘটতে দেখা যায়।
পৌরমহাপুঞ্জ গঠনে প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়সমূহ
(Issues affecting the formation of Conurbation):
সাধারণত পৌরমহাপুঞ্জ গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। হল-
• শিল্পায়ন (Industrialization) পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলে পৌরমহাপুঞ্জ গঠনের ক্ষেত্রে সেখানকার প্রধান এবং সহযোগী শিল্পাঞ্চলগুলির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আসলে যে সমস্ত নগরের অর্থনীতি বিভিন্ন শিল্প দ্বারা পরিচালিত হয়, সেখানে শিল্পভিত্তিক কর্মসংস্থানকে ঘিরেই জনসমাগম অতি দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। কালক্রমে, একই ধরনের শিল্পনির্ভর অর্থনৈতিক বিকাশের পথ ধরেই পার্শ্বস্থ ছোটো ছোটো শহরগুলি মূল শহরের সাথে সংযুক্ত হয়ে পৌরমহাপুঞ্জ গড়ে তোলে।
• বিস্তৃত বাজার এলাকা (Wide market area) নগরকেন্দ্রিক যে সমস্ত অঞ্চলের বাজারের আয়তন যথেষ্ট সম্প্রসারিত, সেখানে বাণিজ্যিক সুযোগসুবিধাগুলি অত্যন্ত সহজলভ্য হয়ে থাকে। এরফলে, বিস্তৃত বাজার এলাকাকে ধরেই সংশ্লিষ্ট পৌরাঞ্চলটি একটি বৃহৎ নগরপুঞ্জে উপনীত হয়।
• উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা (Improved transportation system): পরিবহণ মূলত এমন একটি পরিসেবামূলক কার্যকলাপ যার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন নগরীয় ক্ষেত্রের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের দিকে দ্রুত এগিয়ে যায়। বিশেষকরে, যখন একটি নগরাঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থাকে জালের ন্যায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়, তখন সম্মানিক ভূমি ব্যবহার, অবকাঠামো পুনর্গঠন, চাহিদা-বণ্টনের সামঞ্জস্যতা রক্ষার মধ্যে দিয়ে নগরকেন্দ্রিক জনসংখ্যা বিপুলভাবে বেড়ে যায়। এই ভাবে, উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা সার্বিকভাবে একটি পৌরমহাপুঞ্জ গঠনের পরিপূরক হয়ে ওঠে।
• সহায়ক সম্পদের প্রাচুর্যতা (Abundance of supporting resources): পৃথিবীর যে সমস্ত দেশে খনিজ সম্পদ, শক্তি সম্পদ বা অন্য কোনো সহায়ক সম্পদের প্রাচুর্যতা রয়েছে, সেখানে পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টির অনিবার্য সম্ভাবনা থাকে। যেমন, একসময় জার্মানির বুঢ় পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টিতে সেখানকার পর্যাপ্ত কয়লা এবং বিদ্যুতের সুলভ জোগান ভীষণভাবে সহায়তা করেছিল।
• যুগ্ম পৌরক্ষেত্রের সহাবস্থান (Coexistence of joint urban fields) অনেকসময় যুগ্ম পৌরক্ষেত্ররূপে একটি দেশে থেকেই ভাবে কোমোর সাথে সাথে দেখানকার পরিষেবা, পরিকাঠামো এবং জনসংখ্যা প্রায় সমস তালে বাড়তে থাকে পামেলানোর হুগলি নদীর তীর স্বাশ্লিষ্ট দুটি শহর পরস্পরে সাথে সম্মিলিত হয়ে পেলামাবাদামে পরিণত হয়। যেমন-পশ্চিমবঙ্গোর হুগলি নদীর তীরবর্তী হাওড়া এবং কলকাতা শহর দুটি একটি সুবিশাল পৌরমা গান করেছে।
• জলবায়ুগত সুবিধা (Climate benefits) সাধারণত, প্রতিটি মানুষই বেঁচে থাকার অন্যতম বিচরণ সালরূপে মনোরম জলবায়ু অঞ্চলগুলিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকে। সেই কারণে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ পৌরমহাপুর গুলি সমুদ্র তর কারনের নগর বৃদ্ধির প্রভাব সবলেরক চিরেই গড়ে উঠেছে। যেমন- আটলান্টিকের পূর্ব উনার অঞ্চলগুলিতে এই নগর পরিলক্ষিত
• ঐতিহাসিক কারণ (Historical retsons) অনেক সময় পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টিতে অতীতের কোনও বিশেষ প্রেক্ষাপট সরাসরি সাহায্য করেছে। যেমন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে গড়ে ওঠা পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টিতে শিল্পোন্নাত পশ্চিম ইউরোপে আসা অভিবাসীদের ভূমিকাকে কখনোই অস্বীকার করা যায় না। একইভাবে, বেজিং, নানজিং, শেনিয়াং, লানজু এবং অন্যান্য শহরগুলি নিয়ে গঠিত পূর্ব চীনের পৌরমহাপুঞ্জ সৃষ্টিতে জাপানিদের দ্বারা প্রাথমিক বসতি অঞ্চল বেছে নেওয়ার প্রবণতা বিশেষভাবে দায়ী।
এছাড়াও, খনিজ সম্পদের বিপুল সম্ভার, মূলধনের প্রাপ্যতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়নমুখী বিভিন্ন পরিকল্পনা, সরকারী নীতি, পর্যাপ্ত সুপেয় জলের ব্যবস্থাপনা, উচ্চশিক্ষার উপযোগী পরিবেশ, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভৃতি পৌরমহাপুঞ্জ গঠনে সহায়তা করে।
■পৌরমহাপুঞ্জের কয়েকটি রূপ (Some forms of Conurbation):
ভারতে পৌরপুঞ্জের তিনটি উল্লেখযোগ্য রূপ লক্ষ করা যায়, যেমন-
(a) এককেন্দ্রিক পৌরমহাপুণ্ড (Uninuclear Conurbation): এই ধরনের পৌরপুঞ্জগুলি সৃষ্টিতে কোনও একটি একক শহরের বিশেষ প্রভাব কাজ করে থাকে। যেমন- লন্ডন পৌরপুঞ্জ।
(b) দ্বিকেন্দ্রিক পৌরমহাপুঞ্জ (Bicentric conurbation): যে সমস্ত পৌরপুঞ্জ সৃষ্টিতে মূলত দুটি নগরের পারস্পরিক প্রভাব লক্ষ করা যায়, তাকে দ্বিকেন্দ্রিক পৌরমহাপুঞ্জ বলা হয়। যেমন- কানপুর এবং লখনউয়ের মতো দুটি বিস্তৃত শহর একে অপরের সাথে মিলিত হলে পৌরমহাপুঞ্জ।
(c) বস্তুকেন্দ্রিক পৌরমহাপুণ্ড (Polycentric conurbation): সাধারণত দুই-এর অধিক সংখ্যক নগরকেন্দ্রের সমষ্টিগত প্রভাবে যে সুবিস্তৃত পৌরপুঞ্জ গড়ে ওঠে, তাকে বহুকেন্দ্রিক পৌরমহাপুঞ্জ বলা হয়। যেমন-পশ্চিম ভারতে মুম্বাই, থানে এবং কল্যাণের মতো কয়েকটি নগরের সমন্বয়ী প্রভাবে এই ধরনের পৌরমহাপুঞ্জ গড়ে উঠেছে।
• সমস্যা (Problems) ভারতসহ বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেই পৌরমহাপুঞ্জের সম্প্রসারণ বা সংঘবদ্ধতা অত্যন্ত দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে, আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রসঙ্গটি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। বিশেষকরে, প্রধান পৌরক্ষেত্রগুলির উন্মত্ত বৃদ্ধির ফলে সমগ্র উৎপাদনের উপযুক্ত পরিকাঠামো এবং নাগরিক পরিসেবার সুবিধাগুলি সঠিকভাবে বজায় রাখা সম্ভব হয় না। যে কারণে, বস্তি সমস্যা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, যানজট, নিরাপত্তাহীনতা ও অপরাধপ্রবণতা সংশ্লিষ্ট বৃহদায়তন পৌরপুঞ্জগুলিতে দিনে দিনে মাত্রা ছাড়া হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে, কৌশলীভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রশাসনিক পরিচালনা এবং যথাযথ উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।